পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ২ আসামী গ্রেপ্তার

- Update Time : ০৯:৫২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
- / ৩৪৭ Time View
পিরোজপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পিটিয়ে সৈয়দ রাসেল নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যায় অভিযুক্ত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস কনফারেন্সে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মো: রিয়াজুল (১৭) পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের গাংগুয়া শেখের পুত্র এবং মো: মিরাজুল (২০) একই এলাকার আল আমিনের পুত্র।
নিহত সৈয়দ রাসেল (২২) পিরোজপুর পৌরসভার মুক্তারকাঠী এলাকার সৈয়দ ইদ্রিস মীরের ছেলে। সে পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং কলেজ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, গত ১৫ এপ্রিল পিরোজপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের টাকা দাখিলের দিনও সৈয়দ রাসেল এবং রিয়াজুলের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। তারা পুলিশের নিকট অভিযোগ না দিয়ে রাজনৈতিক ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করতে থাকে। পূর্বে ২০২২ সালেও তাদের উভয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনায় আসামীর হাত ভাঙ্গার ঘটনা ঘটে। উক্ত রিয়াজুল সেই ক্ষোভ মনে পুষে রাখে এবং রাসেলের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে কদমতলা ব্রিজের ঢালে উক্ত রাসেলকে পেয়ে তার মাথায় গাছের চ্যারা, জিআই পাইপ দিয়ে সজোড়ে বাড়ি মারে পরবর্তীতে মিরাজসহ অন্যান্য আসামীরা রাসেলকে লাঠি সোটা দিয়ে পিটাইতে থাকে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তাকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ও পরে খুলনা সিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় ঐদিন রাত ১১ টার দিকে রাসেল মারা যায়।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম আরো জানান, এ ঘটনার পরপরই নিহতের বোন মায়া আক্তার পিরোজপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পিরোজপুর সদর থানা অভিযান চালিয়ে বুধবার পুলিশ ঢাকার শ্যামলী এলাকা থেকে আসামী রিয়াজুল ও মিরাজুল গ্রেপ্তার করে।
প্রেস কনফারেন্সে এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শেখ মুস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো: মুকিত হাসান খাঁন, পিরোজপুর সদর উপজেলা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশিকুজ্জামান।