ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতি বছর ১ ফুট হারে তলিয়ে যাচ্ছে যে শহর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১২:২৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩২ Time View

ইরানে ভূগর্ভস্থ পানির সংকট এখন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। দেশটির মোট পানির প্রায় ৬০ শতাংশই ভূগর্ভস্থ জলাধার থেকে উত্তোলন করা হয়। কিন্তু কম বৃষ্টিপাত ও অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের কারণে এসব জলাধারের পানি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলেই দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ধীরে ধীরে মাটির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে গবেষণা।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ জেসিকা পাইন পরিচালিত এক গবেষণায় জানা গেছে, ইরানের মধ্যাঞ্চলের প্রায় ৩১ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পৃথিবীর অন্য যে কোনো অঞ্চলের তুলনায় দ্রুত গতিতে নিচের দিকে যাচ্ছে।

সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দেখা যাচ্ছে দেশটির ঐতিহাসিক রাফসানজান শহরে। গবেষণা অনুযায়ী, শহরটি প্রতি বছর প্রায় এক ফুট করে নিচে বসে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি গুরুতর সতর্ক সংকেত।

প্রফেসর জেসিকা পাইন জানিয়েছেন, যদি তলিয়ে যাওয়ার এই হার একইভাবে চলতে থাকে, তবে আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই রাফসানজান সম্পূর্ণভাবে মানচিত্র থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

তিনি আরও সতর্ক করেছেন যে, এ ধরনের ভূ-তলানো শুধু স্থাপনা ও অবকাঠামোর ক্ষতি করছে না, বরং লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎকেও হুমকির মুখে ফেলছে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

প্রতি বছর ১ ফুট হারে তলিয়ে যাচ্ছে যে শহর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ১২:২৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

ইরানে ভূগর্ভস্থ পানির সংকট এখন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। দেশটির মোট পানির প্রায় ৬০ শতাংশই ভূগর্ভস্থ জলাধার থেকে উত্তোলন করা হয়। কিন্তু কম বৃষ্টিপাত ও অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের কারণে এসব জলাধারের পানি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলেই দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ধীরে ধীরে মাটির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে গবেষণা।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ জেসিকা পাইন পরিচালিত এক গবেষণায় জানা গেছে, ইরানের মধ্যাঞ্চলের প্রায় ৩১ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পৃথিবীর অন্য যে কোনো অঞ্চলের তুলনায় দ্রুত গতিতে নিচের দিকে যাচ্ছে।

সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দেখা যাচ্ছে দেশটির ঐতিহাসিক রাফসানজান শহরে। গবেষণা অনুযায়ী, শহরটি প্রতি বছর প্রায় এক ফুট করে নিচে বসে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি গুরুতর সতর্ক সংকেত।

প্রফেসর জেসিকা পাইন জানিয়েছেন, যদি তলিয়ে যাওয়ার এই হার একইভাবে চলতে থাকে, তবে আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই রাফসানজান সম্পূর্ণভাবে মানচিত্র থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

তিনি আরও সতর্ক করেছেন যে, এ ধরনের ভূ-তলানো শুধু স্থাপনা ও অবকাঠামোর ক্ষতি করছে না, বরং লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎকেও হুমকির মুখে ফেলছে।