ঢাকা ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ হারালেন আয়ামান সাদিক

নওরোজ ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:৪৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
  • / ৭৮ Time View

পাঁচ কোটি টাকা বিনিয়োগ হারালেন টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়ামান সাদিক।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টায় টেন মিনিট স্কুলের জন্য পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করার বিষয়টি জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, টেন মিনিট স্কুলের জন্য ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষ থেকে বাতিল করা হলো।

এর আগে, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকেও আয়মান সাদিকের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়। তবে স্টার্টআপ বাংলাদেশে ও জুনায়েদ আহমেদ পলক চুক্তি বাতিলের জন্য কোনো কারণ জানাননি।

টেন মিনিট স্কুলের সিইও আয়মান সাদিক দুদিন আগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের পক্ষ নিয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। লিখেছিলেন, ‘কোটা সংস্কার চাই, মেধা হোক সবচেয়ে বড় কোটা।’

এছাড়া সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানান আয়মান সাদিক। তিনি তার ফেসবুকে লিখেন, ‘রক্তাক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়! আমার ক্যাম্পাসে রক্ত কেন? প্রতিবাদ জানাই।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে ফেসবুক কাভার ফটোও দেন তিনি।

ধারণা করা হচ্ছে এসব পোস্টের প্রেক্ষিতেই তার সঙ্গে চুক্তিটি বাতিল করা হয়েছে।

২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা টেন মিনিট স্কুলে বর্তমানে ৬ষ্ঠ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইন ব্যাচে লাইভ ক্লাস ও পরীক্ষার মাধ্যমে বোর্ড সিলেবাসভিত্তিক পড়াশোনা ও পরীক্ষা প্রস্তুতির নিয়মিত সহায়তা করছে।

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী ও চাকরির প্রত্যাশীদেরও প্রস্তুতিতে সাহায্য করছে টেন মিনিট স্কুল।

এ অ্যাপে বাংলাদেশের বোর্ড সিলেবাসের ওপর ৩৫ হাজারেরও বেশি রেকর্ডেড ভিডিও লেকচার আছে। এর পাশাপাশি ৮২ হাজারেরও বেশি কুইজ আছে। এছাড়াও মডেল টেস্ট, ই-বুক, ও লেকচার শিটের মতো শিক্ষামূলক রিসোর্স টেন মিনিট স্কুল নিয়মিত শিক্ষার্থীদের দিয়ে থাকে। শিক্ষামূলক অ্যাপটি ব্যবহার করছে ৬৭ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। এছাড়া টেন মিনিট স্কুলের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কনটেন্ট থেকে প্রতি মাসে এক কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী অনলাইনে পড়শোনা করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ হারালেন আয়ামান সাদিক

নওরোজ ডেস্ক
Update Time : ০৩:৪৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

পাঁচ কোটি টাকা বিনিয়োগ হারালেন টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়ামান সাদিক।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টায় টেন মিনিট স্কুলের জন্য পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করার বিষয়টি জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, টেন মিনিট স্কুলের জন্য ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষ থেকে বাতিল করা হলো।

এর আগে, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকেও আয়মান সাদিকের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়। তবে স্টার্টআপ বাংলাদেশে ও জুনায়েদ আহমেদ পলক চুক্তি বাতিলের জন্য কোনো কারণ জানাননি।

টেন মিনিট স্কুলের সিইও আয়মান সাদিক দুদিন আগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের পক্ষ নিয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। লিখেছিলেন, ‘কোটা সংস্কার চাই, মেধা হোক সবচেয়ে বড় কোটা।’

এছাড়া সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানান আয়মান সাদিক। তিনি তার ফেসবুকে লিখেন, ‘রক্তাক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়! আমার ক্যাম্পাসে রক্ত কেন? প্রতিবাদ জানাই।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে ফেসবুক কাভার ফটোও দেন তিনি।

ধারণা করা হচ্ছে এসব পোস্টের প্রেক্ষিতেই তার সঙ্গে চুক্তিটি বাতিল করা হয়েছে।

২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা টেন মিনিট স্কুলে বর্তমানে ৬ষ্ঠ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইন ব্যাচে লাইভ ক্লাস ও পরীক্ষার মাধ্যমে বোর্ড সিলেবাসভিত্তিক পড়াশোনা ও পরীক্ষা প্রস্তুতির নিয়মিত সহায়তা করছে।

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী ও চাকরির প্রত্যাশীদেরও প্রস্তুতিতে সাহায্য করছে টেন মিনিট স্কুল।

এ অ্যাপে বাংলাদেশের বোর্ড সিলেবাসের ওপর ৩৫ হাজারেরও বেশি রেকর্ডেড ভিডিও লেকচার আছে। এর পাশাপাশি ৮২ হাজারেরও বেশি কুইজ আছে। এছাড়াও মডেল টেস্ট, ই-বুক, ও লেকচার শিটের মতো শিক্ষামূলক রিসোর্স টেন মিনিট স্কুল নিয়মিত শিক্ষার্থীদের দিয়ে থাকে। শিক্ষামূলক অ্যাপটি ব্যবহার করছে ৬৭ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। এছাড়া টেন মিনিট স্কুলের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কনটেন্ট থেকে প্রতি মাসে এক কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী অনলাইনে পড়শোনা করছে।