ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেম ও বিয়ে নিয়ে বিরোধে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা

মোঃ হানিফ হোসেন
  • Update Time : ১১:২০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৩২ Time View

গাজীপুরের টঙ্গী ৪৯ নং ওয়াড এরশাদনগর এলাকায় প্রেম ও বিয়ে সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবাকে তালা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী আলেয়া বেগম (৪৫) এবং মেয়ে মেরিনা আক্তার (২৫)-কে আটক করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ।নিহত ব্যক্তির নাম মেসবাহ উদ্দীন (৬২)।

তিনি উত্তরা জয়নাল মার্কেট এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বুধবার বিকেলে মেয়ে মেরিনা একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং তাকে বিয়ে করতে চায়। মেরিনার পূর্বে একটি বিয়ে ছিল এবং সে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে বাবা মেসবাহ উদ্দীন এতে আপত্তি জানান। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, একপর্যায়ে মা আলেয়া বেগম ও মেয়ে মেরিনা একসঙ্গে মেসবাহ উদ্দীনকে একটি কক্ষে আটকে তালা দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেসবাহ উদ্দীনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরবর্তীতে মরদেহ দ্রুত দাফনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে গোসল করানোর সময় বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে মা ও মেয়েকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। পরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন,ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও তদন্তের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ দোষী হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, মেয়ে বাবাকে তালা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং মা-মেয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।

Please Share This Post in Your Social Media

প্রেম ও বিয়ে নিয়ে বিরোধে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা

মোঃ হানিফ হোসেন
Update Time : ১১:২০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

গাজীপুরের টঙ্গী ৪৯ নং ওয়াড এরশাদনগর এলাকায় প্রেম ও বিয়ে সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবাকে তালা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী আলেয়া বেগম (৪৫) এবং মেয়ে মেরিনা আক্তার (২৫)-কে আটক করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ।নিহত ব্যক্তির নাম মেসবাহ উদ্দীন (৬২)।

তিনি উত্তরা জয়নাল মার্কেট এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বুধবার বিকেলে মেয়ে মেরিনা একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং তাকে বিয়ে করতে চায়। মেরিনার পূর্বে একটি বিয়ে ছিল এবং সে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে বাবা মেসবাহ উদ্দীন এতে আপত্তি জানান। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, একপর্যায়ে মা আলেয়া বেগম ও মেয়ে মেরিনা একসঙ্গে মেসবাহ উদ্দীনকে একটি কক্ষে আটকে তালা দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেসবাহ উদ্দীনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরবর্তীতে মরদেহ দ্রুত দাফনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে গোসল করানোর সময় বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে মা ও মেয়েকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। পরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন,ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও তদন্তের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ দোষী হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, মেয়ে বাবাকে তালা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং মা-মেয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।