ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেদারল্যান্ডসে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করল বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

বাকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১১:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৪৮ Time View

নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ফুড সিস্টেমস ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রতিযোগিতায় বাকৃবির দুটি দল—“এগ্রো ফেমি সেপ্টেট” ও “অ্যাকুয়া ফোর”—চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।

ওয়াখেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্ড রিসার্চ (ডাব্লিউ ইউ আর) এবং নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ (এনএফপি)-এর যৌথ আয়োজনে এ বছরের প্রতিযোগিতার মূল প্রতিপাদ্য ছিল প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান। বিশ্বের ১২ দেশের ২৪টি দল এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের ওয়াখেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড ফাইনালে বাকৃবির শিক্ষার্থী রুবাইয়া বিনতে রেজওয়ানুর পূর্ণা (স্নাতকোত্তর, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট) এবং শবনম ফেরদৌস (স্নাতকোত্তর, ফুড সেফটি) নিজ নিজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। পুরো প্রতিযোগিতা জুড়ে তাদের সমন্বয়ক ও পরামর্শদাতা ছিলেন বাকৃবির ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান।

এগ্রো ফেমি সেপ্টেট এর সদস্য জুম্মি নাহ্দিয়া তার অনুভূতি প্রকাশে বলেন, ক্লাস পরীক্ষার চলাকালীন সময়ে ল্যাবে অনেক কাজ করতে হয়েছে যেটা কিনা সময়সাপেক্ষ ছিল পরীক্ষার পড়া করে ক্লাসের টাইম ম্যানেজ করে তারপর ল্যাবে সময় দেওয়া ছিল যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ।এরপর রেগুলার ট্রেনিং সেশন গুলোতে অ্যাটেন্ড করতে হয়েছে সব ম্যানেজ করে । এরপর দীর্ঘ কয়েক মাস কঠোর পরিশ্রমের ফলে ফিল্ড লেভেলে কাজ করে আমাদের এই সাফল্য। দলের সকল সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক হারুন স্যারের মেন্টরিং আমাদের কাজে অনুপ্রেরণা দিয়েছে।

চূড়ান্ত পর্বে এগ্রো ফেমি সেপ্টেট দল শীর্ষ তিন বিজয়ীর মধ্যে স্থান পেয়ে ৩,৫০০ ইউরো গ্র্যান্ড পুরস্কার অর্জন করে। অন্যদিকে, অ্যাকুয়া ফোর দর্শক ভোটে জয়ী হয়ে ৫০০ ইউরোর ‘অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে। বিজয়ী দলকে এগ্রো ফেমি সেপ্টেট সরাসরি ইয়ুথ ফুড ল্যাব ইনকুবেশন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়।

চূড়ান্ত রাউন্ডের অংশ হিসেবে, দলের নেতারা বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তাদের বাস্তব-বিশ্বের প্রকল্পগুলি প্রদর্শন করেন: একটি পিচিং রাউন্ড, নয়জন সম্মানিত জুরির প্যানেলের সাথে একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের সামনে একটি চূড়ান্ত উপস্থাপনা। বহুমুখী মূল্যায়ন প্রক্রিয়া এবং দর্শকদের ভোটের ভিত্তিতে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়েছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

নেদারল্যান্ডসে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করল বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

বাকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ১১:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ফুড সিস্টেমস ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫-এ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রতিযোগিতায় বাকৃবির দুটি দল—“এগ্রো ফেমি সেপ্টেট” ও “অ্যাকুয়া ফোর”—চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।

ওয়াখেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্ড রিসার্চ (ডাব্লিউ ইউ আর) এবং নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ (এনএফপি)-এর যৌথ আয়োজনে এ বছরের প্রতিযোগিতার মূল প্রতিপাদ্য ছিল প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান। বিশ্বের ১২ দেশের ২৪টি দল এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের ওয়াখেনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড ফাইনালে বাকৃবির শিক্ষার্থী রুবাইয়া বিনতে রেজওয়ানুর পূর্ণা (স্নাতকোত্তর, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট) এবং শবনম ফেরদৌস (স্নাতকোত্তর, ফুড সেফটি) নিজ নিজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। পুরো প্রতিযোগিতা জুড়ে তাদের সমন্বয়ক ও পরামর্শদাতা ছিলেন বাকৃবির ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান।

এগ্রো ফেমি সেপ্টেট এর সদস্য জুম্মি নাহ্দিয়া তার অনুভূতি প্রকাশে বলেন, ক্লাস পরীক্ষার চলাকালীন সময়ে ল্যাবে অনেক কাজ করতে হয়েছে যেটা কিনা সময়সাপেক্ষ ছিল পরীক্ষার পড়া করে ক্লাসের টাইম ম্যানেজ করে তারপর ল্যাবে সময় দেওয়া ছিল যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ।এরপর রেগুলার ট্রেনিং সেশন গুলোতে অ্যাটেন্ড করতে হয়েছে সব ম্যানেজ করে । এরপর দীর্ঘ কয়েক মাস কঠোর পরিশ্রমের ফলে ফিল্ড লেভেলে কাজ করে আমাদের এই সাফল্য। দলের সকল সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক হারুন স্যারের মেন্টরিং আমাদের কাজে অনুপ্রেরণা দিয়েছে।

চূড়ান্ত পর্বে এগ্রো ফেমি সেপ্টেট দল শীর্ষ তিন বিজয়ীর মধ্যে স্থান পেয়ে ৩,৫০০ ইউরো গ্র্যান্ড পুরস্কার অর্জন করে। অন্যদিকে, অ্যাকুয়া ফোর দর্শক ভোটে জয়ী হয়ে ৫০০ ইউরোর ‘অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে। বিজয়ী দলকে এগ্রো ফেমি সেপ্টেট সরাসরি ইয়ুথ ফুড ল্যাব ইনকুবেশন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়।

চূড়ান্ত রাউন্ডের অংশ হিসেবে, দলের নেতারা বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তাদের বাস্তব-বিশ্বের প্রকল্পগুলি প্রদর্শন করেন: একটি পিচিং রাউন্ড, নয়জন সম্মানিত জুরির প্যানেলের সাথে একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের সামনে একটি চূড়ান্ত উপস্থাপনা। বহুমুখী মূল্যায়ন প্রক্রিয়া এবং দর্শকদের ভোটের ভিত্তিতে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়েছিল।