ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা পদ পুনর্বহালের দাবি

নাইমুর রহমান, জবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:৫০:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৪৪৭ Time View

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা’ শিক্ষকের পদ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা’ শিক্ষকের পদ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে এই পদ বাতিলের প্রতিবাদ জানান তারা।

কর্মসূচিতে সংগীত বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নুসরাত চৌধুরী জাফরিন বলেন, আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুর বাজুক। আজকের আন্দোলন কোনো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে নয়। আমরা আমাদের কণ্ঠ জারি রেখেছি। সামনেও এটা থাকবে।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে ছাত্র ফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ বলেন, এসবের মাধ্যমে ‘কালচারাল ফ্যাসিজম’ কায়েম করা হচ্ছে। সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষকের পদ বাতিল করা হচ্ছে যা হাস্যকর। এমন একটা বিষয়ে প্রতিবাদ করতে হবে, এটা কল্পনাতেও ছিল না। বর্তমান সরকার ও সমাজ তৈরি হচ্ছে বাজারকেন্দ্রিক। এখানে মনন বিকাশের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

প্রিন্টমেকিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বজলুর রশীদ খান বলেন, সামগ্রিক শিক্ষা ছাড়া কোনো শিক্ষাই পরিপূর্ণ হয় না। সুস্থ মন যেমন দরকার, তেমনি সুস্থ শরীরও দরকার। সুস্থ মনের জন্য সংগীত এবং সুস্থ শরীরের জন্য শারীরিক শিক্ষা প্রয়োজন। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। তিনি সংগীতের মধ্যেই ইশ্বরকে খুঁজতেন।

সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অণিমা রায় বলেন, প্রাথমিকের শিশুদের সুর থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা শিশুদের সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে দিকে চাই না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল সংস্কৃতির জন্য, ধর্মের জন্য নয়।

সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষকের পদ পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষণা দেন অণিমা রায়।

Please Share This Post in Your Social Media

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা পদ পুনর্বহালের দাবি

নাইমুর রহমান, জবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৩:৫০:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা’ শিক্ষকের পদ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে এই পদ বাতিলের প্রতিবাদ জানান তারা।

কর্মসূচিতে সংগীত বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নুসরাত চৌধুরী জাফরিন বলেন, আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুর বাজুক। আজকের আন্দোলন কোনো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে নয়। আমরা আমাদের কণ্ঠ জারি রেখেছি। সামনেও এটা থাকবে।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে ছাত্র ফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ বলেন, এসবের মাধ্যমে ‘কালচারাল ফ্যাসিজম’ কায়েম করা হচ্ছে। সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষকের পদ বাতিল করা হচ্ছে যা হাস্যকর। এমন একটা বিষয়ে প্রতিবাদ করতে হবে, এটা কল্পনাতেও ছিল না। বর্তমান সরকার ও সমাজ তৈরি হচ্ছে বাজারকেন্দ্রিক। এখানে মনন বিকাশের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

প্রিন্টমেকিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বজলুর রশীদ খান বলেন, সামগ্রিক শিক্ষা ছাড়া কোনো শিক্ষাই পরিপূর্ণ হয় না। সুস্থ মন যেমন দরকার, তেমনি সুস্থ শরীরও দরকার। সুস্থ মনের জন্য সংগীত এবং সুস্থ শরীরের জন্য শারীরিক শিক্ষা প্রয়োজন। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। তিনি সংগীতের মধ্যেই ইশ্বরকে খুঁজতেন।

সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অণিমা রায় বলেন, প্রাথমিকের শিশুদের সুর থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা শিশুদের সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে দিকে চাই না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল সংস্কৃতির জন্য, ধর্মের জন্য নয়।

সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষকের পদ পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষণা দেন অণিমা রায়।