ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বাকৃবিতে নারী হয়ে নিজের সহপাঠীর অপ্রীতিকর ছবি সিনিয়র ভাইকে পাঠানোর অভিযোগ ‘লগি-বৈঠার তাণ্ডবের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে’ তিন বিচারপতিকে শোকজের তথ্য সত্য নয়: সুপ্রিম কোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জেলা কারাগার পরিদর্শন গণপূর্তে একটি অনিয়ম ঢাকতে আরেকটি অনিয়ম এনা পরিবহনের ১২ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় নতুন মোড় মসজিদের খতিব ‘অপহরণে’ পুলিশের তদন্তে যা এলো সিটি ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ অবিলম্বে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলে কঠোর কর্মসূচীর হুমকি সাংবাদিকদের রায় ছিঁড়ে ক্ষমতার দাপট দেখানো সেই জেলা জজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে

প্রথিতযশা সাংবাদিক আমীনূর রশীদ চৌধূরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মো.মুহিবুর রহমান,সিলেট প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:৩৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১২৯ Time View

সিলেটের সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃত, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সিলেটবন্ধু আমীনূর রশীদ চৌধূরীর চল্লিশতম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার।

১৯১৫ সালের ১৭ নভেম্বর কলকাতার ৩১ নম্বর জাননগর রোডে জন্মগ্রহণকারী আমীনূর রশীদ চৌধূরীর পিতা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম আব্দুর রশীদ চৌধূরী এবং মাতা মরহুমা রাজিয়া রশীদ চৌধূরী। সুনামগঞ্জ জেলার পাগলা পরগনার দূর্গাপাশা গ্রামে ছিল তাদের আদি নিবাস। আমীনূর রশীদ চৌধূরী তাঁর পিতা-মাতার তৃতীয় সন্তান। এই মানবদরদী ব্যক্তি ১৯৮৫ সালের ৩০ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

কলকাতার বয়েজ স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করা আমীনূর রশীদ চৌধূরী সিলেটের রাজা জিসি স্কুল ও মুরারিচাঁদ কলেজ হয়ে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করেন। ছাত্র জীবনেই স্বাধীনচেতা উদার মানসিকতার আমীনূর রশীদ চৌধূরী ১৯২৯ সালে গান্ধী আন্দোলনে যোগদান করেন এবং ১৯৩০ সালে কারাবরণ করেন।

উপমহাদেশের প্রথিতযশা রাজনীতিবিদদের সাহচর্যে তাঁর রাজনৈতিক চেতনা প্রখর ও সুদৃঢ় হয়েছিল। অবিভক্ত ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন তরুণ সক্রিয় কর্মী হিসেবে তিনি দফায় দফায় কারাবরণ করেছেন এবং শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের দ্ব্যর্থহীন সমর্থনের কারণে পাকবাহিনী ’৭১-এ তাঁকে সিলেট রেসিডেন্সিয়াল পাবলিক স্কুলে ১৩০ দিন বন্দি রেখে অমানবিক নির্যাতন করে এবং তাঁর সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করে।

সততা ও মানবিকতার আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে তিনি সংযুক্ত হয়েছেন বহু সামাজিকতায় এবং করে গেছেন এমন কিছু যুগান্তকারী কর্মকান্ড যা আজ চিরস্মরণীয় কৃতিত্বে রূপান্তরিত হয়েছে। সিলেট মহিলা কলেজ, তিব্বিয়া কলেজ, সিলেট ল’ কলেজ, সিলেট প্রেসক্লাব, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ সিলেটের সার্বিক স্বার্থ রক্ষা, ভাষা, সংস্কৃতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এবং সিলেট বিভাগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অনন্য ও সর্বজনগৃহীত।

সিলেটের প্রাচীনতম পত্রিকা ‘যুগভেরী’ তাঁর হাত ধরে সম্পূর্ণরূপ ধারণ করে এবং অনন্যতা অর্জন করে। সিলেট তথা উপমহাদেশের ইতিহাসে ‘যুগভেরী’ কিংবদন্তীতে পরিণত হয় আমীনূর রশীদ চৌধূরীর দক্ষতাতেই। ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত পত্রিকার দায়িত্ব তিনি ১৯৬০ সাল হতে সম্পূর্ণরূপে পালন করতে শুরু করেন। সিলেটে সংবাদপত্র তথা সাংবাদিকতার সেটি ছিল একই সাথে প্রারম্ভিক এবং স্বর্ণযুগ।‘যুগভেরী’ নামকরণও তারই অবদান। এই মানবদরদী ১৯৮৫ সালের ৩০ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

