বাকৃবিতে ‘ইসকন’ নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
- Update Time : ০৬:১২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৫২ Time View
বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। দেশজুড়ে ইসকন কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত ইমাম অপহরণ, নারী ধর্ষণ, ভাগওয়া ট্র্যাপে মুসলিম নারীদের প্রতারণা, হত্যার হুমকি ও দেশবিরোধী কার্যক্রমের ঘটনায় সংগঠনটিকে নিষিদ্ধের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার ( ২৪ অক্টোবর) দুপুর ২টায় জুমা নামাজ শেষে থেকে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, কে আর মার্কেট প্রদক্ষিণ করে জব্বারের মোড়ে এসে শেষে হয়। সেখানে একটি সমাবেশ আয়োজন করে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় মিছিলে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘এক দুই তিন চার ইসকন তুই বাংলা ছাড়’, ‘সৈরাচারের সঙ্গি ইসকন তুই জঙ্গি’, ‘ধর্ষকের সঙ্গী ইসকন তুই জঙ্গি’, ‘আমার সোনার বাংলাই ইসকনের ঠাই নাই’, শাহজালালের বাংলায় ইসকনের ঠাই নাই’, ‘একশান একশান ডাইরেক্ট একশান’, ‘ইসকনের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘বদরের হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’,
এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানায়, ‘ইসকন তার শুরু থেকেই একটি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে কাজ করছে। তারা ভারতীয় প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। গাজীপুরে ১৩ বছরের এক মেয়েকে ধর্ষণ এবং খতিব অপহরণের ঘটনাসহ নানা অপরাধে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাসহ একাধিক ঘটনায় ইসকন সদস্যদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।’
এসময়ে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মারুফ বিল্লাহ বলেন, ‘ইসকন দিনের পর পর মানুষ হত্যা করছে, ধর্ষন এর সাথে জড়িত হচ্ছে কিন্তু প্রশাসন কে কখনো দেখা যায়না ইসকন এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে। আমরা প্রশাসন কে বলতে চাই যদি ব্যবস্থা না নিতে পারেন তাহলে চুরি পরে ঘরে বসে থাকেন। যদি আপনার মা বোন কে ধর্ষণ করলে আপনার গায়ের লোম না দাঁড়ায় তাহলে আপনার চুরি পরে বসে থাকাই ভালো। কিন্তু আপনাদের বলতে চাই যদি আপনারা বিচার ব্যবস্থা জোরদার না করেন , তাদের গ্রেফতার না করেন তাহলে আমরা আমাদের ব্যবস্থা আমরাই করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু কিছু শিক্ষক ইসকন সদস্য দের টাকাপয়সা দিয়ে সাহায্য করছে , তাদেকে বলতে চাই যদি আমাদের কাছে এমন কোনো খবর আসে তাহলে কোনো কিছু দেখবো না সবাইকে জব্বারের মোড়ে ঝুলিয়ে রাখবো।’
অন্য এক শিক্ষার্থী মাহদী বলেন, ‘ইস্কন একটি আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ যার সাথে হিন্দু ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। অনেক হিন্দু ভাইও ইস্কনের বিরুদ্ধে এবং ইস্কন বিভিন্ন পূজা-পার্বণে ঝামেলা করে বা পূজা ভেঙে দেয়। ইস্কনকে প্রায় সব ঝামেলা ও অপকর্মের পিছনে খুঁজে পাওয়া যায়। সম্প্রতি একজন ইমামকে অপহরণ করে ভারতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার পিছনেও ইস্কন জড়িত ছিল। ইস্কন অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে এর কার্যক্রম নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন এবং সংগঠনটিকে ‘নরেন্দ্র মোদির দোসর’ বা ‘দিল্লির দোসর’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে ইস্কনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’







































































































































































































