ঢাকা ১২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিবেশ রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে – পরিবেশ উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা ভারত-পাকিস্তান পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে : ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারিবারিক অনুষ্ঠানে গেলেন বেগম খালেদা জিয়া প্রায় ৫২ মিলিয়ন মানুষ বাংলাদেশে বন্যার ঝুঁকির মধ্যে থাকবে : পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ সব সমস্যার সমাধান নয়: গয়েশ্বর বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না : মির্জা ফখরুল লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধর, যুবক আটক শাহবাগ ছেড়ে এবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আন্দোলনকারীরা

বন্যার পর শঙ্খে মাছ ধরার উৎসব

মোঃ ইব্রাহিম শেখ, চট্রগ্রাম ব্যুরো
  • Update Time : ১২:১৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ২৯৯ Time View

শঙ্খ নদে চলছে সৌখিন মৎস্য শিকারীদের হাত জাল দিয়ে মাছ ধরার মহোৎসব।

শুক্রবার শঙ্খ নদে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যাচ্ছে এ সংবাদ প্রচার হওয়ার সাথে সাথেই ভোর থেকে হাজার হাজার মানুষ হাত জাল নিয়ে শঙ্খ নদের দু’তীরে নেমে পড়ে।

চন্দনাইশের দোহাজারী, ধোপাছড়ি, সাতকানিয়ার কালিয়াইশ, ধর্মপুর, বাজালিয়া, পুরানগড় সীমান্তে দেখা যায় নদের দু’তীরে অসংখ্য সৌখিন মৎস্য শিকারী হাত জাল দিয়ে মাছ ধরছে।

শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর হতে হতেই একেক জন মাছ শিকারীর মধ্যে কেউ কেউ ১০ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত মাছ পেয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে মাছের পোনা থেকে ৪/৫ কেজি ওজনের বড় মাছ।

গত সপ্তাহে টানা বর্ষণের ফলে শঙ্খ নদে পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় চন্দনাইশ–সাতকানিয়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।

বন্যায় দু’উপজেলায় কমপক্ষে ৫ হাজার পুকুর ডুবে গিয়ে চাষকৃত মাছ ভেসে যায়। এসকল পুকুরের সমস্ত মাছ বিলে, খালে, নদ–নদীতে ছড়িয়ে পড়ে।

গত বৃহস্পতিবার বন্যার পানি নামার পর থেকেই সৌখিন মৎস্য শিকারীরা হাত জাল নিয়ে বিলে, খালে, নদ–নদীতে মাছ শিকারে নেমে পড়েন এবং পর্যাপ্ত মাছ পাচ্ছেন।

বিশেষ করে চন্দনাইশ–সাতকানিয়া সীমান্তের মধ্যদিয়ে বয়ে চলা শক্সখনদের বিভিন্ন পয়েন্টে হাত জাল দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য বেশি দেখা যাচ্ছে।

শুক্রবার ভোর থেকেই সৌখিন মৎস্য শিকারীরা প্রচুর মাছ পাচ্ছেন। এসব মৎস্য শিকারীরা পাওয়া মাছ নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে নিকটস্থ আত্মীয়–স্বজনদেরও বিলি করতে দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন।

উত্তর কালিয়াইশের গ্রামের আবদুল আলম সওদাগর জানান, শঙ্খ নদে হাত জালে প্রচুর মাছ আসছে ভোরে কয়েকজনের কাছ থেকে এমন খবর পেয়ে বাড়িতে থাকা জাল নিয়ে আমরা ৩ জন মাছ ধরতে যাই। ৩ ঘন্টার মধ্যেই ১৫ কেজির বেশি মাছ পেয়েছি। এরমধ্যে রুই, কাতাল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। বন্যা পরবর্তী শঙ্খ নদে এ দৃশ্য এখন নিত্যদিনেই দেখা যাচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

বন্যার পর শঙ্খে মাছ ধরার উৎসব

মোঃ ইব্রাহিম শেখ, চট্রগ্রাম ব্যুরো
Update Time : ১২:১৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

শঙ্খ নদে চলছে সৌখিন মৎস্য শিকারীদের হাত জাল দিয়ে মাছ ধরার মহোৎসব।

শুক্রবার শঙ্খ নদে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যাচ্ছে এ সংবাদ প্রচার হওয়ার সাথে সাথেই ভোর থেকে হাজার হাজার মানুষ হাত জাল নিয়ে শঙ্খ নদের দু’তীরে নেমে পড়ে।

চন্দনাইশের দোহাজারী, ধোপাছড়ি, সাতকানিয়ার কালিয়াইশ, ধর্মপুর, বাজালিয়া, পুরানগড় সীমান্তে দেখা যায় নদের দু’তীরে অসংখ্য সৌখিন মৎস্য শিকারী হাত জাল দিয়ে মাছ ধরছে।

শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর হতে হতেই একেক জন মাছ শিকারীর মধ্যে কেউ কেউ ১০ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত মাছ পেয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে মাছের পোনা থেকে ৪/৫ কেজি ওজনের বড় মাছ।

গত সপ্তাহে টানা বর্ষণের ফলে শঙ্খ নদে পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় চন্দনাইশ–সাতকানিয়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।

বন্যায় দু’উপজেলায় কমপক্ষে ৫ হাজার পুকুর ডুবে গিয়ে চাষকৃত মাছ ভেসে যায়। এসকল পুকুরের সমস্ত মাছ বিলে, খালে, নদ–নদীতে ছড়িয়ে পড়ে।

গত বৃহস্পতিবার বন্যার পানি নামার পর থেকেই সৌখিন মৎস্য শিকারীরা হাত জাল নিয়ে বিলে, খালে, নদ–নদীতে মাছ শিকারে নেমে পড়েন এবং পর্যাপ্ত মাছ পাচ্ছেন।

বিশেষ করে চন্দনাইশ–সাতকানিয়া সীমান্তের মধ্যদিয়ে বয়ে চলা শক্সখনদের বিভিন্ন পয়েন্টে হাত জাল দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য বেশি দেখা যাচ্ছে।

শুক্রবার ভোর থেকেই সৌখিন মৎস্য শিকারীরা প্রচুর মাছ পাচ্ছেন। এসব মৎস্য শিকারীরা পাওয়া মাছ নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে নিকটস্থ আত্মীয়–স্বজনদেরও বিলি করতে দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন।

উত্তর কালিয়াইশের গ্রামের আবদুল আলম সওদাগর জানান, শঙ্খ নদে হাত জালে প্রচুর মাছ আসছে ভোরে কয়েকজনের কাছ থেকে এমন খবর পেয়ে বাড়িতে থাকা জাল নিয়ে আমরা ৩ জন মাছ ধরতে যাই। ৩ ঘন্টার মধ্যেই ১৫ কেজির বেশি মাছ পেয়েছি। এরমধ্যে রুই, কাতাল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। বন্যা পরবর্তী শঙ্খ নদে এ দৃশ্য এখন নিত্যদিনেই দেখা যাচ্ছে।