ঢাকা ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের গুলিতে আহত নোয়াখালীর আসিফ মারা গেছে

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৪২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৭ Time View

নোয়াখালীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত আসিফ (২২) মারা গেছেন।

আজ শুক্রবার ভোর রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আসিফ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারশিপুর ইউনিয়নের মিরআলীপুর গ্রামের আমির আলী মুন্সি বাড়ির মোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রঙ মিস্ত্রি।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট জেলার সোনাইমুড়ী থানায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ চলাকালে আসিফ পুলিশের গুলিতে আহত হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ঘটনার ১১ দিন পর আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার দিন বিকেল ৪টায় সোনাইমুড়ী থানায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিটিং করছে বলে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় জনতা থানায় গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বের করে দেয়ার জন্য বলে। পুলিশ বলে এখানে কেউ নেই। পরে জনতা থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে একজন মারা যায় এবং আসিফসহ কয়েকজন আহত হয়। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষনিক বেগমগনজ ও মাইজদী থেকে ট্রাক ভর্তি কয়েক হাজার জনতা থানা ঘেরাও করে। এ সময় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)-সহ তিনজন ও আন্দোলনকারীদের তিনজন মারা যায়। এতে আহত হয় অর্ধশত। পরে জনতা থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

পুলিশের গুলিতে আহত নোয়াখালীর আসিফ মারা গেছে

নোয়াখালী প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:৪২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

নোয়াখালীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত আসিফ (২২) মারা গেছেন।

আজ শুক্রবার ভোর রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আসিফ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারশিপুর ইউনিয়নের মিরআলীপুর গ্রামের আমির আলী মুন্সি বাড়ির মোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রঙ মিস্ত্রি।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট জেলার সোনাইমুড়ী থানায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ চলাকালে আসিফ পুলিশের গুলিতে আহত হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ঘটনার ১১ দিন পর আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার দিন বিকেল ৪টায় সোনাইমুড়ী থানায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিটিং করছে বলে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় জনতা থানায় গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বের করে দেয়ার জন্য বলে। পুলিশ বলে এখানে কেউ নেই। পরে জনতা থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে একজন মারা যায় এবং আসিফসহ কয়েকজন আহত হয়। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষনিক বেগমগনজ ও মাইজদী থেকে ট্রাক ভর্তি কয়েক হাজার জনতা থানা ঘেরাও করে। এ সময় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)-সহ তিনজন ও আন্দোলনকারীদের তিনজন মারা যায়। এতে আহত হয় অর্ধশত। পরে জনতা থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।