ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সৌদি আরবে মদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি ‘ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর’ আ.লীগ সরকার উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে: সারজিস আলম চাঁদ দেখা গেছে , সৌদিতে ঈদ ৬ জুন ১৯ বছর পর পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে কুয়েত মিরপুরে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাই শান্তিতে বসে রুটি খাও, নইলে আমার গুলি তো আছেই : মোদি মাতারবাড়ি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামো দ্রুত উন্নয়নের তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নিয়োগে কোনো দলমত দেখা হয়নি: ড. ওয়াহিদউদ্দিন ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ২১ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুবি সাকা চৌধুরী কিংবা সাঈদী এভাবেই ফিরে আসতে পারতেন: সারজিস

বাংলাদেশি নারীদের বিয়ের ব্যাপারে নাগরিকদের সতর্ক করল চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:০৭:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / ৭৩ Time View

বাংলাদেশি নারীদের বিয়ের ব্যাপারে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছে চীন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। যেখানে ঢাকার চীনা দূতাবাস এ ব্যাপারে দেশটির নাগরিকদের সতর্ক করেছে বলে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— চীনা নাগরিকদের বিদেশিদের বিয়ের ক্ষেত্রে আইন কঠোরভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও অবৈধ ম্যাচমেকিং এজেন্টদের এড়িয়ে চলতে এবং শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্মের আন্তঃসীমান্ত ডেটিংয়ের বিষয়বস্তু দেখে বিভ্রান্ত না হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই সতর্কবার্তায়।

দূতাবাস চীনা নাগরিকদের ‘বিদেশি স্ত্রী কেনা’র ধারণা থেকে বের হয়ে আসার এবং বাংলাদেশে বিবাহ করার আগে ভালোভাবে চিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছে।

জানা যায়, চীনে নারী-পুরুষ অনুপাতের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সে দেশের বহু পুরুষ বিবাহের জন্য অন্য দেশ থেকে হবু স্ত্রীকে আনার পরিকল্পনা করছেন। টাকার বিনিময়ে কিছু কিছু এজেন্সি এই সম্ভাব্য স্ত্রী খুঁজে দেওয়ার কাজ করছে। আর এর আড়ালে চলছে মানবপাচার।

চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, তাদের দেশ কোনো এজেন্সিকে আন্তঃসীমান্ত বিবাহ ম্যাচমেকিং পরিষেবা চালানোর অনুমতি দেয় না। তাই চীনা নাগরিকদের এসব এজেন্সি থেকে দূরে থাকতে এবং অনলাইন রোমান্স স্ক্যাম থেকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে আর্থিক ও ব্যক্তিগত উভয় ক্ষতি এড়ানো যায়। এ ধরনের কেলেঙ্কারির শিকার ব্যক্তিদের দ্রুত চীনের জননিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করতে বলেছে দূতাবাস।

বার্তায় দূতাবাস মানবপাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে সতর্ক করেছে যে, বাংলাদেশে অবৈধ আন্তঃসীমান্ত বিবাহে জড়িতরা মানবপাচারের সন্দেহে গ্রেফতার হতে পারেন।

দূতাবাস আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশে বিচারিক প্রক্রিয়া সাধারণত দীর্ঘ হয়। যদি কেউ মানবপাচারের সন্দেহে গ্রেফতার হন তবে আইনি প্রক্রিয়া শেষে রায় পেতে কয়েক মাস বা এমনকি কয়েক বছর লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে ব্যক্তির জীবন ও পারিবারিক পুনর্মিলন মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

বাংলাদেশি নারীদের বিয়ের ব্যাপারে নাগরিকদের সতর্ক করল চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৮:০৭:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

বাংলাদেশি নারীদের বিয়ের ব্যাপারে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছে চীন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। যেখানে ঢাকার চীনা দূতাবাস এ ব্যাপারে দেশটির নাগরিকদের সতর্ক করেছে বলে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— চীনা নাগরিকদের বিদেশিদের বিয়ের ক্ষেত্রে আইন কঠোরভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও অবৈধ ম্যাচমেকিং এজেন্টদের এড়িয়ে চলতে এবং শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্মের আন্তঃসীমান্ত ডেটিংয়ের বিষয়বস্তু দেখে বিভ্রান্ত না হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই সতর্কবার্তায়।

দূতাবাস চীনা নাগরিকদের ‘বিদেশি স্ত্রী কেনা’র ধারণা থেকে বের হয়ে আসার এবং বাংলাদেশে বিবাহ করার আগে ভালোভাবে চিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছে।

জানা যায়, চীনে নারী-পুরুষ অনুপাতের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সে দেশের বহু পুরুষ বিবাহের জন্য অন্য দেশ থেকে হবু স্ত্রীকে আনার পরিকল্পনা করছেন। টাকার বিনিময়ে কিছু কিছু এজেন্সি এই সম্ভাব্য স্ত্রী খুঁজে দেওয়ার কাজ করছে। আর এর আড়ালে চলছে মানবপাচার।

চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, তাদের দেশ কোনো এজেন্সিকে আন্তঃসীমান্ত বিবাহ ম্যাচমেকিং পরিষেবা চালানোর অনুমতি দেয় না। তাই চীনা নাগরিকদের এসব এজেন্সি থেকে দূরে থাকতে এবং অনলাইন রোমান্স স্ক্যাম থেকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে আর্থিক ও ব্যক্তিগত উভয় ক্ষতি এড়ানো যায়। এ ধরনের কেলেঙ্কারির শিকার ব্যক্তিদের দ্রুত চীনের জননিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করতে বলেছে দূতাবাস।

বার্তায় দূতাবাস মানবপাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে সতর্ক করেছে যে, বাংলাদেশে অবৈধ আন্তঃসীমান্ত বিবাহে জড়িতরা মানবপাচারের সন্দেহে গ্রেফতার হতে পারেন।

দূতাবাস আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশে বিচারিক প্রক্রিয়া সাধারণত দীর্ঘ হয়। যদি কেউ মানবপাচারের সন্দেহে গ্রেফতার হন তবে আইনি প্রক্রিয়া শেষে রায় পেতে কয়েক মাস বা এমনকি কয়েক বছর লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে ব্যক্তির জীবন ও পারিবারিক পুনর্মিলন মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হতে পারে।