ঢাকা ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সৌদি আরবে মদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি ‘ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর’ আ.লীগ সরকার উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে: সারজিস আলম চাঁদ দেখা গেছে , সৌদিতে ঈদ ৬ জুন ১৯ বছর পর পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে কুয়েত মিরপুরে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাই শান্তিতে বসে রুটি খাও, নইলে আমার গুলি তো আছেই : মোদি মাতারবাড়ি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামো দ্রুত উন্নয়নের তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নিয়োগে কোনো দলমত দেখা হয়নি: ড. ওয়াহিদউদ্দিন ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ২১ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুবি সাকা চৌধুরী কিংবা সাঈদী এভাবেই ফিরে আসতে পারতেন: সারজিস
দাবি রাশিয়ার

পুতিনের হেলিকপ্টার ‘লক্ষ্য করে’ ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৩৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / ১০৪ Time View

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে লক্ষ্য করে ইউক্রেন একটি হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা করেছিল বলে দাবি করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার এক সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০ মে তারিখে কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের একটি ড্রোন হামলার সময় পুতিনের হেলিকপ্টারকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

সোমবার (২৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।

রুশ বার্তা সংস্থা আরবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটের কমান্ডার ইউরি দাশকিন বলেন, রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ড্রোনটি পুতিনের উড়ানের পথের দিকে আসতে দেখে সেটিকে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করে দেয়।

তিনি আরও জানান, ২০ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত ইউক্রেনের পক্ষ থেকে রাশিয়ার ওপর ব্যাপক ড্রোন হামলা চালানো হয়, যেখানে মোট ১,১৭০টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

কমান্ডার দাশকিন বলেন, ২০ মে তারিখে প্রেসিডেন্ট পুতিনের কুরস্ক সফরের সময় ইউক্রেনের পক্ষ থেকে একটি নজিরবিহীন বিমান হামলা চালানো হয়, যেখানে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ৪৬টি ড্রোন ভূপাতিত করে।

তিনি যোগ করেন, প্রেসিডেন্টের বিমান যখন কুরস্ক অঞ্চলের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল, তখন হামলার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। আমরা একদিকে বিমান হামলা প্রতিহত করছিলাম, অন্যদিকে প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছিলাম।

দাশকিনের দাবি অনুযায়ী, পুতিনের হেলিকপ্টার কার্যত ইউক্রেনের বিশাল ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।

তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের হেলিকপ্টারের উড্ডয়নের পথে একটি ড্রোন আসছিল, যেটি সঙ্গে সঙ্গেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী ধ্বংস করে দেয়।

প্রেসিডেন্ট পুতিন কুরস্কে ওই সপ্তাহে সফরে ছিলেন, যা মার্চ মাসের পর তার প্রথম কুরস্ক সফর। এই ঘটনায় কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি এবং রাষ্ট্রপতির কনভয় নিরাপদে এগিয়ে যায়।

তবে ঘটনাটি ইউক্রেনের ড্রোন প্রযুক্তির সামর্থ্য নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে, এটি একটি সরাসরি হত্যা প্রচেষ্টা ছিল কিনা, নাকি ইউক্রেনের একটি মানসিক চাপ তৈরির কৌশল।

কুরস্কে ইউক্রেনের অভিযান

২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে কুরস্ক অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালায় — যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে প্রথম বড় পররাষ্ট্রীয় আক্রমণ। ইউক্রেনীয় বাহিনী অঞ্চলটির কিছু অংশ দখলেও রাখে।

তবে ২০২৫ সালের ২৫ মার্চ রাশিয়া একটি বৃহৎ পাল্টা অভিযান চালায় এবং প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার বাহিনীও এই অভিযানে সহায়তা করে। এই অভিযানে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে পিছু হটতে হয়।

হত্যাচেষ্টা, ভ্লাদিমির পুতিন, ড্রোন হামলা

Please Share This Post in Your Social Media

দাবি রাশিয়ার

পুতিনের হেলিকপ্টার ‘লক্ষ্য করে’ ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৫:৩৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে লক্ষ্য করে ইউক্রেন একটি হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা করেছিল বলে দাবি করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার এক সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০ মে তারিখে কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের একটি ড্রোন হামলার সময় পুতিনের হেলিকপ্টারকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

সোমবার (২৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।

রুশ বার্তা সংস্থা আরবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটের কমান্ডার ইউরি দাশকিন বলেন, রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ড্রোনটি পুতিনের উড়ানের পথের দিকে আসতে দেখে সেটিকে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করে দেয়।

তিনি আরও জানান, ২০ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত ইউক্রেনের পক্ষ থেকে রাশিয়ার ওপর ব্যাপক ড্রোন হামলা চালানো হয়, যেখানে মোট ১,১৭০টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

কমান্ডার দাশকিন বলেন, ২০ মে তারিখে প্রেসিডেন্ট পুতিনের কুরস্ক সফরের সময় ইউক্রেনের পক্ষ থেকে একটি নজিরবিহীন বিমান হামলা চালানো হয়, যেখানে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ৪৬টি ড্রোন ভূপাতিত করে।

তিনি যোগ করেন, প্রেসিডেন্টের বিমান যখন কুরস্ক অঞ্চলের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল, তখন হামলার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। আমরা একদিকে বিমান হামলা প্রতিহত করছিলাম, অন্যদিকে প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছিলাম।

দাশকিনের দাবি অনুযায়ী, পুতিনের হেলিকপ্টার কার্যত ইউক্রেনের বিশাল ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।

তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের হেলিকপ্টারের উড্ডয়নের পথে একটি ড্রোন আসছিল, যেটি সঙ্গে সঙ্গেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী ধ্বংস করে দেয়।

প্রেসিডেন্ট পুতিন কুরস্কে ওই সপ্তাহে সফরে ছিলেন, যা মার্চ মাসের পর তার প্রথম কুরস্ক সফর। এই ঘটনায় কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি এবং রাষ্ট্রপতির কনভয় নিরাপদে এগিয়ে যায়।

তবে ঘটনাটি ইউক্রেনের ড্রোন প্রযুক্তির সামর্থ্য নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে, এটি একটি সরাসরি হত্যা প্রচেষ্টা ছিল কিনা, নাকি ইউক্রেনের একটি মানসিক চাপ তৈরির কৌশল।

কুরস্কে ইউক্রেনের অভিযান

২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে কুরস্ক অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালায় — যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে প্রথম বড় পররাষ্ট্রীয় আক্রমণ। ইউক্রেনীয় বাহিনী অঞ্চলটির কিছু অংশ দখলেও রাখে।

তবে ২০২৫ সালের ২৫ মার্চ রাশিয়া একটি বৃহৎ পাল্টা অভিযান চালায় এবং প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার বাহিনীও এই অভিযানে সহায়তা করে। এই অভিযানে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে পিছু হটতে হয়।

হত্যাচেষ্টা, ভ্লাদিমির পুতিন, ড্রোন হামলা