প্রথিতযশা সাংবাদিক আমীনূর রশীদ চৌধূরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মো.মুহিবুর রহমান,সিলেট প্রতিনিধি
Update Time : ১২:৩৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

সিলেটের সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃত, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সিলেটবন্ধু আমীনূর রশীদ চৌধূরীর চল্লিশতম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার।

১৯১৫ সালের ১৭ নভেম্বর কলকাতার ৩১ নম্বর জাননগর রোডে জন্মগ্রহণকারী আমীনূর রশীদ চৌধূরীর পিতা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম আব্দুর রশীদ চৌধূরী এবং মাতা মরহুমা রাজিয়া রশীদ চৌধূরী। সুনামগঞ্জ জেলার পাগলা পরগনার দূর্গাপাশা গ্রামে ছিল তাদের আদি নিবাস। আমীনূর রশীদ চৌধূরী তাঁর পিতা-মাতার তৃতীয় সন্তান। এই মানবদরদী ব্যক্তি ১৯৮৫ সালের ৩০ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

কলকাতার বয়েজ স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করা আমীনূর রশীদ চৌধূরী সিলেটের রাজা জিসি স্কুল ও মুরারিচাঁদ কলেজ হয়ে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করেন। ছাত্র জীবনেই স্বাধীনচেতা উদার মানসিকতার আমীনূর রশীদ চৌধূরী ১৯২৯ সালে গান্ধী আন্দোলনে যোগদান করেন এবং ১৯৩০ সালে কারাবরণ করেন।

উপমহাদেশের প্রথিতযশা রাজনীতিবিদদের সাহচর্যে তাঁর রাজনৈতিক চেতনা প্রখর ও সুদৃঢ় হয়েছিল। অবিভক্ত ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন তরুণ সক্রিয় কর্মী হিসেবে তিনি দফায় দফায় কারাবরণ করেছেন এবং শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের দ্ব্যর্থহীন সমর্থনের কারণে পাকবাহিনী ’৭১-এ তাঁকে সিলেট রেসিডেন্সিয়াল পাবলিক স্কুলে ১৩০ দিন বন্দি রেখে অমানবিক নির্যাতন করে এবং তাঁর সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করে।

সততা ও মানবিকতার আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে তিনি সংযুক্ত হয়েছেন বহু সামাজিকতায় এবং করে গেছেন এমন কিছু যুগান্তকারী কর্মকান্ড যা আজ চিরস্মরণীয় কৃতিত্বে রূপান্তরিত হয়েছে। সিলেট মহিলা কলেজ, তিব্বিয়া কলেজ, সিলেট ল’ কলেজ, সিলেট প্রেসক্লাব, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ সিলেটের সার্বিক স্বার্থ রক্ষা, ভাষা, সংস্কৃতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এবং সিলেট বিভাগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অনন্য ও সর্বজনগৃহীত।

সিলেটের প্রাচীনতম পত্রিকা ‘যুগভেরী’ তাঁর হাত ধরে সম্পূর্ণরূপ ধারণ করে এবং অনন্যতা অর্জন করে। সিলেট তথা উপমহাদেশের ইতিহাসে ‘যুগভেরী’ কিংবদন্তীতে পরিণত হয় আমীনূর রশীদ চৌধূরীর দক্ষতাতেই। ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত পত্রিকার দায়িত্ব তিনি ১৯৬০ সাল হতে সম্পূর্ণরূপে পালন করতে শুরু করেন। সিলেটে সংবাদপত্র তথা সাংবাদিকতার সেটি ছিল একই সাথে প্রারম্ভিক এবং স্বর্ণযুগ।‘যুগভেরী’ নামকরণও তারই অবদান। এই মানবদরদী ১৯৮৫ সালের ৩০ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।