ঢাকা ০৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর টাইমস হায়ার র‍্যাঙ্কিংয়ে মাভাবিপ্রবি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া ৯ মাসে ইতালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী প্রত্যেক উপদেষ্টাই বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা আবারও ফিল্মফেয়ারের মঞ্চ মাতাবেন শাহরুখ ইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে: চরমোনাই পীর আমলাতন্ত্রকে একটি নির্দিষ্ট দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল মিশরের বিচার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠক কারামুক্ত শহিদুল আলম, গেলেন তুরস্কে

নোবেল শান্তি পুরস্কার ট্রাম্পকে উৎসর্গ করছি: মারিয়া কোরিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:০৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৫৯ Time View

মারিয়া কোরিনা মাচাদো ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

শান্তিতে নোবেলজয়ী ভেনিজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো তার নোবেল পুরস্কার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উৎসর্গ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সকল ভেনিজুয়েলানদের সংগ্রামের এই স্বীকৃতি (নোবেল পুরস্কার) আমাদের লক্ষ্য পূরণের জন্য একটি শক্তিশালী প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আর সেই লক্ষ্য হলো স্বাধীনতা অর্জন। আমরা আজ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রধান সহযোগী হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ, লাতিন আমেরিকার জনগণ এবং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে স্মরণ করছি। আমি এই পুরস্কারটি ভেনিজুয়েলার সেই নিপীড়িত জনগণের প্রতি এবং আমাদের সহায়তা করা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উৎসর্গ করছি।’

শুধু তাই নয়, নোবেল জয়ের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন দিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন মারিয়া কোরিনা। শুক্রবার ট্রাম্প নিজেই এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান। ট্রাম্প বলেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া করিনা মাচাদো তাকে ফোন করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি তার সম্মানে পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন। এদিন সন্ধ্যায় নোবেল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প সরাসরি কমিটির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেননি, তবে তিনি বেশ কয়েকটি যুদ্ধ সমাধানের জন্য নিজেকে কৃতিত্ব দেন এবং তাই তার পুরস্কারটি প্রাপ্য ছিল বলে জানান।

ওভাল অফিসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনি আমাকে ফোন করে বললেন, আমি আপনার সম্মানে এটি গ্রহণ করছি, কারণ আপনি সত্যিই এটির যোগ্য ছিলেন। তবে আমি তাকে বলিনি যে তাহলে এটি আমাকে দিন। যদিও আমার মনে হয় তিনিই এটি পেয়েছেন। তিনি খুব ভালো।’

প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কার না দেওয়ায় নোবেল কমিটির সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস। মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে নোবেল পদক দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউস বলেছে, শান্তির বদলে রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ বছরের শুরু থেকেই শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের যোগ্য দাবিদার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, সাতটি যুদ্ধ বন্ধে ভূমিকা রেখেছেন। তাঁকে পুরস্কৃত করার জন্য মনোনয়ন দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন ইসরায়েল ও পাকিস্তানের সরকারপ্রধান। সুইডেন এমনকি নরওয়ের রাজনীতিবিদ ও আইনপ্রণেতারাও ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

নোবেল শান্তি পুরস্কার ট্রাম্পকে উৎসর্গ করছি: মারিয়া কোরিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ১২:০৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

শান্তিতে নোবেলজয়ী ভেনিজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো তার নোবেল পুরস্কার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উৎসর্গ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সকল ভেনিজুয়েলানদের সংগ্রামের এই স্বীকৃতি (নোবেল পুরস্কার) আমাদের লক্ষ্য পূরণের জন্য একটি শক্তিশালী প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আর সেই লক্ষ্য হলো স্বাধীনতা অর্জন। আমরা আজ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রধান সহযোগী হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ, লাতিন আমেরিকার জনগণ এবং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে স্মরণ করছি। আমি এই পুরস্কারটি ভেনিজুয়েলার সেই নিপীড়িত জনগণের প্রতি এবং আমাদের সহায়তা করা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উৎসর্গ করছি।’

শুধু তাই নয়, নোবেল জয়ের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন দিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন মারিয়া কোরিনা। শুক্রবার ট্রাম্প নিজেই এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান। ট্রাম্প বলেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মারিয়া করিনা মাচাদো তাকে ফোন করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি তার সম্মানে পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন। এদিন সন্ধ্যায় নোবেল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প সরাসরি কমিটির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেননি, তবে তিনি বেশ কয়েকটি যুদ্ধ সমাধানের জন্য নিজেকে কৃতিত্ব দেন এবং তাই তার পুরস্কারটি প্রাপ্য ছিল বলে জানান।

ওভাল অফিসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনি আমাকে ফোন করে বললেন, আমি আপনার সম্মানে এটি গ্রহণ করছি, কারণ আপনি সত্যিই এটির যোগ্য ছিলেন। তবে আমি তাকে বলিনি যে তাহলে এটি আমাকে দিন। যদিও আমার মনে হয় তিনিই এটি পেয়েছেন। তিনি খুব ভালো।’

প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কার না দেওয়ায় নোবেল কমিটির সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস। মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে নোবেল পদক দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউস বলেছে, শান্তির বদলে রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ বছরের শুরু থেকেই শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের যোগ্য দাবিদার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, সাতটি যুদ্ধ বন্ধে ভূমিকা রেখেছেন। তাঁকে পুরস্কৃত করার জন্য মনোনয়ন দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন ইসরায়েল ও পাকিস্তানের সরকারপ্রধান। সুইডেন এমনকি নরওয়ের রাজনীতিবিদ ও আইনপ্রণেতারাও ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছিলেন।