ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে কুবির এক শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, ভুয়া ‘মেজর’ আটক মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড

পিলখানা হত্যাকাণ্ড : হাসিনা-মইনসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

নওরোজ ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৪১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৯৮ Time View

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দপুর ২টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পিলখানা গণহত্যায় শহীদ সেনা অফিসারদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগ জমা দেন।

অভিযোগ দাখিলের পর তারা সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিরোধী রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুই শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান তথা: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) ধ্বংসের নীলনকশা প্রণয়ন করে।

সেই লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য সর্বপ্রথম শিকারে পরিণত হয় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসে কর্মরত পেশাদার, সৎ, দক্ষ, মেধাবী ও দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর অফিসারদের একটি অংশ। শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর উক্ত দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের নিজের স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত করার ক্ষেত্রে প্রথম ও প্রধানতম অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করে। উক্ত সেনা অফিসারদের ওপর গণহত্যা সংঘটন করার মাধ্যমে নিজের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকীর নেতৃত্ব, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অন্যান্য আসামিগণ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এই হত্যাযজ্ঞ চালায়। এই ঘটনায় ৭৪ জন প্রাণ হারান। শেখ হাসিনা এই গণহত্যাকে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীসহ সকল দেশপ্রেমিক জনগণকে কড়া বার্তা দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে।

তারা অভিযোগ করে বলেন, রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত পিলখানা সদর দফতরে তৎকালীন বিডিআরে কর্মরত দেশপ্রেমিক নিরস্ত্র সেনাবাহিনী অফিসার এবং তাদের পরিবার বর্গকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের ওপর পদ্ধতিগত উপায়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালায় এবং তাদের পরিবার-পরিজনকে আটকাবস্থায় জিম্মি করে। কিছু সেনাবাহিনী অফিসারের লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়, লুটপাট চালিয়ে এবং শারীরিক-মানসিকভাবে আঘাত ও লাঞ্ছিত করে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করে।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

পিলখানা হত্যাকাণ্ড : হাসিনা-মইনসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

নওরোজ ডেস্ক
Update Time : ০৫:৪১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দপুর ২টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পিলখানা গণহত্যায় শহীদ সেনা অফিসারদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগ জমা দেন।

অভিযোগ দাখিলের পর তারা সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিরোধী রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুই শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান তথা: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) ধ্বংসের নীলনকশা প্রণয়ন করে।

সেই লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য সর্বপ্রথম শিকারে পরিণত হয় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসে কর্মরত পেশাদার, সৎ, দক্ষ, মেধাবী ও দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর অফিসারদের একটি অংশ। শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর উক্ত দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের নিজের স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত করার ক্ষেত্রে প্রথম ও প্রধানতম অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করে। উক্ত সেনা অফিসারদের ওপর গণহত্যা সংঘটন করার মাধ্যমে নিজের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকীর নেতৃত্ব, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অন্যান্য আসামিগণ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এই হত্যাযজ্ঞ চালায়। এই ঘটনায় ৭৪ জন প্রাণ হারান। শেখ হাসিনা এই গণহত্যাকে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীসহ সকল দেশপ্রেমিক জনগণকে কড়া বার্তা দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে।

তারা অভিযোগ করে বলেন, রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত পিলখানা সদর দফতরে তৎকালীন বিডিআরে কর্মরত দেশপ্রেমিক নিরস্ত্র সেনাবাহিনী অফিসার এবং তাদের পরিবার বর্গকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের ওপর পদ্ধতিগত উপায়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালায় এবং তাদের পরিবার-পরিজনকে আটকাবস্থায় জিম্মি করে। কিছু সেনাবাহিনী অফিসারের লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়, লুটপাট চালিয়ে এবং শারীরিক-মানসিকভাবে আঘাত ও লাঞ্ছিত করে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করে।

নওরোজ/এসএইচ