ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরাতে চান ট্রাম্প

- Update Time : ০৮:২৭:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৭১ Time View
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা পরিষ্কার করতে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরাতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ জন্য জর্ডান ও মিসরকে আরো বেশি ফিলিস্তিনি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন।
এটা কি অস্থায়ী, না দীর্ঘ মেয়াদের জন্য, এমন প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘যেকোনোটাই হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট গাজাকে ‘ডেমোলিশন সাইট’ বা ধ্বংসযজ্ঞের স্থান অ্যাখ্যা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এক বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনী ভূখণ্ডটির ৪৭ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে; এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে যে এখন সেখানে ভয়াবহ মানবিক সংকট বিরাজ করছে।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। সেই বিরতির এক সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গে অবস্থান জানলেন।
গত বছর ওয়াশিংটন বলেছিল, তারা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিপক্ষে।
গত কয়েক মাস ধরে অধিকার গোষ্ঠী এবং মানবিক সংস্থাগুলো গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা জানায়, যুদ্ধ এরই মধ্যে ভূখণ্ডটির প্রায় পুরো জনগোষ্ঠীকে উদ্বাস্তুতে পরিণত করেছে, ঠেলে দিয়েছে ক্ষুধাজনিত সংকটের দিকে।
মিসর, জর্ডান ও লেবাননে এমনিতেই বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি শরণার্থীর বাস।
তারা কবে ফিরবে, আদৌ ফিরতে পারবে কি না, তারই নিশ্চয়তা নেই।
এই নারকীয় যুদ্ধেও ইসরায়েলকে ধারাবাহিক সমর্থন দিয়ে আসায় বিশ্বজুড়ে ওয়াশিংটনের ব্যাপক সমালোচনা চললেও মিত্রকে ছাড়েনি যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ভাষ্য, ইরান সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠী, যেমন গাজার হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতিদের মোকাবেলায় ইসরায়েলকে রক্ষায় এ সহায়তা অব্যাহত রাখছে তারা।
জর্ডানের বাদশা আব্দুল্লাহর সঙ্গে ফোনালাপে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি, আপনি আরো দায়িত্ব নিন। কেননা এখন পুরো গাজা উপত্যকাকে দেখলে এর অবস্থা যে লণ্ডভণ্ড তা দেখা যাবে, সেখানকার অবস্থা খুবই ভয়াবহ।
আমি চাই তিনি (ফিলিস্তিনি) লোকজন নিয়ে যান।’
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি চাই মিসর ফিলিস্তিনি জনগণকে নিয়ে যাক। আমি আজ রবিবার মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সাথে কথা বলব।’
‘আপনারা বলছেন প্রায় ১৫ লাখ মানুষের কথা, এদের সরিয়ে নিতে হবে আমাদের’, বলেছেন ট্রাম্প।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর আগে ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডে প্রায় ২৩ লাখ মানুষের বাস ছিল। এটি এখন ধ্বংসযজ্ঞের স্থান, প্রায় সব কিছুই ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সেখানে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। তার চেয়ে আমি কিছু আরবদেশের সঙ্গে কথা বলে অন্য কোথাও ঘরবাড়ি বানিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছি, যেখানে তারা হয়তো শান্তিতে থাকতে পারবে, বলেছেন ট্রাম্প।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়