ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পতিত জমিতে চাষাবাদ : পুলিশ সুপারের চেষ্টা সফল

আল-আমিন, নীলফামারী
  • Update Time : ০৫:০৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
  • / ১৯৫ Time View

নীলফামারী সদরের পলাশবাড়ি ইউনিয়নের নটখানা এলাকায় অবস্থিত নীলকুঠির আশপাশের পুলিশের পতিত জমিতে আবাদ হচ্ছে হরেক প্রজাতির ফসল। উঠতি ফসলের সবুজে সমারোহে ভরে গেছে মাঠ, ফলনও হয়েছে বাম্পার।

প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা ছিলো এক ইঞ্চি জমিও পতিত না রাখার সে বিষয়ে বিশেষ তৎপর বর্তমান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম।

তিনি নীলফামারী জেলায় যোগদানের পর থেকেই নটখানা এলাকায় দীর্ঘ দিন যাবত পুলিশের প্রায় ২৫বিঘা জমিতে চাষাবাদের জন্য জোড় তৎপরতা চালায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসব পতিত জমিতে আবাদ হচ্ছে শসা, পেঁপে, করলা, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, ধোনদল, বেগুন, পুঁইশাক, লাল শাক, মরিচ, ডাটা, লাউ, ভূট্টাসহ নানা জাতের ফসল। এসব ফসল পরিচর্যা করতেও দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। এখানে কর্মস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছে আশপাশের কৃষকদের।

ওই এলাকার চাষী গণেশ চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের এখানকার এই জমিটি দীর্ঘদিন ধরে পতিত ছিল। প্রায় পাঁচ মাস আগে পুলিশ সুপার স্যার এখানে এসে বিভিন্ন ফসলের আবাদ শুরু করেছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ হচ্ছে। চাষীরাও অনেক ক্ষেত্রেই এরকম ফসল ফলাতে পারে না।

পার্শ্ববর্তী চাষী আশরাফুল ইসলাম বলেন, নীলকুঠির আশপাশের জমিগুলো আগে পতিত ছিল। এখন পুলিশ সদস্যরা এখানে চাষাবাদ করছে। সবজি বাগান গুলো চোখে পড়ার মতো।

জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন,করোনা পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বের মন্দা অর্থনীতি অবস্থা বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন কোন জমি যাতে অযথা ফেলে রাখা না হয়। সে লক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের অভিভাবক মাননীয় আইজিপি স্যারও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের যেখানেই পতিত জমি আছে সেখানেই ফসল ফলাতে। তাছাড়াও পুলিশের যেখানেই পুকুর বা ডুবা আছে সেখানেও মাছ চাষ করতে। আমরা নীলফামারী জেলা পুলিশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও আইজিপি স্যারের বিশেষ মনিটরিং এর ফলে আমরা নীলফামারী জেলার নটখানা এলাকা ছাড়াও প্রতিটি থানা- ফাঁড়ির প্রায় সব ধরণের পতিত জমিই চাষাবাদের আওতায় এনেছি।

পুলিশের তত্ত্বাবধানে উৎপাদিত বিভিন্ন রকমের সবজি জেলায় কর্মরত পুলিশ এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও খাচ্ছেন। নিজের হাতে সবজি উৎপাদন করে খাওয়ার মধ্যে একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে, যা নীলফামারী জেলা পুলিশের সদস্যরা করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

পতিত জমিতে চাষাবাদ : পুলিশ সুপারের চেষ্টা সফল

Update Time : ০৫:০৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

নীলফামারী সদরের পলাশবাড়ি ইউনিয়নের নটখানা এলাকায় অবস্থিত নীলকুঠির আশপাশের পুলিশের পতিত জমিতে আবাদ হচ্ছে হরেক প্রজাতির ফসল। উঠতি ফসলের সবুজে সমারোহে ভরে গেছে মাঠ, ফলনও হয়েছে বাম্পার।

প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা ছিলো এক ইঞ্চি জমিও পতিত না রাখার সে বিষয়ে বিশেষ তৎপর বর্তমান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম।

তিনি নীলফামারী জেলায় যোগদানের পর থেকেই নটখানা এলাকায় দীর্ঘ দিন যাবত পুলিশের প্রায় ২৫বিঘা জমিতে চাষাবাদের জন্য জোড় তৎপরতা চালায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসব পতিত জমিতে আবাদ হচ্ছে শসা, পেঁপে, করলা, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, ধোনদল, বেগুন, পুঁইশাক, লাল শাক, মরিচ, ডাটা, লাউ, ভূট্টাসহ নানা জাতের ফসল। এসব ফসল পরিচর্যা করতেও দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। এখানে কর্মস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছে আশপাশের কৃষকদের।

ওই এলাকার চাষী গণেশ চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের এখানকার এই জমিটি দীর্ঘদিন ধরে পতিত ছিল। প্রায় পাঁচ মাস আগে পুলিশ সুপার স্যার এখানে এসে বিভিন্ন ফসলের আবাদ শুরু করেছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ হচ্ছে। চাষীরাও অনেক ক্ষেত্রেই এরকম ফসল ফলাতে পারে না।

পার্শ্ববর্তী চাষী আশরাফুল ইসলাম বলেন, নীলকুঠির আশপাশের জমিগুলো আগে পতিত ছিল। এখন পুলিশ সদস্যরা এখানে চাষাবাদ করছে। সবজি বাগান গুলো চোখে পড়ার মতো।

জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন,করোনা পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বের মন্দা অর্থনীতি অবস্থা বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন কোন জমি যাতে অযথা ফেলে রাখা না হয়। সে লক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের অভিভাবক মাননীয় আইজিপি স্যারও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের যেখানেই পতিত জমি আছে সেখানেই ফসল ফলাতে। তাছাড়াও পুলিশের যেখানেই পুকুর বা ডুবা আছে সেখানেও মাছ চাষ করতে। আমরা নীলফামারী জেলা পুলিশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও আইজিপি স্যারের বিশেষ মনিটরিং এর ফলে আমরা নীলফামারী জেলার নটখানা এলাকা ছাড়াও প্রতিটি থানা- ফাঁড়ির প্রায় সব ধরণের পতিত জমিই চাষাবাদের আওতায় এনেছি।

পুলিশের তত্ত্বাবধানে উৎপাদিত বিভিন্ন রকমের সবজি জেলায় কর্মরত পুলিশ এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও খাচ্ছেন। নিজের হাতে সবজি উৎপাদন করে খাওয়ার মধ্যে একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে, যা নীলফামারী জেলা পুলিশের সদস্যরা করছেন।