ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ছাত্র জনতা হত্যার ১০/১২টি মামলা গেলো কোথায়?

পলাতক থেকেও সচিবের সকল সুবিধা ভোগ করছেন গোলাম সরোয়ার

আরিফুল হক নভেল
  • Update Time : ০২:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৫৫ Time View

সাবেক আইন সচিব গোলাম সরোয়ার।

ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে বিচার ব্যাবস্থা ধ্বংসকারী সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও তার ঘনিষ্ঠ সহচর সাবেক আইন সচিব গোলাম সরোয়ারের বিরুদ্ধে ১০/১২টি হত্যা মামলা দায়ের হওয়ার পরও গোলাম সারোয়ার রয়ে গেছেন সম্পূর্ণ ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে অনুসন্ধান চালালে বেরিয়ে আসবে চাঞ্চল্যকর কাহিনী। ইতোমধ্যে তিনি সচিবের অবসরকালিন সকল সুযোগ সুবিধাও বাগিয়ে নিয়েছেন।

৫ই আগস্ট স্বৈরাচারের পতনের পরও তিনি কিছুদিন আইন সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগ প্রভাব খাটিয়ে প্রত্যাহার করিয়ে নেন।

স্বৈরাচারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ বিচারক জনাব আবুল হোসেনের নেতৃত্বে বিচারকরা তার ওপর চড়াও হোন। অবস্থা বেগতিক দেখে গোলাম সারোয়ার গা ঢাকা দিতে বাধ্য হোন।

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নওফেল,তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক ও তথ্যমন্ত্রী আরাফাতকে নিয়ে ছাত্র আন্দোলন দমানোর লক্ষে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের ৫ সদস্য বিশিষ্ট উক্ত কমিটিতে একমাত্র সচিব ছিলেন গোলাম সারোয়ার।

ওই সময় ডিবির কুখ্যাত হারুনের কব্জায় থাকা ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনি পরামর্শ দেন। ডিবির হারুনের সাথে সচিব সারোয়ারের রেকর্ডকৃত কথোপকথনই তার জ্বলন্ত নজির।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিচার ব্যাবস্থাকে ধ্বংসকারী স্বৈরাচারের কুপরামর্শক, বিতর্কিত এই ধান্দাবাজ সাবেক এই আইনসচিব এখনো মন্ত্রণালয় থেকে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন অবলীলাক্রমে।

সরকারী বাড়ি, গাড়ি , গাড়ির তেল, ড্রাইভার,কাজের লোক থেকে শুরু করে তোয়ালে টিস্যু সহ সকল ষ্টেশনারী সামগ্রী সরকার থেকে ভোগ করছেন।

বেশ কয়েকজন সিনিয়র জেলা জজ গোলাম সারোয়ারের নামে প্রদত্ত সরকারী সুযোগ সুবিধা প্রদানে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন,তাকে যারা এসব সুবিধা প্রদানে সহায়তা করছেন তাদেরকেও একদিন বিচারের আওতায় আসতে হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ছাত্র জনতা গুম হত্যার যে বিচার চলছে সে সব হত্যাকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত গোলাম সারোয়ারকে ছাড়া বিচার হলে বিচারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। এই অভিমত সংশ্লিষ্ট সকল মহলের।

Please Share This Post in Your Social Media

ছাত্র জনতা হত্যার ১০/১২টি মামলা গেলো কোথায়?

পলাতক থেকেও সচিবের সকল সুবিধা ভোগ করছেন গোলাম সরোয়ার

আরিফুল হক নভেল
Update Time : ০২:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে বিচার ব্যাবস্থা ধ্বংসকারী সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও তার ঘনিষ্ঠ সহচর সাবেক আইন সচিব গোলাম সরোয়ারের বিরুদ্ধে ১০/১২টি হত্যা মামলা দায়ের হওয়ার পরও গোলাম সারোয়ার রয়ে গেছেন সম্পূর্ণ ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে অনুসন্ধান চালালে বেরিয়ে আসবে চাঞ্চল্যকর কাহিনী। ইতোমধ্যে তিনি সচিবের অবসরকালিন সকল সুযোগ সুবিধাও বাগিয়ে নিয়েছেন।

৫ই আগস্ট স্বৈরাচারের পতনের পরও তিনি কিছুদিন আইন সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগ প্রভাব খাটিয়ে প্রত্যাহার করিয়ে নেন।

স্বৈরাচারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ বিচারক জনাব আবুল হোসেনের নেতৃত্বে বিচারকরা তার ওপর চড়াও হোন। অবস্থা বেগতিক দেখে গোলাম সারোয়ার গা ঢাকা দিতে বাধ্য হোন।

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নওফেল,তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক ও তথ্যমন্ত্রী আরাফাতকে নিয়ে ছাত্র আন্দোলন দমানোর লক্ষে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের ৫ সদস্য বিশিষ্ট উক্ত কমিটিতে একমাত্র সচিব ছিলেন গোলাম সারোয়ার।

ওই সময় ডিবির কুখ্যাত হারুনের কব্জায় থাকা ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনি পরামর্শ দেন। ডিবির হারুনের সাথে সচিব সারোয়ারের রেকর্ডকৃত কথোপকথনই তার জ্বলন্ত নজির।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিচার ব্যাবস্থাকে ধ্বংসকারী স্বৈরাচারের কুপরামর্শক, বিতর্কিত এই ধান্দাবাজ সাবেক এই আইনসচিব এখনো মন্ত্রণালয় থেকে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন অবলীলাক্রমে।

সরকারী বাড়ি, গাড়ি , গাড়ির তেল, ড্রাইভার,কাজের লোক থেকে শুরু করে তোয়ালে টিস্যু সহ সকল ষ্টেশনারী সামগ্রী সরকার থেকে ভোগ করছেন।

বেশ কয়েকজন সিনিয়র জেলা জজ গোলাম সারোয়ারের নামে প্রদত্ত সরকারী সুযোগ সুবিধা প্রদানে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন,তাকে যারা এসব সুবিধা প্রদানে সহায়তা করছেন তাদেরকেও একদিন বিচারের আওতায় আসতে হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ছাত্র জনতা গুম হত্যার যে বিচার চলছে সে সব হত্যাকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত গোলাম সারোয়ারকে ছাড়া বিচার হলে বিচারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। এই অভিমত সংশ্লিষ্ট সকল মহলের।