বাকৃবিতে জৈব বালাইনাশক বিষয়ক ৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ

- Update Time : ০২:৩৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৮ Time View
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্যে জৈব বালাইনাশকসমূহ এবং তাদের গণউৎপাদন, সংরক্ষণ, স্থানান্তর ও প্রয়োগ বিষয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম আলী ফকির সীড প্যাথলজি সেন্টারের প্রশিক্ষণ রুমে ওই কর্মশালার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগ। কর্মশালায় ময়মনসিংহ সদরের বিভিন্ন উপজেলার যারা বালাই ব্যবস্থাপনার সাথে মাঠ পর্যায়ে জড়িত, ডিলার, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০ জন অংশগ্রহণ করেন।
‘এশিয়ায় প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান (এনবিএস) এর মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল কৃষি গড়ে তুলতে সরকারি অংশীদার ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
৪ দিনব্যাপী ওই কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি.এম. মুজিবুর রহমান। এছাড়াও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মাসুম আহমেদ, প্লান্ট প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী হোসাইন এবং প্রকল্পের প্রধান গবেষক কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ।
উদ্বোধনকালে ড. জি.এম. মুজিবুর রহমান বলেন, বর্তমান সময়ে নিরাপদ ও টেকসই কৃষি উৎপাদন নিশ্চিত করতে জৈব বালাইনাশকের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসায়নিক বালাইনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার শুধু পরিবেশ নয়, মানুষের স্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্যও হুমকি সৃষ্টি করে। তাই এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা কৃষকদের সঠিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আমাদের কৃষিকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষম করে তুলতে হলে প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানকে (এনবিএস) আরও বেশি করে কাজে লাগাতে হবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে কৃষকরা যেমন উৎপাদন ব্যয় কমাতে পারবেন, তেমনি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করবেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় কৃষকদের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও কৃষির উন্নয়নে গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও প্রশিক্ষণ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, জৈব বালাইনাশক পরিবেশবান্ধব, অবশিষ্টবিহীন এবং ফসলের জন্য নিরাপদ একটি সমাধান। প্রশিক্ষিতরা এ বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করলে তারা নিজেরাই স্থানীয়ভাবে বালাইনাশক উৎপাদন ও সংরক্ষণ করতে পারবেন, যা ব্যয় কমাবে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস করবে।
এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা জৈব বালাইনাশকের গণউৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও সঠিক প্রয়োগ পদ্ধতি শিখবেন। আশা করি, এই জ্ঞান তারা মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দেবেন এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।