ঢাকা ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম
পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ আদালতের

বরগুনার সাবেক সরকারি ২ কর্মকর্তাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চৌধূরী মুনীর হোসেন, বরগুনা 
  • Update Time : ০৩:৫৯:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / ১৪২ Time View

বরগুনা সদর উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিয়া ও সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ নামে এক সাংবাদিক বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- বরগুনা সদর উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান ও বরগুনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল রানা।

সোমবার (৩ মার্চ) বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আনিসুজ্জামান মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) পটুয়াখালীকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, অপরাধ বিচিত্রার সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যান। এ সময় কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম মিয়ার কাছে মৌখিকভাবে তথ্য জানতে চান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুলকে কিছু তথ্য দিয়ে ওই সময়ে দায়িত্বে থাকা প্রজেক্ট ইসপ্লিমেন্টেশন অফিসার মো. জিয়াউর রহমানের কাছে পাঠালে তিনি তাকে দুই দিন পরে যেতে বলেন। পরে নির্ধারিত দিনে আবারও তথ্যের জন্য অফিসে গেলে রাশেদুলকে ওই প্রকল্পের তথ্য দিতে তারা অস্বীকৃতি জানান। এছাড়া তাকে চাঁদাবাজীর কথা বলে পুলিশে দেওয়ারও হুমকি দেন। পরে অফিসে থাকা আনসার সদস্যের মাধ্যমে রাশেদুলকে সরকারি গাড়িতে উঠিয়ে বরগুনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় রাশেদুলকে ছেড়ে দিতে তার কাছে টাকা দাবি করা হয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া আরও উল্লেখ করা হয়, বাদী রাশেদুলের কাছে থাকা প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির ডকুমেন্ট মুছে ফেলাসহ অভিযুক্তদের নিজস্ব লোকজনের মোবাইল ফোন থানা হাজতে আটকে রেখে তার ভিডিও ধারণ করা হয়। এরপর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সামাজিক ভাবে রাশেদুলকে হেনস্থা করা হয়। পরে বরগুনা রিপোটার্স ইউনিট ও সংবাদিক ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক ও রাশেদুলের পরিবারের লোকজন থানায় এলে অভিযুক্ত আসামিদের লিখিত একটি মুচলেকায় স্বাক্ষর রেখে রাশেদুলকে তার মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসামি সাবেক বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিয়া বলেন, দেশের নাগরিক হিসেবে যে কেউ মামলা করতে পারেন এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। তদন্তের মাধ্যমে সবকিছুর প্রমাণ হবে। কারণ রাশেদুলকে কোনো প্রকার হয়রানি করা হয়নি। তবে ওই সময়ে সে যা করেছে তাতে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আদালতকে আমি সম্মান করি আদালত বিষয়টি পিবিআইকে তদন্তের জন্য দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বরগুনার মানুষ জানে আমি কেমন ছিলাম এবং রাশেদুল যে চাঁদাবাজ তাও সবাই জানে। এই ঘটনায় আমারও সম্মানহানির ঘটনা ঘটেছে। এ মামলায় পরবর্তীতে আমিও প্রয়োজন হলে আইনের দ্বারস্থ হব।

Please Share This Post in Your Social Media

পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ আদালতের

বরগুনার সাবেক সরকারি ২ কর্মকর্তাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চৌধূরী মুনীর হোসেন, বরগুনা 
Update Time : ০৩:৫৯:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

বরগুনা সদর উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিয়া ও সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ নামে এক সাংবাদিক বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- বরগুনা সদর উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান ও বরগুনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল রানা।

সোমবার (৩ মার্চ) বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আনিসুজ্জামান মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) পটুয়াখালীকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, অপরাধ বিচিত্রার সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যান। এ সময় কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম মিয়ার কাছে মৌখিকভাবে তথ্য জানতে চান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুলকে কিছু তথ্য দিয়ে ওই সময়ে দায়িত্বে থাকা প্রজেক্ট ইসপ্লিমেন্টেশন অফিসার মো. জিয়াউর রহমানের কাছে পাঠালে তিনি তাকে দুই দিন পরে যেতে বলেন। পরে নির্ধারিত দিনে আবারও তথ্যের জন্য অফিসে গেলে রাশেদুলকে ওই প্রকল্পের তথ্য দিতে তারা অস্বীকৃতি জানান। এছাড়া তাকে চাঁদাবাজীর কথা বলে পুলিশে দেওয়ারও হুমকি দেন। পরে অফিসে থাকা আনসার সদস্যের মাধ্যমে রাশেদুলকে সরকারি গাড়িতে উঠিয়ে বরগুনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় রাশেদুলকে ছেড়ে দিতে তার কাছে টাকা দাবি করা হয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া আরও উল্লেখ করা হয়, বাদী রাশেদুলের কাছে থাকা প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির ডকুমেন্ট মুছে ফেলাসহ অভিযুক্তদের নিজস্ব লোকজনের মোবাইল ফোন থানা হাজতে আটকে রেখে তার ভিডিও ধারণ করা হয়। এরপর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সামাজিক ভাবে রাশেদুলকে হেনস্থা করা হয়। পরে বরগুনা রিপোটার্স ইউনিট ও সংবাদিক ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক ও রাশেদুলের পরিবারের লোকজন থানায় এলে অভিযুক্ত আসামিদের লিখিত একটি মুচলেকায় স্বাক্ষর রেখে রাশেদুলকে তার মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসামি সাবেক বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিয়া বলেন, দেশের নাগরিক হিসেবে যে কেউ মামলা করতে পারেন এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। তদন্তের মাধ্যমে সবকিছুর প্রমাণ হবে। কারণ রাশেদুলকে কোনো প্রকার হয়রানি করা হয়নি। তবে ওই সময়ে সে যা করেছে তাতে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আদালতকে আমি সম্মান করি আদালত বিষয়টি পিবিআইকে তদন্তের জন্য দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বরগুনার মানুষ জানে আমি কেমন ছিলাম এবং রাশেদুল যে চাঁদাবাজ তাও সবাই জানে। এই ঘটনায় আমারও সম্মানহানির ঘটনা ঘটেছে। এ মামলায় পরবর্তীতে আমিও প্রয়োজন হলে আইনের দ্বারস্থ হব।