ঢাকা ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পূজা দেখতে বেরিয়ে ‘ধর্ষণের’ শিকার স্কুলছাত্রী

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:১২:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩৭৮ Time View

ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলায় পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে ঘুরতে নিয়ে এক গারো স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আবুল বাশার (২৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলা শহরে এ ঘটনা ঘটে। তবে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত পর্যন্ত অভিযুক্ত অটোরিকশা চালককে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে পূজা দেখার জন্য মোবাইল ফোনে নবম শ্রেণির ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন এক যুবক। সারাদিন পূজা দেখে রাতে তাকে অটোরিকশায় তুলে দেন ওই যুবক।

বাড়ি ফেরার পথে অটোরিকশা চালক নির্জন স্থানে নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন বলে দাবি ভুক্তভোগীর। রাত ১১টার দিকে রাস্তার পাশে তাকে ফেলে রেখে চলে যান অটোরিকশা চালক। পরে ভুক্তভোগী বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি জানালে পুলিশের সহায়তা নেন স্বজনরা।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, “ওই যুবক আমার মেয়ের পূর্ব পরিচিত। পূজা দেখার জন্য মেয়েকে সে ডেকে নেয়। ফেরার পথে তাকে জোর করে অটোরিকশায় তুলে দিলে এ ঘটনা ঘটে। অটোরিকশা চালক এ ঘটনায় জড়িত। আমরা বিচার চাই।”

পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মেয়েটি উপজেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। গত সোমবার দুপুরে সে তার বন্ধুর সঙ্গে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকালের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেন ওই বন্ধু।

এ সময় অটোরিকশা চালক হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় মেয়েটিকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশা চালক চলে যান। এরপর মেয়েটিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযুক্ত আবুল বাশারের বাড়িতে যায়। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় পুলিশ তার অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নিজেদের কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযোগ দিচ্ছেন। অভিযোগ হাতে পেলেই আমরা রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করব। অভিযুক্তকেও আমরা ধরে ফেলব।’

ওসি হাফিজুল ইসলাম বলেন, “আপাতত একজনকে আসামি করা হচ্ছে। অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। তদন্তে আরও কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”

 

Please Share This Post in Your Social Media

পূজা দেখতে বেরিয়ে ‘ধর্ষণের’ শিকার স্কুলছাত্রী

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:১২:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলায় পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে ঘুরতে নিয়ে এক গারো স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আবুল বাশার (২৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলা শহরে এ ঘটনা ঘটে। তবে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত পর্যন্ত অভিযুক্ত অটোরিকশা চালককে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে পূজা দেখার জন্য মোবাইল ফোনে নবম শ্রেণির ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন এক যুবক। সারাদিন পূজা দেখে রাতে তাকে অটোরিকশায় তুলে দেন ওই যুবক।

বাড়ি ফেরার পথে অটোরিকশা চালক নির্জন স্থানে নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন বলে দাবি ভুক্তভোগীর। রাত ১১টার দিকে রাস্তার পাশে তাকে ফেলে রেখে চলে যান অটোরিকশা চালক। পরে ভুক্তভোগী বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি জানালে পুলিশের সহায়তা নেন স্বজনরা।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, “ওই যুবক আমার মেয়ের পূর্ব পরিচিত। পূজা দেখার জন্য মেয়েকে সে ডেকে নেয়। ফেরার পথে তাকে জোর করে অটোরিকশায় তুলে দিলে এ ঘটনা ঘটে। অটোরিকশা চালক এ ঘটনায় জড়িত। আমরা বিচার চাই।”

পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মেয়েটি উপজেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। গত সোমবার দুপুরে সে তার বন্ধুর সঙ্গে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকালের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেন ওই বন্ধু।

এ সময় অটোরিকশা চালক হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় মেয়েটিকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশা চালক চলে যান। এরপর মেয়েটিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযুক্ত আবুল বাশারের বাড়িতে যায়। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় পুলিশ তার অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নিজেদের কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযোগ দিচ্ছেন। অভিযোগ হাতে পেলেই আমরা রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করব। অভিযুক্তকেও আমরা ধরে ফেলব।’

ওসি হাফিজুল ইসলাম বলেন, “আপাতত একজনকে আসামি করা হচ্ছে। অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। তদন্তে আরও কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”