ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ, তাপমাত্রা নামল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
  • Update Time : ০২:২১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১০ Time View

হেমন্তের মাঝামাঝি সময়ে দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ।

হেমন্তের শুরুর দিকেই দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছিল শীতের আবহ। দিন দিন তাপমাত্রার পারদ আরও নামতে শুরু করেছে। রাত থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত ঝরছে কুয়াশা। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তা সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয়। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে।

রাত থেকে ভোর পর্যন্ত জেলাজুড়ে ঘন কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমে দেখা মিলেছে ঝলমলে রোদের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন ধরেই তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এতে এই এলাকায় সন্ধ্যা নামলেই শীত অনুভূত হচ্ছে আর এই অনুভূতি থাকছে সকাল পর্যন্ত। তবে দিনের বেলা ঝলমলে রোদ থাকায় দিন ও রাতের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি হচ্ছে। চলতি নভেম্বর মাসে তাপমাত্রা কমতে থাকলেও শৈত্যপ্রবাহের আভাস নেই। তবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই এলাকায় একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।

হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় পঞ্চগড় জেলায় প্রতিবছর শীতের আগমন ঘটে কিছুটা আগেভাবে, শীত বিদায়ও নেয় দেরিতে। বর্তমানে হেমন্তের মাঝামাঝি এই সময়টাতে সন্ধ্যা নামলেই অনুভূত হচ্ছে শীত। গত কয়েক দিন ধরে রাত বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে শীতের অনুভূতি। এতে রাতের বেলা হালকা কাঁথা-কম্বল গায়ে জড়িয়ে ঘুমাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।

সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশাচ্ছন্ন সকালের পূর্ব আকাশে উঁকি দিচ্ছে সূর্য। সড়কের পাশের ঘাস আর ফসলের মাঠে পাকতে শুরু করা আমন ধানের গাছে জমেছে শিশির। চারদিকে যেন শীতের আবহ। এরই মধ্যে পড়তে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছে শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছেন সাধারণ মানুষ।

সকালে সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার শিংপাড়া এলাকায় হাঁটতে বের হওয়া আবদুল কুদ্দুস (৪৬) নামের এক ব্যক্তি বলেন, মনে হচ্ছে এবার শীত এসেই গেল। কয়েক দিন ধরে রাতে হালকা কাঁথা-কম্বল নিতে হচ্ছে। সকাল সকাল ভালোই ঠান্ডা লাগছে। আজকে ভোরে খুব কুয়াশা ছিল, এখন কিছুটা কমে গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ, তাপমাত্রা নামল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
Update Time : ০২:২১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

হেমন্তের শুরুর দিকেই দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছিল শীতের আবহ। দিন দিন তাপমাত্রার পারদ আরও নামতে শুরু করেছে। রাত থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত ঝরছে কুয়াশা। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তা সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নয়। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে।

রাত থেকে ভোর পর্যন্ত জেলাজুড়ে ঘন কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমে দেখা মিলেছে ঝলমলে রোদের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন ধরেই তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এতে এই এলাকায় সন্ধ্যা নামলেই শীত অনুভূত হচ্ছে আর এই অনুভূতি থাকছে সকাল পর্যন্ত। তবে দিনের বেলা ঝলমলে রোদ থাকায় দিন ও রাতের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি হচ্ছে। চলতি নভেম্বর মাসে তাপমাত্রা কমতে থাকলেও শৈত্যপ্রবাহের আভাস নেই। তবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই এলাকায় একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।

হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় পঞ্চগড় জেলায় প্রতিবছর শীতের আগমন ঘটে কিছুটা আগেভাবে, শীত বিদায়ও নেয় দেরিতে। বর্তমানে হেমন্তের মাঝামাঝি এই সময়টাতে সন্ধ্যা নামলেই অনুভূত হচ্ছে শীত। গত কয়েক দিন ধরে রাত বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে শীতের অনুভূতি। এতে রাতের বেলা হালকা কাঁথা-কম্বল গায়ে জড়িয়ে ঘুমাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।

সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশাচ্ছন্ন সকালের পূর্ব আকাশে উঁকি দিচ্ছে সূর্য। সড়কের পাশের ঘাস আর ফসলের মাঠে পাকতে শুরু করা আমন ধানের গাছে জমেছে শিশির। চারদিকে যেন শীতের আবহ। এরই মধ্যে পড়তে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছে শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছেন সাধারণ মানুষ।

সকালে সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার শিংপাড়া এলাকায় হাঁটতে বের হওয়া আবদুল কুদ্দুস (৪৬) নামের এক ব্যক্তি বলেন, মনে হচ্ছে এবার শীত এসেই গেল। কয়েক দিন ধরে রাতে হালকা কাঁথা-কম্বল নিতে হচ্ছে। সকাল সকাল ভালোই ঠান্ডা লাগছে। আজকে ভোরে খুব কুয়াশা ছিল, এখন কিছুটা কমে গেছে।