ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে

ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের অধিকার রক্ষায় শেকৃবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, শেকৃবি প্রতিনিধি 
  • Update Time : ১০:৩১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / ১০২ Time View

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ফিশারিজ ও মেরিন সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন ২০১৫ সালে মৎস্য অধিদপ্তরে সৃজিত অর্গানোগ্রাম দ্রুত বাস্তবায়ন ও সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগের দাবিতে।

সোমবার (৫ মে) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. মহবুবউজ্জামান একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মানববন্ধনটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের এপ্রিলে উপসচিব মো. সফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রস্তাবনায় “মৎস্য সম্প্রসারণ ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা” পদে ৩৯৫টি নতুনসহ মোট ৬৩৭টি স্থায়ী পদ সৃজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের সম্মতি সত্ত্বেও গত ১০ বছরে এসব পদে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়নি।

প্রস্তাবনায় বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডার রুলস সংশোধন, নতুন পদসমূহ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং তিন বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে সরাসরি নিয়োগ শুরুর নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নবম গ্রেডভুক্ত “মৎস্য সম্প্রসারণ ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা” পদটি শুধুমাত্র ফিশারিজ ও মেরিন সায়েন্স অনুষদের জন্য নির্ধারিত। কিন্তু বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রতার কারণে এই যোগ্য গ্র্যাজুয়েটরা চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের তিনটি প্রধান দাবি:
১. ২০১৫ সালের সৃজিত অর্গানোগ্রামের পূর্ণ বাস্তবায়ন
২. “মৎস্য সম্প্রসারণ ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা” পদটি নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা
৩. ধাপে ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করে মৎস্য খাতে দক্ষ জনবল নিশ্চিত করা

শিক্ষার্থীরা বলেন, সংশ্লিষ্ট পদগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে ফিশারিজ সেক্টরে দক্ষ জনবল নিয়োগে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তই হতে পারে সংকট নিরসনের কার্যকর উপায়।

Please Share This Post in Your Social Media

ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের অধিকার রক্ষায় শেকৃবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, শেকৃবি প্রতিনিধি 
Update Time : ১০:৩১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ফিশারিজ ও মেরিন সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন ২০১৫ সালে মৎস্য অধিদপ্তরে সৃজিত অর্গানোগ্রাম দ্রুত বাস্তবায়ন ও সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগের দাবিতে।

সোমবার (৫ মে) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. মহবুবউজ্জামান একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মানববন্ধনটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের এপ্রিলে উপসচিব মো. সফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রস্তাবনায় “মৎস্য সম্প্রসারণ ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা” পদে ৩৯৫টি নতুনসহ মোট ৬৩৭টি স্থায়ী পদ সৃজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের সম্মতি সত্ত্বেও গত ১০ বছরে এসব পদে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়নি।

প্রস্তাবনায় বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডার রুলস সংশোধন, নতুন পদসমূহ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং তিন বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে সরাসরি নিয়োগ শুরুর নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নবম গ্রেডভুক্ত “মৎস্য সম্প্রসারণ ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা” পদটি শুধুমাত্র ফিশারিজ ও মেরিন সায়েন্স অনুষদের জন্য নির্ধারিত। কিন্তু বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রতার কারণে এই যোগ্য গ্র্যাজুয়েটরা চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের তিনটি প্রধান দাবি:
১. ২০১৫ সালের সৃজিত অর্গানোগ্রামের পূর্ণ বাস্তবায়ন
২. “মৎস্য সম্প্রসারণ ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা” পদটি নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা
৩. ধাপে ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করে মৎস্য খাতে দক্ষ জনবল নিশ্চিত করা

শিক্ষার্থীরা বলেন, সংশ্লিষ্ট পদগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে ফিশারিজ সেক্টরে দক্ষ জনবল নিয়োগে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তই হতে পারে সংকট নিরসনের কার্যকর উপায়।