পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে নদীতে বাঁধ দিচ্ছে কাবুল
- Update Time : ০২:১৫:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
- / ৯২ Time View
পাকিস্তানে পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে নদীতে বাঁধ নির্মাণ করতে যাচ্ছে আফগানিস্তান। দেশটির কুনার নদীতে এ বাঁধ নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পানিসম্পদমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল লতিফ মানসুর জানিয়েছেন, প্রধান ধর্মীয় নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা নিজে বাঁধ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। গত দুই সপ্তাহে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে শুক্রবার বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনার তথ্য সামনে এলো।
লতিফ মানসুর বলেছেন, আফগানদের নিজেদের পানি নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার রয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধ হয়। এর পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিল ও পাকিস্তানে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। ৪৮০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ কুনার নদীর উৎপত্তি পাকিস্তানের চিত্রাল বিভাগের কাছের হিন্দুকুশ পর্বতে। এটি দক্ষিণ কুনার দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আফগানিস্তানের নানগারহার হয়ে আবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় প্রবেশ করেছে। এর পর এটি জালালাবাদের কাছ দিয়ে কাবুল নদীতে যুক্ত হয়েছে, যা পাকিস্তানে চিত্রাল নদী হিসেবে পরিচিত। সবশেষে নদীটি পাঞ্জাবের অ্যাটোকের কাছে সিন্ধু নদের সঙ্গে মিলে গেছে।
কুনার এবং কাবুল/চিত্রাল নদী পাকিস্তানের সেচ, খাবার পানি এবং জলবিদ্যুতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়ার মানুষের বেঁচে থাকার জন্য নদীগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি নদীগুলোর প্রবাহ কমে যায় তাহলে সুপেয় পানির অভাব দেখা দেবে। সঙ্গে নদীর নিম্নভাগের কৃষিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আফগানিস্তানের সঙ্গে যেহেতু পাকিস্তানের কোনো নদী বা পানিবণ্টন চুক্তি নেই, তাই আফগানদের এ সিদ্ধান্তে পাকিস্তান খুব বেশি কিছু করতে পারবে না।
ইসলামাবাদে টমেটোর কেজি ৬০০ রুপি
আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে সংঘাতের কারণে পাকিস্তানের প্রধান সীমান্ত ক্রসিংগুলো দিয়ে বাণিজ্য ও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দেশজুড়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (বাংলাদেশি প্রায় ২৬০ টাকা) পর্যন্ত পৌঁছেছে। এ নিয়ে ইসলামাবাদের বাসিন্দারা চিন্তিত। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর পাকিস্তান চলতি মাসের শুরুতে উত্তর-পশ্চিমের টরখাম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের চমন সীমান্ত ক্রসিংগুলো বন্ধ করে দেয়। সাধারণত পাকিস্তানে উৎপাদন কমে গেলে আফগানিস্তান থেকে এই দুটি সীমান্ত দিয়ে টমেটো এবং অন্যান্য দ্রুত পচনশীল পণ্য আমদানি করা হয়, যা দেশের ঘাটতি পূরণ করে। খবর দ্য ডন ও ফার্স্টপোস্টের।







































































































































































































