ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে নৌকা ডুবে কিশোরের মৃত্যু ফ্যাসিস্টদেরকে আমরা আর ফেরত চাই না : মির্জা ফখরুল আ.লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া প্রত্যেককে দেওয়া হচ্ছে ৫ হাজার টাকা মিরপুরে আগুনে ১৬ জনের লাশ উদ্ধার, তল্লাশি চলছে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি এক ক্লিকে আদালতের রায় সরাসরি জেলখানায় পৌঁছে যাবে: আইন উপদেষ্টা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালকের পদত্যাগ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনে ছয় দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার : ‘তিন-শূন্য বিশ্ব’ গড়ার আহ্বান বাংলাদেশ ও বিএনপি : আগামী নির্বাচনে সম্ভাবনার দিগন্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুইডেন ও নরওয়ের ৯ তরুণ রাজনীতিবিদের সাক্ষাৎ

বাকৃবিতে জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠিত

বাকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:৫৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৬৩ Time View

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫’-এর বাকৃবি অংশের সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে এ সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ‘আইডিআরওএফ’। ফার্স্ট রানার আপ টিম ‘ডেল্টা ২১০০’ এবং সেকেন্ড রানার আপ টিম ‘বিএইউ-নোভা’।

‘যুব উৎসব ২০২৫’-এর অংশ হিসেবে এবং ‘জুলাই আন্দোলনের প্রথম বার্ষিকী’ উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রতিযোগিতায় তরুণ শিক্ষার্থীরা নীতিনির্ধারণ, উন্নয়ন ও নেতৃত্ব বিষয়ে নিজেদের চিন্তাভাবনা ও প্রস্তাবিত নীতিপত্র উপস্থাপন করেন। এ বছরের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মূল বিষয়বস্তু ছিলো- ‘কৃষি, নদী ও উন্নয়নের গতিপথ : বঙ্গীয় বদ্বীপের পুনরাবিষ্কার।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার।

অনুষ্ঠানে, সমাপনী পর্বের জন্য বাছাই হওয়া পাঁচটি দল তাদের নীতিপত্র উপস্থাপন করে, যার মধ্যে সেরা নীতিপত্র উপস্থাপনকারী তিনটি দলকে পুরস্কৃত করা হয়। এর আগে প্রতিযোগিতার ১ম পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২২ টি অংশগ্রহণকারী দল থেকে ৯ টি দলকে বাছাই করা হয়। পরের ধাপে নয়টি থেকে পাঁচটি দল সমাপনী পর্বে অংশগ্রহণের জন্য বাছাই হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূইয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রায় ২২ টি দল এই প্রতিযোগিতায় এসেছিলো। তরুণদের এই প্রচেষ্টাকে আমি সবসময় শ্রদ্ধা জানাই এবং আমি তাদেরকে আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করতে চাই। আমি এই তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় সু্যোগ বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করি যাতে তারা এগিয়ে যেতে পারে এবং বৈশ্বিক দরবারে ভূমিকা রাখতে পারে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেন, ‘আজকের এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা তাদের ধারণা যেভাবে উপস্থাপন করেছেন সেটি আমাদের সময় করা সম্ভব ছিলো না। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এখন এই যে পজিটিভ একটি পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এখন বলা হয়, পরিবর্তন ই হলো একমাত্র স্থির। তরুণরা দেশ নিয়ে কি ভাবছেন, দেশকে পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশ্বকে পরিবর্তনের জন্য তারা কেমন চিন্তাভাবনা রাখছেন সেটি যেন তারা প্রকাশ করতে পারেব সেকারণে আমরা দেশব্যাপী এই সুযোগটি রেখেছি। লিডারশিপ, প্রযুক্তি এবং অন্যান্য বিষয়ক জ্ঞান এখন অনেক প্রয়োজন। তরুণদের মধ্যে এই দক্ষতাগুলো আনয়নের জন্যই এই আয়োজন, যা পরবর্তীতে রাষ্ট্রের জন্যই উপকারী হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

বাকৃবিতে জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠিত

বাকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:৫৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫’-এর বাকৃবি অংশের সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে এ সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ‘আইডিআরওএফ’। ফার্স্ট রানার আপ টিম ‘ডেল্টা ২১০০’ এবং সেকেন্ড রানার আপ টিম ‘বিএইউ-নোভা’।

‘যুব উৎসব ২০২৫’-এর অংশ হিসেবে এবং ‘জুলাই আন্দোলনের প্রথম বার্ষিকী’ উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রতিযোগিতায় তরুণ শিক্ষার্থীরা নীতিনির্ধারণ, উন্নয়ন ও নেতৃত্ব বিষয়ে নিজেদের চিন্তাভাবনা ও প্রস্তাবিত নীতিপত্র উপস্থাপন করেন। এ বছরের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মূল বিষয়বস্তু ছিলো- ‘কৃষি, নদী ও উন্নয়নের গতিপথ : বঙ্গীয় বদ্বীপের পুনরাবিষ্কার।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার।

অনুষ্ঠানে, সমাপনী পর্বের জন্য বাছাই হওয়া পাঁচটি দল তাদের নীতিপত্র উপস্থাপন করে, যার মধ্যে সেরা নীতিপত্র উপস্থাপনকারী তিনটি দলকে পুরস্কৃত করা হয়। এর আগে প্রতিযোগিতার ১ম পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২২ টি অংশগ্রহণকারী দল থেকে ৯ টি দলকে বাছাই করা হয়। পরের ধাপে নয়টি থেকে পাঁচটি দল সমাপনী পর্বে অংশগ্রহণের জন্য বাছাই হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূইয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রায় ২২ টি দল এই প্রতিযোগিতায় এসেছিলো। তরুণদের এই প্রচেষ্টাকে আমি সবসময় শ্রদ্ধা জানাই এবং আমি তাদেরকে আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করতে চাই। আমি এই তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় সু্যোগ বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করি যাতে তারা এগিয়ে যেতে পারে এবং বৈশ্বিক দরবারে ভূমিকা রাখতে পারে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেন, ‘আজকের এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা তাদের ধারণা যেভাবে উপস্থাপন করেছেন সেটি আমাদের সময় করা সম্ভব ছিলো না। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এখন এই যে পজিটিভ একটি পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এখন বলা হয়, পরিবর্তন ই হলো একমাত্র স্থির। তরুণরা দেশ নিয়ে কি ভাবছেন, দেশকে পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশ্বকে পরিবর্তনের জন্য তারা কেমন চিন্তাভাবনা রাখছেন সেটি যেন তারা প্রকাশ করতে পারেব সেকারণে আমরা দেশব্যাপী এই সুযোগটি রেখেছি। লিডারশিপ, প্রযুক্তি এবং অন্যান্য বিষয়ক জ্ঞান এখন অনেক প্রয়োজন। তরুণদের মধ্যে এই দক্ষতাগুলো আনয়নের জন্যই এই আয়োজন, যা পরবর্তীতে রাষ্ট্রের জন্যই উপকারী হবে।