ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর টাইমস হায়ার র‍্যাঙ্কিংয়ে মাভাবিপ্রবি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া ৯ মাসে ইতালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী প্রত্যেক উপদেষ্টাই বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা আবারও ফিল্মফেয়ারের মঞ্চ মাতাবেন শাহরুখ ইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে: চরমোনাই পীর আমলাতন্ত্রকে একটি নির্দিষ্ট দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল মিশরের বিচার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠক কারামুক্ত শহিদুল আলম, গেলেন তুরস্কে

পুলিশের বাধায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির সমাবেশ ভন্ডুল, লাঠিপেটায় ছত্রভঙ্গ নেতাকর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৪২ Time View

পুলিশ জলকামান থেকে পানি ছুড়ে ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করেছে

রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ডাকা কর্মী সমাবেশ ঘিরে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ ঘটনার পর লাঠিপেটার পাশাপাশি কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের ফটক বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বন্ধ দেখা গেছে। সামনে পুলিশের অবস্থান ছিল। পৌনে পাঁচটার দিকে পুলিশের সামনেই কার্যালয়ের সামনে থেকে দলটির একটি মিছিল বিজয়নগর থেকে পল্টনের দিকে রওনা হয়। এ সময় রাস্তার আরেক পাশ থেকে একটি মিছিল থেকে ৯-১০ জন এসে তাদের ওপর চড়াও হয়। এতে জাতীয় পার্টির একজন আহত হয়। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশের বক্তব্য, মৌখিকভাবে জাতীয় পার্টিকে বলা হয়েছিল রাস্তা দখল না করে কর্মসূচি পালন করতে। কিন্তু তারা রাস্তার ওপর চেয়ার বসিয়ে মঞ্চ স্থাপন করে। কয়েকবার তাদের সতর্ক করার পরও শোনেনি। অন্যদিকে দলটির দাবি সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে সমাবেশ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এমনটা করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা কাকরাইলের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন। তখন পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে। এ সময় পুলিশ জলকামান থেকে পানি ছুড়ে ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।

জাপার মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ছিল। সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে সমাবেশ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এমনটা করেছে। পুলিশের সংযত আচরণ করা উচিত ছিল। আমাদের বেশ কয়েকজন নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ যেভাবে পেছন থেকে আক্রমণ করেছে, পানি ছিটিয়েছে, তাতে পদদলিত হয়ে অনেক মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। পুলিশ দায়িত্বহীন আচরণ করেছে।’

পুলিশের রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আমাদের একটি আবেদন করেছিল, সেটা আমরা গ্রহণ করিনি। এটা তো রাস্তা, আপনারা তো রাস্তায় কর্মসূচি পালন করতে পারেন না। মৌখিকভাবে আমরা তাদের বলেছিলাম রাস্তা দখল না করে কর্মসূচি পালন করতে। কিন্তু তারা রাস্তার ওপর চেয়ার বসিয়ে মঞ্চ স্থাপন করে। আমরা তাদের কয়েকবার সতর্ক করেছি, আমাদের পুলিশ কর্মকর্তা রমনা থানার ওসি নিজে গিয়ে তাদের রাস্তা ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারপরও তারা সরে না গেলে আমরা ছত্রভঙ্গ করার জন্য যা যা করার দরকার ছিল, তা করেছি।’

দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, বন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে ‘কর্মী সমাবেশ’ করছিল দলটি। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গত ৩০ আগস্ট জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

পুলিশের বাধায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির সমাবেশ ভন্ডুল, লাঠিপেটায় ছত্রভঙ্গ নেতাকর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৬:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ডাকা কর্মী সমাবেশ ঘিরে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ ঘটনার পর লাঠিপেটার পাশাপাশি কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের ফটক বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বন্ধ দেখা গেছে। সামনে পুলিশের অবস্থান ছিল। পৌনে পাঁচটার দিকে পুলিশের সামনেই কার্যালয়ের সামনে থেকে দলটির একটি মিছিল বিজয়নগর থেকে পল্টনের দিকে রওনা হয়। এ সময় রাস্তার আরেক পাশ থেকে একটি মিছিল থেকে ৯-১০ জন এসে তাদের ওপর চড়াও হয়। এতে জাতীয় পার্টির একজন আহত হয়। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশের বক্তব্য, মৌখিকভাবে জাতীয় পার্টিকে বলা হয়েছিল রাস্তা দখল না করে কর্মসূচি পালন করতে। কিন্তু তারা রাস্তার ওপর চেয়ার বসিয়ে মঞ্চ স্থাপন করে। কয়েকবার তাদের সতর্ক করার পরও শোনেনি। অন্যদিকে দলটির দাবি সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে সমাবেশ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এমনটা করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা কাকরাইলের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন। তখন পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে। এ সময় পুলিশ জলকামান থেকে পানি ছুড়ে ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।

জাপার মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ছিল। সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে সমাবেশ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এমনটা করেছে। পুলিশের সংযত আচরণ করা উচিত ছিল। আমাদের বেশ কয়েকজন নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ যেভাবে পেছন থেকে আক্রমণ করেছে, পানি ছিটিয়েছে, তাতে পদদলিত হয়ে অনেক মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। পুলিশ দায়িত্বহীন আচরণ করেছে।’

পুলিশের রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আমাদের একটি আবেদন করেছিল, সেটা আমরা গ্রহণ করিনি। এটা তো রাস্তা, আপনারা তো রাস্তায় কর্মসূচি পালন করতে পারেন না। মৌখিকভাবে আমরা তাদের বলেছিলাম রাস্তা দখল না করে কর্মসূচি পালন করতে। কিন্তু তারা রাস্তার ওপর চেয়ার বসিয়ে মঞ্চ স্থাপন করে। আমরা তাদের কয়েকবার সতর্ক করেছি, আমাদের পুলিশ কর্মকর্তা রমনা থানার ওসি নিজে গিয়ে তাদের রাস্তা ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারপরও তারা সরে না গেলে আমরা ছত্রভঙ্গ করার জন্য যা যা করার দরকার ছিল, তা করেছি।’

দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, বন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে ‘কর্মী সমাবেশ’ করছিল দলটি। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গত ৩০ আগস্ট জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা হয়।