ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পাশ থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে : এনসিপি গাজা যাওয়ার পথে ত্রাণবাহী জাহাজে ড্রোন হামলা দিনাজপুরের বেদানা লিচু এবার জিআই পণ্যের তালিকায় খালেদা জিয়া সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছাবেন: মির্জা ফখরুল টঙ্গীতে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ‘নারকাটা’ মাসুদ গ্রেপ্তার পত্রিকা বিক্রেতা হত্যা মামলায় র‌্যাবের জালে ৪ জন গ্রেফতার জেলি পুশ করা ৫ পিকআপ চিংড়ি মাছ জব্দ, ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা হত্যাচেষ্টা মামলায় শাওন-জায়েদ খানসহ ২০১ জন আসামি

পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় ৫ সেনাঘাঁটিতে গোলাগুলি

আন্তর্জাতিক
  • Update Time : ০৪:৩২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
  • / ৬ Time View

কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে টানা ৮ দিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতেও এই গোলাগুলি হয়েছে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। খবর এনডিটিভি।

এনিয়ে টানা আট রাত ধরে কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল।

অবশ্য ভারতীয় গণমাধ্যমে গোলাগুলির বিষয়ে বরাবরের মতো পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হলেও বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যমে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর পাকিস্তান সেনাবাহিনী টানা অষ্টম রাতেও বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন চৌকি থেকে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। এই গুলির লক্ষ্য ছিল কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, নওশেরা ও আখনুর—জম্মু ও কাশ্মীরের এই এলাকাগুলোর বিপরীতে থাকা ভারতীয় পোস্টগুলো। ভারতীয় সেনাবাহিনীও এই ৭৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে পালটা জবাব দিয়েছে।

গোলাগুলি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন এপ্রিলের ২২ তারিখ পেহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে টানাপড়েন চরমে পৌঁছেছে। দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি নানা শাস্তিমূলক পদক্ষেপও নিচ্ছে।

এনডিটিভির দাবি, ভারত গত ২৪ এপ্রিল রাতে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে বিনা উসকানিতে গুলি চালাচ্ছে। আর গত মঙ্গলবার পাকিস্তান এই গুলি চালানোর ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত করে আন্তর্জাতিক সীমান্তের পারগওয়াল সেক্টর পর্যন্ত নিয়ে যায়, যা জম্মু জেলার অন্তর্ভুক্ত।

ওই দিনই ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) হটলাইন ফোনে কথা বলেন। এই আলোচনায় পাকিস্তানকে বিনা উসকানিতে গুলি চালানো বন্ধ করার জন্য সতর্ক করা হয়, এমন দাবিই করেছে পিটিআই।

পেহেলগাঁওয়ে হামলার পরদিনই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে ছিল সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, আতারি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনতির ঘোষণা। ভারতের দাবি, হামলার সঙ্গে সীমান্তপারের সন্ত্রাসীদের সংযোগ আছে।

জবাবে পাকিস্তান তার আকাশসীমা ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য বন্ধ করে দেয় এবং ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে। এমনকি তৃতীয় দেশের মাধ্যমে বাণিজ্যও বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান।

এছাড়া পাকিস্তান ভারতের পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে এবং হুঁশিয়ারি দেয়, পানি বন্ধ করে দেওয়া হলে সেটি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় ৫ সেনাঘাঁটিতে গোলাগুলি

আন্তর্জাতিক
Update Time : ০৪:৩২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে টানা ৮ দিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতেও এই গোলাগুলি হয়েছে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। খবর এনডিটিভি।

এনিয়ে টানা আট রাত ধরে কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল।

অবশ্য ভারতীয় গণমাধ্যমে গোলাগুলির বিষয়ে বরাবরের মতো পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হলেও বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যমে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর পাকিস্তান সেনাবাহিনী টানা অষ্টম রাতেও বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন চৌকি থেকে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। এই গুলির লক্ষ্য ছিল কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, নওশেরা ও আখনুর—জম্মু ও কাশ্মীরের এই এলাকাগুলোর বিপরীতে থাকা ভারতীয় পোস্টগুলো। ভারতীয় সেনাবাহিনীও এই ৭৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে পালটা জবাব দিয়েছে।

গোলাগুলি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন এপ্রিলের ২২ তারিখ পেহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে টানাপড়েন চরমে পৌঁছেছে। দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি নানা শাস্তিমূলক পদক্ষেপও নিচ্ছে।

এনডিটিভির দাবি, ভারত গত ২৪ এপ্রিল রাতে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে বিনা উসকানিতে গুলি চালাচ্ছে। আর গত মঙ্গলবার পাকিস্তান এই গুলি চালানোর ক্ষেত্র আরও বিস্তৃত করে আন্তর্জাতিক সীমান্তের পারগওয়াল সেক্টর পর্যন্ত নিয়ে যায়, যা জম্মু জেলার অন্তর্ভুক্ত।

ওই দিনই ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) হটলাইন ফোনে কথা বলেন। এই আলোচনায় পাকিস্তানকে বিনা উসকানিতে গুলি চালানো বন্ধ করার জন্য সতর্ক করা হয়, এমন দাবিই করেছে পিটিআই।

পেহেলগাঁওয়ে হামলার পরদিনই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে ছিল সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, আতারি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনতির ঘোষণা। ভারতের দাবি, হামলার সঙ্গে সীমান্তপারের সন্ত্রাসীদের সংযোগ আছে।

জবাবে পাকিস্তান তার আকাশসীমা ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য বন্ধ করে দেয় এবং ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে। এমনকি তৃতীয় দেশের মাধ্যমে বাণিজ্যও বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান।

এছাড়া পাকিস্তান ভারতের পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে এবং হুঁশিয়ারি দেয়, পানি বন্ধ করে দেওয়া হলে সেটি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে।