ঢাকা ০৩:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট

এম এ মুঈদ হোসেন আরিফ
  • Update Time : ০৭:২৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / ৯ Time View

ফরিদপুরের সদরপুরে চাঁদার দাবীতে এক ব্যবসায়িকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম, হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে মোঃ কামাল হোসেন মোল্লা  নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সে চরভদ্রাসন উপজেলার বিএস ডাঙ্গী এলাকার মৃত আমিন মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আলতাফ হোসেন  বাদী হয়ে সদরপুর থানায় মামলা করেছে। 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত কামাল হোসেন মোল্লা ও তার সহযোগীরা একটি গ্যাং তৈরী করে মব কায়দায় এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ কামাল হোসেন মোল্লা ও তার সহযোগী শিহাব মোল্লা, শেখ মিরাল হোসেন, শেখ মোশারফ হোসেন নামক ব্যক্তিরা মোঃ আলতাফ হোসেনের কাছে কিছুদিন যাবৎ ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। সর্বশেষ চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত ০৩ মার্চ, ২০২৫ তারিখে মোঃ কামাল হোসেন মোল্লা ও তার সহযোগী শিহাব মোল্লা, শেখ মিরান হোসেন, শেখ মোশারফ হোসেনসহ  স্থানীয় অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে মোঃ আলতাফ হোসেনের বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ পূর্বক ৫ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। লুটপাট চলকালীন সময় আলতাফ হোসেনের পরিবারের লোকজন অর্থাৎ আলতাফ হোসেন, তার ছেলে শেখ সজিব ও স্ত্রী ফরিদা বেগম বাধা দিলে হামলাকারীরা খুন করার উদ্দেশ্যে ভোতা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক ভাবে জখম করে বলে জানা যায় । 

এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, লুটপাটের সময় আলতাফ হোসেনের ঘরে রক্ষিত স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা পয়সা নিয়ে যায় এবং দামী দামী সমস্ত আসবাবপত্র নষ্ট করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে।   

স্থানীয় কয়েক জনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আলতাফ হোসেন ও কামাল মোল্লার আপন ভগ্নিপতি। তাদের দুজনে সাথে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মনোমালিন্য চলে আসছে। এছাড়াও জমি-জমার বিষয়ে নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিহাব মোল্লার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আলতাফ হোসেন আমার আপন বড় মামা। সে আমাদের ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক জবর দখল করে রেখেছে। আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভুক্তভোগী পরিবার উল্লেখিত  ঘটনার আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ফরিদপুরে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট

এম এ মুঈদ হোসেন আরিফ
Update Time : ০৭:২৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

ফরিদপুরের সদরপুরে চাঁদার দাবীতে এক ব্যবসায়িকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম, হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে মোঃ কামাল হোসেন মোল্লা  নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সে চরভদ্রাসন উপজেলার বিএস ডাঙ্গী এলাকার মৃত আমিন মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আলতাফ হোসেন  বাদী হয়ে সদরপুর থানায় মামলা করেছে। 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত কামাল হোসেন মোল্লা ও তার সহযোগীরা একটি গ্যাং তৈরী করে মব কায়দায় এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ কামাল হোসেন মোল্লা ও তার সহযোগী শিহাব মোল্লা, শেখ মিরাল হোসেন, শেখ মোশারফ হোসেন নামক ব্যক্তিরা মোঃ আলতাফ হোসেনের কাছে কিছুদিন যাবৎ ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। সর্বশেষ চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত ০৩ মার্চ, ২০২৫ তারিখে মোঃ কামাল হোসেন মোল্লা ও তার সহযোগী শিহাব মোল্লা, শেখ মিরান হোসেন, শেখ মোশারফ হোসেনসহ  স্থানীয় অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে মোঃ আলতাফ হোসেনের বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ পূর্বক ৫ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। লুটপাট চলকালীন সময় আলতাফ হোসেনের পরিবারের লোকজন অর্থাৎ আলতাফ হোসেন, তার ছেলে শেখ সজিব ও স্ত্রী ফরিদা বেগম বাধা দিলে হামলাকারীরা খুন করার উদ্দেশ্যে ভোতা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক ভাবে জখম করে বলে জানা যায় । 

এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, লুটপাটের সময় আলতাফ হোসেনের ঘরে রক্ষিত স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা পয়সা নিয়ে যায় এবং দামী দামী সমস্ত আসবাবপত্র নষ্ট করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে।   

স্থানীয় কয়েক জনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আলতাফ হোসেন ও কামাল মোল্লার আপন ভগ্নিপতি। তাদের দুজনে সাথে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মনোমালিন্য চলে আসছে। এছাড়াও জমি-জমার বিষয়ে নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিহাব মোল্লার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আলতাফ হোসেন আমার আপন বড় মামা। সে আমাদের ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক জবর দখল করে রেখেছে। আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভুক্তভোগী পরিবার উল্লেখিত  ঘটনার আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।