পটুয়াখালীতে কিশোরী উর্মী হত্যা ঘটনায় মা-বাবা ও দুলাভাই গ্রেপ্তার

- Update Time : ১০:৪২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৫ Time View
পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমের সম্পর্কের জেরে কিশোরী উর্মী ইসলামকে (১৪) শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে নিহত কিশোরীর মা-বাবা-মা দুলাভাইকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্তরা।
গ্রেপ্তাররা হলেন নিহত কিশোরী উর্মী ইসলামের মা আমেনা বেগম, বাবা নজরুল বয়াতি ও দুলাভাই কামাল হোসেন।
পুলিশ জানায়, নিহত উর্মী ইসলামের স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
গত বুধবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উর্মীর প্রেমসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরীর গলা টিপে ধরলে ঘটনাস্থলে শ্বাসবন্ধ হয়ে মারা যায় উর্মী। এরপরে তার মা-বাবা ও দুলাভাই মিলে মরদেহ গুম করে ফেলেন। পরে শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে কনকদিয়া ইউনিয়নে উর্মীর নানাবাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে কুম্ভখালী খাল থেকে উর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তখন উর্মীকে গুম ও খুনের অভিযোগে থানায় মামলার আবেদন করে পরিবার। তবে পুলিশের একাধিক ইউনিট মামলার তদন্ত শুরু করলে একে একে বের হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য। অবশেষে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে নিহতের মা-বাবা ও দুলাভাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারা অপরাধ স্বীকার করলে আজ বুধবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
বাউফল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বলেন, ‘পরিবারের তিনজনই আমাদের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে এবং ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।’
প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার , বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম ও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়