প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
- Update Time : ০৯:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
- / ৫১ Time View
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌ বাহিনীর প্রধানরা যমুনায় ‘গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক’ করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তা রাত ৮টা ১৮ মিনিটে জানান, বৈঠক কিছুক্ষণ আগে শেষ হয়েছে, ইতোমধ্যে তারা যমুনা ত্যাগ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করেন যে, ড. ইউনূস এবং সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খানের মধ্যে এই বৈঠকটি আজ সন্ধ্যায় শুরু হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, এটি প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান করেননি। তিন বাহিনীর প্রধানরা নিজেরা আলোচনা করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ”প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের বেশ আগে থেকে একটি বৈঠকের সিডিউল ঠিক করা ছিল। সেখানে আগামী নির্বাচনে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ডিপ্লয়মেন্ট [মোতায়েন] নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।”
তবে আজকের মিটিং কি বিষয়ে এবং কি আলোচনা হবে, সে সম্পর্কে তার কোন ধারণা নেই বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
সূত্র আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের জন্য তিন বাহিনীর প্রধানরা তাদের নিজ নিজ দপ্তর থেকে ইতিমধ্যে যমুনার উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন।
এই বৈঠকটি এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন নির্বাচন কমিশন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচনে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হবে।
গত ২০ অক্টোবর, কমিশন জানিয়েছিল যে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সদস্যকে মোতায়েন করা হবে।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ওই বৈঠকে, ড. ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের আগে সকল বাহিনীর মধ্যে নিবিড় সমন্বয় নিশ্চিত করার জন্য জেনারেল ওয়াকারকে অনুরোধ করেছিলেন।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘গত ১৫ মাসে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছে।’
আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে সেজন্যও তিন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বতী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের নৌবাহিনীর সদস্য এবং কিছু বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।
আজকের বৈঠকে আগামী ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান তিন বাহিনীর প্রধান।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়


































































































