প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের তথ্যচিত্র জুলাই স্মৃতি জাদুঘরে

- Update Time : ০১:৫৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
- / ৪৮ Time View
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর হেয়ার রোডে প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনে যে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, তা নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে’ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বুধবার (৩০ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছর ৫ আগস্ট বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বিকাশ ও রাজনৈতিক চেতনার ধারায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ হিসেবে বিবেচিত। সেদিন ছাত্রসমাজ ও সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দেশব্যাপী গণআন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। আন্দোলনের তীব্রতা রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। দেশের বিচারব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনও তখনকার উত্তাল পরিস্থিতির বাইরে থাকেনি।
এতে আরও বলা হয়, সেদিন ছাত্রসমাজ ও সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দেশব্যাপী যে গণআন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে, তা নিছক একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়; বরং তা ছিল জনগণের গভীর প্রত্যাশা, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির দাবিকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত একটি ঐক্যবদ্ধ জনসঞ্চার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্দোলনের উত্তেজনাপূর্ণ আবহে বাসভবনের কিছু অংশে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাঙচুর ও ক্ষয়ক্ষতি সংঘটিত হয়। প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনে সেদিনের বাস্তবতা ও প্রেক্ষাপট দলিলবদ্ধ করার উদ্দেশে একটি তথ্যনির্ভর ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রস্তুত করা হয়। এ ডকুমেন্টারিটি শুধু একটি ঘটনার চিত্রায়ন নয়, বরং সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে গণচেতনাকে ধারণকারী ইতিহাসের এক জীবন্ত অধ্যায়।
‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিশ্বাস করে, আন্দোলনের উত্তেজনাপূর্ণ আবহে প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনের কিছু অংশে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাঙচুর ও ক্ষয়ক্ষতি সংঘটিত হয়েছে তাকে বিচ্ছিন্নভাবে না দেখে, সংশ্লিষ্ট সময়ের সামগ্রিক প্রেক্ষাপট এবং জনগণের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত অসন্তোষ ও প্রত্যাশার বাস্তব প্রতিফলন হিসেবে বিবেচনা করা অধিক যুক্তিযুক্ত।’
‘তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এ ঘটনার প্রামাণ্য উপস্থাপন নিশ্চিত করতে এবং জাতীয় স্মৃতি-ভাণ্ডারে তা সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ওই ভিডিও ডকুমেন্টারিটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক বুধবার (৩০ জুলাই) ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এ পাঠানো হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আশা প্রকাশ করে, জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এ গুরুত্বপূর্ণ দলিলটিকে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেবেন, যা ইতিহাস সচেতনতা ও নাগরিক দায়িত্ববোধ বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।