বই বের করতে দেরী করায় শিশু শিক্ষার্থীর চুল উপড়ে নিলেন শিক্ষক

- Update Time : ১২:২১:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১১৫ Time View
স্কুলে ব্যাগ থেকে বই বের করতে দেরী করায় এক শিশু শিক্ষার্থীর দুই পাশের চুল উপড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের দূর্গাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে নির্যাতিত শিক্ষার্থীর বাবা জিল্লুর রহমান কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নির্যাতিত শিশু শিক্ষার্থীর নাম ফারহানা খাতুন। আর অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ রতন।
অভিযোগে শিশু শিক্ষার্থীর বাবা উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে দূর্গাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির একজন ছাত্রী। গত বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পাট চলাকালীন সময়ে নিজ ব্যাগ থেকে পাঠ্যবই বের করতে দেরি করলে পাঠদানকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ রতন ওই শিক্ষার্থীর দুই কানের উপর থাকা চুল ধরে উঁচু করে রাখেন কিছুক্ষণ। একপর্যায়ে চুল ছিঁড়ে ওই শিক্ষার্থী মাটিতে পড়ে যায় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে।
শিশু শিক্ষার্থীর বাবা জানান, তার মেয়েকে সামান্য কারণে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন রতন স্যার। আবার নির্যাতনের পর মেয়ের হাতে ৫ টাকা দিয়ে ওই শিক্ষক বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য বলে। এমন নির্যাতন করলে শিশুরা স্কুলের প্রতি আগ্রহ হারাবে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ রতন বলেন, ওই মেয়েটাকে আমি অনেক স্নেহ করি। মেয়েটাকে আদর করতে যেয়ে তার চুলে একটু টান লেগে এমনটা হয়েছে। তাছাড়া সামাজিক দ্বন্দ্বের কারণে আমার নামে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদ হাসান বলেন, এমন অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেছি। আগামী রবিবার আমি নিজে বিদ্যালয়টিতে যাবো এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ তথ্য প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।