ঢাকা ০৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাশে আখের বাম্পার ফলনে চাষিদের মুখে হাসি

বোরহান মেহেদী, পলাশ ( নরসিংদী) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০২:২১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৮৯ Time View

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় এবার আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলন বাজারে উচ্চমূল্য পাওয়ায় স্থানীয় আখ চাষিদের মুখে এখন হাসি ফুটেছে।

দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চলখ্যাত উপজেলায় অধিকাংশ মানুষই কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে।

পলাশের উর্বর দোআঁশ বেলে দোআঁশ মাটি আখ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। সাত থেকে আট মাসের মধ্যে ফসল তোলা যায়, আর বাজারে এর ভালো চাহিদা থাকায় কৃষকেরা আগ্রহী হচ্ছেন এই ফসলে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠে কৃষকেরা ব্যস্ত আখ কাটায়। সারি সারি ভ্যানে বোঝাই আখ স্থানীয় বাজারে পাঠানো হচ্ছে। এখান থেকে পার্শ্ববর্তী জেলার পাইকাররা বড় পরিমাণে আখ ক্রয় করছেন।

চরসিন্দুর ইউনিয়নের কৃষক রহামান মিয়া জানান, পাঁচ বছর আগে তিনি প্রথমবার আখ চাষ শুরু করেন। এখন তার হাত ধরে আশপাশের ১০ থেকে ২০ জন কৃষকও আখ চাষে যুক্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, বছর ২২ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছি। খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা, বিক্রি হবে অন্তত ৫০৬০ হাজার টাকায়। লাভ ভালো হওয়ায় সবাই আগ্রহী হচ্ছে।

একই এলাকার কৃষক সুশীল রায় বলেন, আখ চাষে পরিশ্রম কিছুটা বেশি, তবে লাভজনক। প্রতি ৩০ শতাংশ জমিতে খরচ হয় প্রায় ২৫৩০ হাজার টাকা।

আখ ব্যবসায়ী জয়নাল আবদিন জানান, তিনি বছর ধরে এই ব্যবসায় আছেন। প্রতিদিন থেকে হাজার পিস আখ কিনে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে বিক্রি করেন। তার ভাষায়, পলাশের আখ মিষ্টি সুস্বাদুবিক্রিতে কোনো সমস্যা হয় না।

পলাশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জানান, বছর উপজেলায় ১২৫ হেক্টর জমিতে ৪১, ১৬ জাতের আখ চাষ হয়েছে। তিনি বলেন, রোগবালাই থেকে ফসল রক্ষা উৎপাদন বাড়াতে চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

পলাশে আখের বাম্পার ফলনে চাষিদের মুখে হাসি

বোরহান মেহেদী, পলাশ ( নরসিংদী) প্রতিনিধি
Update Time : ০২:২১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় এবার আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলন বাজারে উচ্চমূল্য পাওয়ায় স্থানীয় আখ চাষিদের মুখে এখন হাসি ফুটেছে।

দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চলখ্যাত উপজেলায় অধিকাংশ মানুষই কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে।

পলাশের উর্বর দোআঁশ বেলে দোআঁশ মাটি আখ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। সাত থেকে আট মাসের মধ্যে ফসল তোলা যায়, আর বাজারে এর ভালো চাহিদা থাকায় কৃষকেরা আগ্রহী হচ্ছেন এই ফসলে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠে কৃষকেরা ব্যস্ত আখ কাটায়। সারি সারি ভ্যানে বোঝাই আখ স্থানীয় বাজারে পাঠানো হচ্ছে। এখান থেকে পার্শ্ববর্তী জেলার পাইকাররা বড় পরিমাণে আখ ক্রয় করছেন।

চরসিন্দুর ইউনিয়নের কৃষক রহামান মিয়া জানান, পাঁচ বছর আগে তিনি প্রথমবার আখ চাষ শুরু করেন। এখন তার হাত ধরে আশপাশের ১০ থেকে ২০ জন কৃষকও আখ চাষে যুক্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, বছর ২২ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছি। খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা, বিক্রি হবে অন্তত ৫০৬০ হাজার টাকায়। লাভ ভালো হওয়ায় সবাই আগ্রহী হচ্ছে।

একই এলাকার কৃষক সুশীল রায় বলেন, আখ চাষে পরিশ্রম কিছুটা বেশি, তবে লাভজনক। প্রতি ৩০ শতাংশ জমিতে খরচ হয় প্রায় ২৫৩০ হাজার টাকা।

আখ ব্যবসায়ী জয়নাল আবদিন জানান, তিনি বছর ধরে এই ব্যবসায় আছেন। প্রতিদিন থেকে হাজার পিস আখ কিনে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে বিক্রি করেন। তার ভাষায়, পলাশের আখ মিষ্টি সুস্বাদুবিক্রিতে কোনো সমস্যা হয় না।

পলাশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জানান, বছর উপজেলায় ১২৫ হেক্টর জমিতে ৪১, ১৬ জাতের আখ চাষ হয়েছে। তিনি বলেন, রোগবালাই থেকে ফসল রক্ষা উৎপাদন বাড়াতে চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।