ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পর্তুগালে ফিলিস্তিনের দূতাবাস উদ্বোধন

আন্তজাতিক ডেস্ক 
  • Update Time : ০১:৫১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৬৪ Time View

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ধারাবাহিকতায় এ পদক্ষেপ নেয় পর্তুগাল। ছবি: সংগৃহীত

পর্তুগালে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনের দূতাবাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব কূটনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক পদক্ষেপ সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) লিসবনের একটি আনুষ্ঠানিক ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দূতাবাসের উদ্বোধন করা হয়।

পর্তুগিজ সরকার সেপ্টেম্বর মাসেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ধারাবাহিকতায় এ পদক্ষেপ নেয়। যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রান্জেল জাতিসংঘের নিউইয়র্ক স্থায়ী মিশন থেকে এই স্বীকৃতি ঘোষণার সময় বলেন, ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়া পর্তুগিজ পররাষ্ট্রনীতির একটি দীর্ঘস্থায়ী ও মৌলিক নীতির বাস্তবায়ন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ছাড়া শান্তি সম্ভব নয় এবং জরুরি মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন।’

পর্তুগালের এই উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পর্তুগাল ১৩তম দেশ, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিল। যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ একই পদক্ষেপ নিয়েছে।

পর্তুগালের এই সিদ্ধান্তকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ স্বাগত জানালেও কিছু রাজনৈতিক দল ও ইসরাইলের পক্ষ থেকে সমালোচনা এসেছে। সমালোচকরা মনে করেন, শান্তিপূর্ণ সমাধানের কোনো নির্দিষ্ট পথ না আসা পর্যন্ত এ ধরনের স্বীকৃতি দ্বন্দ্ব আরও জটিল করতে পারে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ উদ্যোগ দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। মানবিক সংকট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। একইসঙ্গে পর্তুগালের বিশ্ব দরবারে মানবাধিকারের পক্ষে অবস্থানও আরও দৃঢ় হল।

Please Share This Post in Your Social Media

পর্তুগালে ফিলিস্তিনের দূতাবাস উদ্বোধন

আন্তজাতিক ডেস্ক 
Update Time : ০১:৫১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

পর্তুগালে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনের দূতাবাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব কূটনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক পদক্ষেপ সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) লিসবনের একটি আনুষ্ঠানিক ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দূতাবাসের উদ্বোধন করা হয়।

পর্তুগিজ সরকার সেপ্টেম্বর মাসেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ধারাবাহিকতায় এ পদক্ষেপ নেয়। যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রান্জেল জাতিসংঘের নিউইয়র্ক স্থায়ী মিশন থেকে এই স্বীকৃতি ঘোষণার সময় বলেন, ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়া পর্তুগিজ পররাষ্ট্রনীতির একটি দীর্ঘস্থায়ী ও মৌলিক নীতির বাস্তবায়ন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ছাড়া শান্তি সম্ভব নয় এবং জরুরি মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন।’

পর্তুগালের এই উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পর্তুগাল ১৩তম দেশ, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিল। যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ একই পদক্ষেপ নিয়েছে।

পর্তুগালের এই সিদ্ধান্তকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ স্বাগত জানালেও কিছু রাজনৈতিক দল ও ইসরাইলের পক্ষ থেকে সমালোচনা এসেছে। সমালোচকরা মনে করেন, শান্তিপূর্ণ সমাধানের কোনো নির্দিষ্ট পথ না আসা পর্যন্ত এ ধরনের স্বীকৃতি দ্বন্দ্ব আরও জটিল করতে পারে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ উদ্যোগ দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। মানবিক সংকট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। একইসঙ্গে পর্তুগালের বিশ্ব দরবারে মানবাধিকারের পক্ষে অবস্থানও আরও দৃঢ় হল।