নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে জাককানইবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

- Update Time : ০৩:৫৭:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
- / ৭০ Time View
রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হল থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কসমূহ ঘুরে এসে পুনরায় হলের সামনে সমাবেশে রূপ নেয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী চলমান খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান।
মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগানে প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরেন।
“সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও”,
“আমার ভাই মরল কেন? ইন্টারিম জবাব দে”,
“জবাব দাও, নইলে ক্ষমতা ছাড়ো”,
“রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়” এমন সব স্লোগানে গোটা ক্যাম্পাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আইন ও বিচার বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রাজু শেখ। তিনি বলেন,
“আমরা এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে, যখন একজন মানুষকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়, অথচ রাষ্ট্র নীরব। রাজনৈতিক পরিচয়ের ছত্রছায়ায় বারবার অপরাধীরা রক্ষা পায়। ইন্টারিম সরকারের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে থাকলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।”
ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী ঐশ্বর্য সরকার বলেন,
“এই ঘটনাটি নিছক একটি খুন নয়, এটি রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। আগের ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার হলে আজ হয়তো এমন নৃশংসতা দেখতে হতো না। আমরা দল-মত নির্বিশেষে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই, যেন ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।”
পটভূমি : নৃশংসতার নতুন সংজ্ঞা:
গত ৯ জুলাই রাত ৯টার দিকে পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে শতাধিক লোকের সামনে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। হত্যার পর তার নিথর দেহের ওপর দাঁড়িয়ে এক দুর্বৃত্ত নৃত্য করে। ১১ জুলাই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রশাসনের উদাসীনতা এবং বিচারহীনতার কারণেই এমন বর্বরতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। তারা আরও জানান, এই ঘটনায় যদি কঠোর শাস্তি না হয়, তাহলে আন্দোলন আরও বিস্তৃত হবে।