ঢাকা ০১:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্লাস্টিকের বস্তায় থাকা কঙ্কালের সূত্র ধরে মিললো যুবকের পরিচয়

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৯:০৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩
  • / ১৪৭ Time View

ফরিপুরের মধুখালীর পশ্চিম গোন্দারদিয়া সরদারপাড়ায় কালীমন্দিরের উত্তর পশ্চিম কোনে পলিমাটির স্তুপের নিচে প্লাস্টিকের বস্তায় থাকা অজ্ঞাতনামা মানবদেহের কঙ্কালের (হাড়গোড়) এর সূত্র ধরে যুবকের পরিচয় সনাক্ত করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন সহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী ১। মোঃ মিজানুর রহমান (৩৩) কে মাগুরা জেলা’র শ্রীপুর থানাধীর ওয়াবদা মোড় হতে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ফরিদপুর জেলা। গত ২৩ জুলাই ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ অনুমান ২.৫০ টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখে মধুখালী থানা পুলিশ মধুখালী থানাধীন পশ্চিম গোন্দারদিয়া সাকিনস্থ সরদারপাড়া কালীমন্দিরের উত্তর পশ্চিম কোনে চন্দনা-বারাশিয়া নদীর পাড়ে পলিমাটির স্তুপের নিচে পড়ে থাকা একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় মানবদেহের মাথার খুলি সহ অনুমান ৭০ পিস হাড়গোড় পান।

মধুখালী থানার এসআই (নিঃ) সৈয়দ তোফাজ্জেল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মধুখালী থানার মামলা নং-২০, তারিখঃ ৩০/১২/২০২২খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড আইনে হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই থানা এস.আই (নিঃ) মোঃ আলমগীর হোসেন এবং এস.আই (নিঃ) মোঃ মাসুদ রানা দ্বয় মামলাটি দীর্ঘদিন তদন্ত করেন।

পুলিশ হেডকোয়াটাস, ঢাকার নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই ফরিদপুর জেলা’র উপর ন্যস্ত হয়। এস.আই (নিঃ) রামপ্রসাদ ঘোষ পিবিআই ফরিদপুর জেলা মামলাটির তদন্তভার গ্রহন করেন।

অজ্ঞাতনামা হাড়গোড় এর ডিএনএ প্রোফাইল এর সহিত আশাপুর নিবাসী জনৈকা ইতি খাতুন ও স্বামী মোঃ আশরাফুল শেখ দ্বয়ের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করিয়া ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরী বাংলাদেশ পুলিশ, মালিবাগ ঢাকায় প্রেরন করা হয়। অতঃপর “ডিএনএ পরীক্ষায়, অজ্ঞাত মৃতদেহর হাড় (Exhibit 3) হতে একজন পুরুষের পূনার্ঙ্গ ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়। ডিএনএ পরীক্ষায়, সুদৃঢ়ভাবে প্রমানিত হয় যে, অজ্ঞাত মৃতদেহ, আশরাফুল শেখ এবং মোসাঃ ইতি খাতুন যুগলের জৈবিক সন্তান।”

পিবিআই প্রধান অ্যাডিশনাল আইজিপি জনাব, বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম(বার), পিপিএম মহোদয়ের এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, জনাব, মোঃ মিরাজ হোসেন, ডিআইজি, পশ্চিমাঞ্চল, পিবিআই হোডকোয়াটার্স, ঢাকা এবং অ্যাডিশনাল ডিআইজি ওয়ালিদ হোসেন মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় এবং পিবিআই ফরিদপুর জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর সার্বিক সহযোগিতায় মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই (নিঃ) রামপ্রসাদ ঘোষের নেতৃত্বে পিবিআই ফরিদপুর জেলার চৌকস তদন্ত টিম পিবিআই হেডকোয়াটার্স ঢাকা’র এলআইসি, এনটিএমসি’র টিমের সহযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিসিস্ট মুরসালিন (১১) এর হত্যাকারী তারই সৎ পিতা মোঃ মিজানুর রহমানকে গত ২৩ জুলাই ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানাধীন ওয়াবদা মোড় এলাকা হতে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম মুরসালিন এর সৎ পিতা আসামী মোঃ মিজানুর রহমান মুরসালিনকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা সে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ এর ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

