অবস্থান অজানা
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে থাকছেন না নোবেলজয়ী মাচাদো
- Update Time : ০৭:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ২৯ Time View
এবছর শান্তিতে নোবেলজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো বুধবার নরওয়ের অসলোতে অনুষ্ঠেয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন না।
‘নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট’-এর পরিচালক এ খবর জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, মাচাদোর বর্তমান অবস্থান জানা নেই। ৫৮ বছর বয়সী ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মাচাদোর নরওয়ের অসলো সিটি হলে আয়োজিত নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরস্কার নেওয়ার কথা ছিল।
এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে, নরওয়ের রাজা হ্যারল্ড, রানি সোনজা, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই ও ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়ারের মতো লাতিন আমেরিকার নেতাদের। অনুষ্ঠানটি বুধবার নরওয়ের স্থানীয় সময় বেলা একটায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
ভেনেজুয়েলার নিকোলাস মাদুরো সরকারের আরোপিত এক দশকের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাচাদো নোবেল পুরস্কার নিতে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ভেনেজুয়েলায় আত্মগোপনে রয়েছেন।
ভেনেজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল সম্প্রতি বলেছিলেন, মাচাদো পুরষ্কার নিতে দেশ ছাড়লে তাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করা হবে। তবে মাচাদো এই হুমকি উপেক্ষা করেই নোবেল পুরস্কার নিতে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন।
তবে তার বর্তমান অবস্থান অজানা। নোবেল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও পুরস্কার বিতরণ প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী সেক্রেটারি ক্রিস্টিয়ান বার্গ হার্পভিকেন সম্প্রচারমাধ্যম এনআরকে-কে বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, মাচাদো নরওয়েতে নেই। বেলা একটায় অনুষ্ঠান শুরু হলেও অসলো সিটি হলের মঞ্চে তিনি থাকবেন না।”
মাচাদো কোথায় আছেন জানতে চাইলে হার্পভিকেন বলেন, ‘আমি জানি না।’ অনুষ্ঠান সময়মতোই অনুষ্ঠিত হবে। পুরস্কার নিতে কেউ যেতে না পারলে সাধারণত পুরস্কারজয়ীর পরিবারের কেউ সেটি নিয়ে থাকেন।
মাচাদোর ক্ষেত্রে তার অনুপুস্থিতিতে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করবেন মেয়ে আনা কোরিনা সোসা মাচাদো, বলেন হার্পভিকেন। ভেনেজুয়েলায় বাড়তে থাকা কর্তৃত্ববাদের মুখে প্রতিরোধ এবং গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে ওঠা মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে এবছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে নোবেল কমিটি।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর কঠোর শাসনের বিরোধিতায় মাচাদো এক গুরুত্বপূর্ণ মুখ এবং নির্ভীক এক কর্মী।
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ইয়রগেন ওয়াটনে ফ্রিডনেস সাংবাদিকদের সামনে শান্তি পুরস্কারের জন্য মাচাদোর নাম ঘোষণার শুরুতেই বলেছিলেন, “এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে একজন সাহসী এবং নিবেদিতপ্রাণ শান্তির চ্যাম্পিয়নকে, একজন নারীকে যিনি অন্ধকারেও গণতন্ত্রের আলো জ্বলিয়ে রেখেছেন”।





















































































































































































