জলবায়ু পরিবর্তন
পৃথিবীর একমাত্র মশামুক্ত দেশের মর্যাদা হারাল আইসল্যান্ড
- Update Time : ১১:৫৫:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৯ Time View
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাবে ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ড তার মশামুক্ত দেশের স্বতন্ত্র পরিচয় হারাল। গতকাল দেশটির ন্যাচারাল সায়েন্স ইনস্টিটিউট প্রথমবারের মতো স্থানীয়ভাবে মশার উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে।
গত ১৬ অক্টোবর কিয়োস হিমবাহ উপত্যকায় এক কীটপতঙ্গ অনুরাগী বিয়র্ন হ্যালটাসন রেড ওয়াইনের ফাঁদে কয়েকটি মশা শনাক্ত করেন। রাজধানী রিকজাভিক থেকে ৫২ কিলোমিটার দূরের এই এলাকায় ধরা পড়া মশাগুলো পরীক্ষা করে *কিউলিসেটা অ্যানুলাটা* প্রজাতির বলে নিশ্চিত হন বিজ্ঞানীরা।
এই শীত-সহনশীল প্রজাতির মশা ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা ও হিমালয় অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলো রোগবাহী না হলেও আইসল্যান্ডের পরিবেশে তাদের টিকে থাকা জলবায়ু পরিবর্তনের স্পষ্ট ইঙ্গিত। ন্যাচারাল সায়েন্স ইনস্টিটিউট স্পষ্ট করেছে, মশাগুলো কামড়াতে সক্ষম হলেও কোনো সংক্রমণ ছড়ায় না।
চলতি বছরের মে মাসে আইসল্যান্ডে গড় তাপমাত্রা ১৯৯০-২০২০ সালের তুলনায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি রেকর্ড করা হয়। এই অস্বাভাবিক উষ্ণতা হিমবাহ গলার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। জাতীয় পার্ক কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বর্তমান হারে হিমবাহ গলতে থাকলে ২১০০ সালের মধ্যে দেশটির প্রায় অর্ধেক আয়তন কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
১৯৮০ সালে একটি মশা গ্রিনল্যান্ড থেকে আসা উড়োজাহাজে করে আইসল্যান্ডে প্রবেশ করলেও সেটি স্থানীয়ভাবে বংশবিস্তার করতে পারেনি। ওই দুর্লভ মশাটি দেশটির ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিতে সংরক্ষিত আছে। আইসল্যান্ডের শীতল আবহাওয়া (শীতে গড়ে -১°সে ও গ্রীষ্মে ১১°সে) এবং বারবার পানি জমে-গলা প্রবণতা মশার প্রজননের জন্য অনুকূল নয়।
যুক্তরাজ্যের পরিবেশ বিজ্ঞানী লুক টিলি বলেছেন, “উষ্ণ মৌসুম যত দীর্ঘ হয়, মশার প্রজন্মও তত বাড়ে। আইসল্যান্ডে মশার উপস্থিতি জলবায়ু পরিবর্তনের একটি স্পষ্ট চিহ্ন।”
এই ঘটনা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রাকৃতিক ব্যবস্থায় কী রকম পরিবর্তন আসতে পারে, তার একটি জীবন্ত উদাহরণ হয়ে থাকবে।







































































































































































































