বরগুনায় বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের ভেজাল বিরোধী অভিযানে জেল ও জরিমানা আদায়

- Update Time : ০৩:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
- / ২১০ Time View
খাদ্যে ভেজাল দিয়ে রং বেরঙের ডিজাইন করে ক্ষতিকারক রং মিশিয়ে আকর্ষণ বাড়িয়ে শিশু খাদ্য তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে। এ খাবার অনেক সময় বয়স্করাও খেয়ে থাকে। যা শরীরের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর। বাড়তে পারে ক্যান্সার ও মৃত্যুঝুঁকি।
তাই শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নয় টা পর্যন্ত বরগুনা শহরের বিভিন্ন খাদ্য বিক্রি প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বরগুনার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল আলম এর নির্দেশনায় বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত পরিচালনা করা হয়।
বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত কর্তৃক বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর ৩৩ ধারা অনুযায়ী দুইজনকে কারাদণ্ডাদেশ ও একই আইনের ৩৯ ধারা অনুযায়ী একজনকে জরিমানার আদেশ প্রদান করেন- ভেজাল খাদ্য বিরোধী অভিযানে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরিয়ত উল্লাহ।
বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- বাঁশবুনিয়ার মাহিন ফুডস্ এর সত্তাধিকারী আব্দুল কুদ্দুস ও মোল্লা ফুডস প্রডাক্টস এর স্বত্বাধিকারী মনজুর আলম মোল্লা।
অপরদিকে, মালাকার সুইটস এর স্বত্বাধিকারী সুব্রত মালাকারকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। লাকুরতলার অনিল স্টোরের অনিল চন্দ্র ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। এছাড়াও শহরের প্রাণ কেন্দ্রে মেসার্স খাইরুল স্টোর থেকে শিশুদের জন্য তৈরি হরেক রকমের ভেজাল খাদ্য এবং আরো কয়েকটি নাম বিহীন দোকান থেকে ক্ষতিকর বিস্কিট জব্দ করে নষ্ট করে দেয়া হয়।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন- বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বরগুনা জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হোসেন।
এ অভিযানের সাথে থেকে সহযোগিতা করেন- বাংলাদেশ নৌবাহিনী বরগুনা কন্টিনজেন্ট এর সাব লেফটেন্যান্ট সাকিলের নেতৃত্বে একটি টিম, বরগুনা সদর থানা, ডিবি পুলিশের টিম ও পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইব্রাহিম খলিল।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়