ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঁচ সম্পাদককে সম্মাননা দিল জাতীয় প্রেস ক্লাব

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ১০:০৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • / ৮২ Time View

সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টসহ বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে নির্যাতিত ও জুলুমের শিকার ৫ সম্পাদককে সম্মাননা দিয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাব।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়। সভার আয়োজন করে জাতীয় প্রেস ক্লাব।

সম্মাননাপ্রাপ্ত সম্পাদকরা হলেন- ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবির, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান ও দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ।

এ সময় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর হাতে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ। সভায় জুলাইয়ের ওপর কবিতা আবৃত্তি করেন দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাক্তার এজেডএম জাহিদ ও সাংবাদিক নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে পারস্পরিক একটা বোঝাপড়া থাকতে হবে। এই বোঝাপড়া না থাকলে, এই আমরা কাদা ছোড়াছুড়ি করছি, গণতন্ত্রে কাদা ছোড়াছুড়ি হবে-অনেক কথা আসবে। কিন্তু একটা সীমা থাকা দরকার। তা নাহলে একটা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যে তিক্ততা ভবিষ্যতে গিয়ে রাজনীতিকে আরও কলুষিত করবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন যে সময়টা, এটা হচ্ছে পারস্পরিক বোঝাপড়া করার সময়। একটু বুঝে নিয়ে, পরস্পরকে বুঝে দ্রুত আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্ট করি তাহলে ফলটা লাভ করবে জনগণ, তার একটা প্রতিনিধিত্ব তৈরি হবে এবং একটা সরকার তৈরি হবে। এর মাধ্যমে সব সমস্যা মিটে যাবে, তা না। কিন্তু একটা রাস্তা তৈরি হবে, যে রাস্তার মধ্যদিয়ে আমাদের এবং জনগণের কথাগুলো সেই সরকারের কাছে পৌঁছাতে পারবে।’

এর আগে শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ এবং জুলাই ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের শহীদ স্মরণে ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনের ফটো প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে এ সভা শুরু হয়। পরে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জুলাই-আগস্ট গণভ্যুত্থানের ওপর একটি আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এছাড়া প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব ও বিশেষ অতিথি দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, শহীদ জাবির ইব্রাহিমের বাবা কবির হোসেন, শহীদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদের মা ফাতেমা তুজ জোহরা বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া সভায় মানবজমিন-এর সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরীসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে দুই শহীদ পরিবারকেও সম্মাননা প্রদান করা হয়।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ২ জুলাই শহীদ পরিবারকেও সম্মাননা দেওয়া হয়। এর আগে জুলাই অভ্যুত্থানের ছবি প্রদর্শন করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

পাঁচ সম্পাদককে সম্মাননা দিল জাতীয় প্রেস ক্লাব

জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ১০:০৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

জুলাই-আগস্টসহ বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে নির্যাতিত ও জুলুমের শিকার ৫ সম্পাদককে সম্মাননা দিয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাব।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়। সভার আয়োজন করে জাতীয় প্রেস ক্লাব।

সম্মাননাপ্রাপ্ত সম্পাদকরা হলেন- ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবির, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান ও দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ।

এ সময় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর হাতে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ। সভায় জুলাইয়ের ওপর কবিতা আবৃত্তি করেন দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাক্তার এজেডএম জাহিদ ও সাংবাদিক নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে পারস্পরিক একটা বোঝাপড়া থাকতে হবে। এই বোঝাপড়া না থাকলে, এই আমরা কাদা ছোড়াছুড়ি করছি, গণতন্ত্রে কাদা ছোড়াছুড়ি হবে-অনেক কথা আসবে। কিন্তু একটা সীমা থাকা দরকার। তা নাহলে একটা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যে তিক্ততা ভবিষ্যতে গিয়ে রাজনীতিকে আরও কলুষিত করবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন যে সময়টা, এটা হচ্ছে পারস্পরিক বোঝাপড়া করার সময়। একটু বুঝে নিয়ে, পরস্পরকে বুঝে দ্রুত আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্ট করি তাহলে ফলটা লাভ করবে জনগণ, তার একটা প্রতিনিধিত্ব তৈরি হবে এবং একটা সরকার তৈরি হবে। এর মাধ্যমে সব সমস্যা মিটে যাবে, তা না। কিন্তু একটা রাস্তা তৈরি হবে, যে রাস্তার মধ্যদিয়ে আমাদের এবং জনগণের কথাগুলো সেই সরকারের কাছে পৌঁছাতে পারবে।’

এর আগে শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ এবং জুলাই ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের শহীদ স্মরণে ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনের ফটো প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে এ সভা শুরু হয়। পরে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জুলাই-আগস্ট গণভ্যুত্থানের ওপর একটি আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এছাড়া প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব ও বিশেষ অতিথি দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, শহীদ জাবির ইব্রাহিমের বাবা কবির হোসেন, শহীদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদের মা ফাতেমা তুজ জোহরা বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া সভায় মানবজমিন-এর সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরীসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে দুই শহীদ পরিবারকেও সম্মাননা প্রদান করা হয়।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ২ জুলাই শহীদ পরিবারকেও সম্মাননা দেওয়া হয়। এর আগে জুলাই অভ্যুত্থানের ছবি প্রদর্শন করা হয়।