ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রকাশ্যে তুলে নেওয়ার ঘণ্টাখানেক পর লাশ ফেলে গেল সন্ত্রাসীরা হাসিনাকে আর এই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেব না : মির্জা ফখরুল তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক : তারেক রহমান বাংলাদেশ রেল এখনো স্বৈরাচারী পতিত আওয়ামী দোসরদের কব্জায় অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাত দুপুরে উচ্ছেদ, সন্ধ্যায় দখল কলকাতা বিমানবন্দরের কাঁচ ভেঙে পালানোর চেষ্টায় বাংলাদেশি যুবক গ্রেফতার দেশ অস্থিতিশীল করতে চায় আওয়ামী লীগ, সতর্ক পুলিশ রোববার ছাত্রদল-এনসিপির সমাবেশ ঘিরে যান চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন অ্যাডভোকেট মাহমুদুর রহমান দোলন পলিথিন ও শব্দ দূষণ রোধে সারা দেশে জোরালো অভিযান

বাংলাদেশ রেল এখনো স্বৈরাচারী পতিত আওয়ামী দোসরদের কব্জায়

আরিফুল হক নভেল
  • Update Time : ০৯:১২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৫১ Time View

রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) আহমেদ মাহবুব চৌধুরী।

বাংলাদেশ রেলওয়ে বর্তমানে এক অস্বাভাবিক অচলাবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একটি দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে রেলকে ধ্বংস করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। লোকোমোটিভ মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের ঘাটতির কারণে বহু ইঞ্জিন অচল অবস্থায় পড়ে আছে।

সূত্রমতে, পুরো রেল এখনো স্বৈরাচারী আওয়ামী দোসরদের অংগুলি হেলনেই চলছে। রেলের এই অচলাবস্থার পেছনে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) আহমেদ মাহবুব চৌধুরীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি রেলওয়ের স্টোর এবং মেকানিক্যাল বিভাগকে দুর্বল করে একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছেন।

ওয়ার্কশপগুলো প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের জন্য স্টোর বিভাগে চাহিদাপত্র পাঠালেও তা অনুমোদনের পর্যায়ে নানা প্রশ্ন ও অজুহাতে আটকে যাচ্ছে। এসব ফাইল যখন তার কাছে অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়, তখন তিনি তা ফেরত পাঠিয়ে দেন সিসিএস-এ তথাকথিত ‘কোয়ারি’র নামে। ফলে মালামাল সরবরাহ বিলম্বিত হচ্ছে, রক্ষণাবেক্ষণ থেমে যাচ্ছে এবং যাত্রীসেবায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ যেন এক পরিকল্পিত ব্যর্থতা। স্টোর এবং ওয়ার্কশপকে অকার্যকর দেখিয়ে লোকোমোটিভ ও বগি মেরামতের দায়িত্ব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি সদ্য পতিত এক ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়কার দুর্নীতিগ্রস্ত বেসরকারিকরণ প্রকল্পের ধারাবাহিকতা বলে মনে করছেন অনেকে।
এই প্রেক্ষাপটে ৩০ জুলাই ২০২৫ তারিখে “রেল নিউজ” নামে একটি ফেসবুক পেজে একটি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন ছড়ানো হয়, যেখানে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের ডিজি মো. আফজাল হোসেনকে জড়িয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। অথচ তিনি একজন সজ্জন, ক্লিন ইমেজের কর্মকর্তা বলেই রেলের সকলেই জানেন। এই প্রতিবেদনটি শুধু মানহানিকরই নয়, রেলওয়ের মতো একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করতেই করা হয়েছে।

রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশব্যাপী যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ চলছে। এই ধরনের ভিত্তিহীন প্রচারণা সেই প্রয়াসকে বাধাগ্রস্ত করার নিন্দনীয় চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিজি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অতীতের ফ্যাসিবাদী শাসনের মতো রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষা না করায় তারা আজ ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বাংলাদেশ রেল এখনো স্বৈরাচারী পতিত আওয়ামী দোসরদের কব্জায়

আরিফুল হক নভেল
Update Time : ০৯:১২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ রেলওয়ে বর্তমানে এক অস্বাভাবিক অচলাবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একটি দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে রেলকে ধ্বংস করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। লোকোমোটিভ মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের ঘাটতির কারণে বহু ইঞ্জিন অচল অবস্থায় পড়ে আছে।

সূত্রমতে, পুরো রেল এখনো স্বৈরাচারী আওয়ামী দোসরদের অংগুলি হেলনেই চলছে। রেলের এই অচলাবস্থার পেছনে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) আহমেদ মাহবুব চৌধুরীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি রেলওয়ের স্টোর এবং মেকানিক্যাল বিভাগকে দুর্বল করে একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছেন।

ওয়ার্কশপগুলো প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের জন্য স্টোর বিভাগে চাহিদাপত্র পাঠালেও তা অনুমোদনের পর্যায়ে নানা প্রশ্ন ও অজুহাতে আটকে যাচ্ছে। এসব ফাইল যখন তার কাছে অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়, তখন তিনি তা ফেরত পাঠিয়ে দেন সিসিএস-এ তথাকথিত ‘কোয়ারি’র নামে। ফলে মালামাল সরবরাহ বিলম্বিত হচ্ছে, রক্ষণাবেক্ষণ থেমে যাচ্ছে এবং যাত্রীসেবায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ যেন এক পরিকল্পিত ব্যর্থতা। স্টোর এবং ওয়ার্কশপকে অকার্যকর দেখিয়ে লোকোমোটিভ ও বগি মেরামতের দায়িত্ব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি সদ্য পতিত এক ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়কার দুর্নীতিগ্রস্ত বেসরকারিকরণ প্রকল্পের ধারাবাহিকতা বলে মনে করছেন অনেকে।
এই প্রেক্ষাপটে ৩০ জুলাই ২০২৫ তারিখে “রেল নিউজ” নামে একটি ফেসবুক পেজে একটি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন ছড়ানো হয়, যেখানে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের ডিজি মো. আফজাল হোসেনকে জড়িয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। অথচ তিনি একজন সজ্জন, ক্লিন ইমেজের কর্মকর্তা বলেই রেলের সকলেই জানেন। এই প্রতিবেদনটি শুধু মানহানিকরই নয়, রেলওয়ের মতো একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করতেই করা হয়েছে।

রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশব্যাপী যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ চলছে। এই ধরনের ভিত্তিহীন প্রচারণা সেই প্রয়াসকে বাধাগ্রস্ত করার নিন্দনীয় চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিজি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অতীতের ফ্যাসিবাদী শাসনের মতো রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষা না করায় তারা আজ ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন।