ঢাকা ১২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

নওরোজ রিপোর্ট
  • Update Time : ০৪:৫০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১২ Time View

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার এবং দেশ থেকে অভিবাসনের ব্যয় কমাতে সহায়তা করার জন্য সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (১০নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত ডেরেক লো সাক্ষাৎ করতে আসলে প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সহায়তা চান। জবাবে রাষ্ট্রদূত লো সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানান।

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার সরকার প্রতিবেশিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে এবং সার্ককে দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশিদের সঙ্গে আরও ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে।

তিনি আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির জন্য সিঙ্গাপুরের সমর্থন চেয়েছিলেন, যার প্রতি ডেরেক লো বলেছেন, এবিষয়ে তার দেশের মনোভাব ইতিবাচক।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ঢাকা তার পশ্চিম ও পূর্বের মিত্রদের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে।

সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ডিরেক্টর ফ্রান্সিস চং বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২১ সালে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব করেছিল। প্রস্তাবিত এফটিএ-র ওপর একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং উভয় দেশই এখন কীভাবে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করা যায়, তার সুযোগ নির্ধারণ করবে, বলেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত লো বলেন, সিঙ্গাপুর পানি শোধন এবং বর্জ্য শক্তি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তার দক্ষতা শেয়ার করতে পেরে খুশি হবে। তিনি উভয় দেশের খাদ্য সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার প্রস্তাব করেন।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্রনীতি, শিপিং, শিক্ষা এবং নিজ নিজ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব ও মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং ঢাকায় সিঙ্গাপুরের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স মাইকেল লি।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

নওরোজ রিপোর্ট
Update Time : ০৪:৫০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার এবং দেশ থেকে অভিবাসনের ব্যয় কমাতে সহায়তা করার জন্য সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (১০নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত ডেরেক লো সাক্ষাৎ করতে আসলে প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সহায়তা চান। জবাবে রাষ্ট্রদূত লো সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানান।

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার সরকার প্রতিবেশিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে এবং সার্ককে দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশিদের সঙ্গে আরও ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে।

তিনি আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির জন্য সিঙ্গাপুরের সমর্থন চেয়েছিলেন, যার প্রতি ডেরেক লো বলেছেন, এবিষয়ে তার দেশের মনোভাব ইতিবাচক।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ঢাকা তার পশ্চিম ও পূর্বের মিত্রদের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে।

সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ডিরেক্টর ফ্রান্সিস চং বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২১ সালে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব করেছিল। প্রস্তাবিত এফটিএ-র ওপর একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং উভয় দেশই এখন কীভাবে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করা যায়, তার সুযোগ নির্ধারণ করবে, বলেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত লো বলেন, সিঙ্গাপুর পানি শোধন এবং বর্জ্য শক্তি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তার দক্ষতা শেয়ার করতে পেরে খুশি হবে। তিনি উভয় দেশের খাদ্য সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার প্রস্তাব করেন।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্রনীতি, শিপিং, শিক্ষা এবং নিজ নিজ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব ও মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং ঢাকায় সিঙ্গাপুরের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স মাইকেল লি।

নওরোজ/এসএইচ