প্লাস্টিকের বস্তায় থাকা কঙ্কালের সূত্র ধরে মিললো যুবকের পরিচয়

স্টাফ রিপোর্টার
Update Time : ০৯:০৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩

ফরিপুরের মধুখালীর পশ্চিম গোন্দারদিয়া সরদারপাড়ায় কালীমন্দিরের উত্তর পশ্চিম কোনে পলিমাটির স্তুপের নিচে প্লাস্টিকের বস্তায় থাকা অজ্ঞাতনামা মানবদেহের কঙ্কালের (হাড়গোড়) এর সূত্র ধরে যুবকের পরিচয় সনাক্ত করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন সহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী ১। মোঃ মিজানুর রহমান (৩৩) কে মাগুরা জেলা’র শ্রীপুর থানাধীর ওয়াবদা মোড় হতে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ফরিদপুর জেলা। গত ২৩ জুলাই ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ অনুমান ২.৫০ টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখে মধুখালী থানা পুলিশ মধুখালী থানাধীন পশ্চিম গোন্দারদিয়া সাকিনস্থ সরদারপাড়া কালীমন্দিরের উত্তর পশ্চিম কোনে চন্দনা-বারাশিয়া নদীর পাড়ে পলিমাটির স্তুপের নিচে পড়ে থাকা একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় মানবদেহের মাথার খুলি সহ অনুমান ৭০ পিস হাড়গোড় পান।

মধুখালী থানার এসআই (নিঃ) সৈয়দ তোফাজ্জেল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মধুখালী থানার মামলা নং-২০, তারিখঃ ৩০/১২/২০২২খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড আইনে হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই থানা এস.আই (নিঃ) মোঃ আলমগীর হোসেন এবং এস.আই (নিঃ) মোঃ মাসুদ রানা দ্বয় মামলাটি দীর্ঘদিন তদন্ত করেন।

পুলিশ হেডকোয়াটাস, ঢাকার নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই ফরিদপুর জেলা’র উপর ন্যস্ত হয়। এস.আই (নিঃ) রামপ্রসাদ ঘোষ পিবিআই ফরিদপুর জেলা মামলাটির তদন্তভার গ্রহন করেন।

অজ্ঞাতনামা হাড়গোড় এর ডিএনএ প্রোফাইল এর সহিত আশাপুর নিবাসী জনৈকা ইতি খাতুন ও স্বামী মোঃ আশরাফুল শেখ দ্বয়ের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করিয়া ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরী বাংলাদেশ পুলিশ, মালিবাগ ঢাকায় প্রেরন করা হয়। অতঃপর “ডিএনএ পরীক্ষায়, অজ্ঞাত মৃতদেহর হাড় (Exhibit 3) হতে একজন পুরুষের পূনার্ঙ্গ ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়। ডিএনএ পরীক্ষায়, সুদৃঢ়ভাবে প্রমানিত হয় যে, অজ্ঞাত মৃতদেহ, আশরাফুল শেখ এবং মোসাঃ ইতি খাতুন যুগলের জৈবিক সন্তান।”

পিবিআই প্রধান অ্যাডিশনাল আইজিপি জনাব, বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম(বার), পিপিএম মহোদয়ের এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, জনাব, মোঃ মিরাজ হোসেন, ডিআইজি, পশ্চিমাঞ্চল, পিবিআই হোডকোয়াটার্স, ঢাকা এবং অ্যাডিশনাল ডিআইজি ওয়ালিদ হোসেন মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় এবং পিবিআই ফরিদপুর জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর সার্বিক সহযোগিতায় মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই (নিঃ) রামপ্রসাদ ঘোষের নেতৃত্বে পিবিআই ফরিদপুর জেলার চৌকস তদন্ত টিম পিবিআই হেডকোয়াটার্স ঢাকা’র এলআইসি, এনটিএমসি’র টিমের সহযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিসিস্ট মুরসালিন (১১) এর হত্যাকারী তারই সৎ পিতা মোঃ মিজানুর রহমানকে গত ২৩ জুলাই ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানাধীন ওয়াবদা মোড় এলাকা হতে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম মুরসালিন এর সৎ পিতা আসামী মোঃ মিজানুর রহমান মুরসালিনকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা সে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ এর ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।