ঢাকা ০২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রাইভেটকার থেকে হাত পা বাঁধা প্রবাসীকে উদ্ধার করল পুলিশ

Reporter Name
  • Update Time : ১০:২০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / ২০৩ Time View

মোঃ রফিকুল ইসলাম মিঠু (ঊত্তরা) ঢাকা: প্রাইভেটকারের মধ্যে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিলেন মো. শরিফুল (৩০)। চিৎকারের শব্দ পেয়ে এগিয়ে আসেন পুলিশ। প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায়  উদ্ধার করেন শরিফুলকে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করেন অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে দিয়াবাড়ির বৃন্দাবনে মেট্রোরেলের তিন নম্বর স্টেশনের নিচ থেকে ভুক্তভোগী প্রবাসীকে উদ্ধার করেন তুরাগ থানা-পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ওই প্রবাসী চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার দমিবন আলগা গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন—আবু সাঈদ (২৮), সুবেদ (২৬), ফিরোজ আশরাফ হিমু (২৭) এবং তামিম (২৪)। গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারীরা মিরপুরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে থানা-পুলিশ।
এ সময় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ঢাকা মেট্রো গ ১৪-৬২৭৯ নম্বরের প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। এ ছাড়া লোহার রড, হাতুড়ি, কালো চশমাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরাগ থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে উত্তরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রাইসুল ইসলাম  বলেন, ‘হাত পা বাঁধা অবস্থায় প্রবাসীকে উদ্ধার ও চার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় আগামীকাল (বুধবার) সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। এখন কিছুই বলা সম্ভব না।’
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মওদুত হাওলাদার বলেন আগামীকাল এ বিষয়ে কথা হবে।
ঘটনার বর্ণনায় উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ বলেন, ‘ঐ মালয়েশিয়া প্রবাসী বাসা থেকে বের হলে মিরপুরের কালশী থেকে তাঁকে ছিনতাইকারীরা গাড়িতে উঠিয়েছে। গাড়িতে তুলে তাঁর সঙ্গে থাকা পাঁচ হাজারের মতো টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে হাত-পা বেঁধে আরও দেড় লাখ টাকা দাবি করে। সেই সঙ্গে প্রবাসীর বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছিল তারা।’
ডিসি মোর্শেদ আলম আরও বলেন, ‘ওই প্রাইভেটকারটি মেট্রোরেলের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের পুলিশের চেকপোস্টে কর্তব্যরত সদস্যরা সন্দেহ করে।

ঐ সময় প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকারের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল। তখন পুলিশ প্রাইভেটকারটিকে চ্যালেঞ্জ করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি মামলাও হয়েছে।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, ‘যাত্রী বেশে গাড়িতে তুলে আটকিয়ে চোখ বেঁধে সবকিছু লুটে নিয়ে যেত এ চক্রটি। এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। চক্রটি ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

প্রাইভেটকার থেকে হাত পা বাঁধা প্রবাসীকে উদ্ধার করল পুলিশ

Update Time : ১০:২০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩

মোঃ রফিকুল ইসলাম মিঠু (ঊত্তরা) ঢাকা: প্রাইভেটকারের মধ্যে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিলেন মো. শরিফুল (৩০)। চিৎকারের শব্দ পেয়ে এগিয়ে আসেন পুলিশ। প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায়  উদ্ধার করেন শরিফুলকে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করেন অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে দিয়াবাড়ির বৃন্দাবনে মেট্রোরেলের তিন নম্বর স্টেশনের নিচ থেকে ভুক্তভোগী প্রবাসীকে উদ্ধার করেন তুরাগ থানা-পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ওই প্রবাসী চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার দমিবন আলগা গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন—আবু সাঈদ (২৮), সুবেদ (২৬), ফিরোজ আশরাফ হিমু (২৭) এবং তামিম (২৪)। গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারীরা মিরপুরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে থানা-পুলিশ।
এ সময় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ঢাকা মেট্রো গ ১৪-৬২৭৯ নম্বরের প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। এ ছাড়া লোহার রড, হাতুড়ি, কালো চশমাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরাগ থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে উত্তরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রাইসুল ইসলাম  বলেন, ‘হাত পা বাঁধা অবস্থায় প্রবাসীকে উদ্ধার ও চার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় আগামীকাল (বুধবার) সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। এখন কিছুই বলা সম্ভব না।’
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মওদুত হাওলাদার বলেন আগামীকাল এ বিষয়ে কথা হবে।
ঘটনার বর্ণনায় উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ বলেন, ‘ঐ মালয়েশিয়া প্রবাসী বাসা থেকে বের হলে মিরপুরের কালশী থেকে তাঁকে ছিনতাইকারীরা গাড়িতে উঠিয়েছে। গাড়িতে তুলে তাঁর সঙ্গে থাকা পাঁচ হাজারের মতো টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে হাত-পা বেঁধে আরও দেড় লাখ টাকা দাবি করে। সেই সঙ্গে প্রবাসীর বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছিল তারা।’
ডিসি মোর্শেদ আলম আরও বলেন, ‘ওই প্রাইভেটকারটি মেট্রোরেলের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের পুলিশের চেকপোস্টে কর্তব্যরত সদস্যরা সন্দেহ করে।

ঐ সময় প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকারের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল। তখন পুলিশ প্রাইভেটকারটিকে চ্যালেঞ্জ করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি মামলাও হয়েছে।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, ‘যাত্রী বেশে গাড়িতে তুলে আটকিয়ে চোখ বেঁধে সবকিছু লুটে নিয়ে যেত এ চক্রটি। এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। চক্রটি ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছেন।