ঢাকা ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আবারো উত্তাল জাবি

জাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৫:৪৮:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০২ Time View

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১ টা ৫০ এর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার ভাসানী চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বিভিন্ন হল ঘুরে লাইব্রেরী হয়ে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এসময় রেজিস্ট্রার ভবনের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

চারটি দাবি উত্থাপন করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা, দাবিগুলো হলো, পৌষ্য কোটা বাতিল, আজকে যারা কর্মচারীদের আন্দোলন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে বিরূপ আচরণ ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার সাথে জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাকরিচ্যুত করতে হবে, পাশাপাশি পরবর্তীতে কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি ক্যাম্পাস অচল করার ঘোষণা দেয় তাদেরকেও চাকরিচ্যুত করতে হবে এবং ব্যাংক হিসাব স্থগিত করতে হবে, যদি আমাদের দাবি না মানা হয় পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।

বিক্ষোভে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের, “দাবি মোদের একটাই পোষ্য কোটার বাতিল চাই, হলে হলে খবর দে পোষ্য কোটার কবর দে, সংস্কার না বাতিল, বাতিল বাতিল, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না, আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পোষ্য কোটা বাতিলের আন্দোলনে যেহেতু কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেছে তাই আমরা এখন পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল চাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৃষ্টি বলেন, যে কর্মকর্তা কর্মচারীরা আমাদের হুমকি দিতে পারে তাদের আমরা জাহাঙ্গীরনগরে চাই না। যদি প্রশাসন পোষ্য কোটা বাতিল ও যথাসময়ে জাকসু বাস্তবায়ন করতে না পারেন, তাহলে আরো একটা আন্দোলনের সূচনা হবে জাহাঙ্গীরনগর থেকে।

Please Share This Post in Your Social Media

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আবারো উত্তাল জাবি

জাবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৫:৪৮:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১ টা ৫০ এর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার ভাসানী চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বিভিন্ন হল ঘুরে লাইব্রেরী হয়ে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এসময় রেজিস্ট্রার ভবনের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

চারটি দাবি উত্থাপন করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা, দাবিগুলো হলো, পৌষ্য কোটা বাতিল, আজকে যারা কর্মচারীদের আন্দোলন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে বিরূপ আচরণ ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার সাথে জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাকরিচ্যুত করতে হবে, পাশাপাশি পরবর্তীতে কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি ক্যাম্পাস অচল করার ঘোষণা দেয় তাদেরকেও চাকরিচ্যুত করতে হবে এবং ব্যাংক হিসাব স্থগিত করতে হবে, যদি আমাদের দাবি না মানা হয় পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।

বিক্ষোভে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের, “দাবি মোদের একটাই পোষ্য কোটার বাতিল চাই, হলে হলে খবর দে পোষ্য কোটার কবর দে, সংস্কার না বাতিল, বাতিল বাতিল, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না, আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পোষ্য কোটা বাতিলের আন্দোলনে যেহেতু কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেছে তাই আমরা এখন পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল চাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৃষ্টি বলেন, যে কর্মকর্তা কর্মচারীরা আমাদের হুমকি দিতে পারে তাদের আমরা জাহাঙ্গীরনগরে চাই না। যদি প্রশাসন পোষ্য কোটা বাতিল ও যথাসময়ে জাকসু বাস্তবায়ন করতে না পারেন, তাহলে আরো একটা আন্দোলনের সূচনা হবে জাহাঙ্গীরনগর থেকে।