ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টিভি-নিউজ পোর্টালে হজ অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ বিষয়ক ভিডিও প্রচারের অনুরোধ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সাবেক স্ত্রী মিমের ৩০ দিনের ‘নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে’ যাচ্ছে ইউক্রেন ইসরাইলকে বয়কট, নরওয়েজিয়ান কনফেডারেশনের প্রশংসায় হামাস হজের আনুষ্ঠানিক কর্মপরিকল্পনা চালু করল সৌদি ভারত-পাকিস্তান ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধ, প্রতি ঘণ্টায় ব্যয় ১ বিলিয়ন ডলার! ‘বুনইয়ানুম মারসুস’ এর সাফল্য উদযাপনে ‘ইউমে তাশাক্কুর’ পালন করছে পাকিস্তান ভারতে ইউটিউব চ্যানেল ব্লক, আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা ইলিয়াসের আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করছে চীন ও পাকিস্তান আ.লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জনকল্যাণে ব্যয় করা উচিত: নুর
ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক

নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো ধরনের কার্যক্রম ঢাকায় চলবে না

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ০২:৫৫:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / ৩১ Time View

ঢাকা রেঞ্জের নবনিযুক্ত ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক। ফাইল ছবি

ঢাকা এরিয়ার মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন কোনো ধরনের কার্যক্রম করতে পারবে না বলে এসপিদের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি বলেন, যদি কেউ করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের নবনিযুক্ত ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, আমার অধীনে এসপি ও ওসিদের নির্দেশ দিচ্ছি, নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠনের কর্মকাণ্ড আপনার এলাকায় চলবে না।

বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা দমন-পীড়ন করেছে, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, মামলার তদন্তে যারা দোষী, যারা দোসর হিসেবে পরিচিত তাদের গ্রেফতার করতে হবে।

রোববার (১১ মে) সকাল ১১টায় সেগুনবাগিচায় ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় ডিআইজি বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম ঢাকায় চলবে না। বিগত সময় পুলিশকে জনতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি ঢাকা রেঞ্জের কোন পুলিশ যদি অনৈতিক বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।

রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন থানা-ফাঁড়ি-সার্কেল অফিস, এসপি অফিসে কোনোরকম অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ঘুসবাণিজ্য, বদলিবাণিজ্য আমার রেঞ্জে বরদাশত করা হবে না। যে কোনো ধরণের চাঁদাবাজি কঠোর হাতে দমন করা হবে। আমরা জনগণের নিরাপত্তা দিতে এসেছি। আমার রেঞ্জে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন কিংবা পতিত সরকারের দোসররা যদি জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানোর বিন্দুমাত্রও চেষ্টাও করেন, সেটা শক্ত হাতে দমন করার সক্ষমতা ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের রয়েছে।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা নিবিড়ভাবে মনিটরিংয়ের জন্য ডিআইজি অফিসে একটি বিশেষ মনিটরিং সেল খোলা হবে। মনিটরিং সেলে আমি প্রত্যেকটি মামলার বাদী, ভুক্তভোগী, গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলব এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। এছাড়া ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের প্রতিটি থানা-ফাঁড়ি-ক্যাম্প-সার্কেল অফিস-এসপি অফিস এবং আমার অফিসেও অভিযোগবক্স স্থাপন করা হবে।

ডিআইজি রেজা বলেন, থানাকে সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা করে তুলতে চাই। অপরাধী বা অধিনস্থ পুলিশের কোনো অপরাধ হলে, তা সরাসরি শুনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, টক টু ডিআইজি নামে একটা মোবাইল অ্যাপ চালু করবে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ। যার মাধ্যমে ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে যে কোনো অপরাধের তথ্য বা সাহায্য প্রাপ্তির জন্য পুলিশকে জানাতে পারবে। যারা তথ্য দিবে তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নাম পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা রেঞ্জবাসীর প্রতি তিনি অনুরোধ রেখে বলেন, কোনো ধরণের অপরাধমূলক কাজে অংশ নেবেন না। যে যে জেলায় অবস্থান করছেন সবাই আইন ও বিধি মেনে চলুন। আমরা আপনাদের সেবার জন্য পাশে আছি। একই সঙ্গে আমরাও আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমরা আমাদের সবোর্চ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন ১৩টি জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করে যাব।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যেন সুবিচার পায়; অন্যায়-জুলুম থেকে বাঁচতে পারে সেটি নিশ্চিত করা হবে। এমনকি আমিও আইনের উর্ধ্বে নই। আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ঢাকা রেঞ্জের কোনো পুলিশ সদস্য যদি কোনো ধরণের অনৈতিক ও অপেশাদার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়-তাদেরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। এসপি ওসিরাও যদি কোনো অন্যায় করেন, সরাসরি আমাকে জানাবেন। যদি প্রমাণিত হয়, আমি তাদের বিরদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব। এ লক্ষ্যে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের প্রতিটি থানা-ফাঁড়ি-ক্যাম্প-সার্কেল অফিস-এসপি অফিস এবং আমার অফিসেও অভিযোগবক্স স্থাপন করা হবে। কাঙিক্ষত সেবা না পেলে অভিযোগ বক্সে সেবা গ্রহিতারা তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং আমি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।

ডিআইজি বলেন, আপনাদের দায়ের করা জিডি, অভিযোগ, মামলা আমি নিজে মনিটরিং করব। একটি দক্ষ টিম দিয়ে প্রত্যেকটি জিডি, অভিযোগ, মামলা সুনিপুণভাবে মনিটরিং করা হবে। ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন ৯৮টি থানায় সিসিটিভি সংবলিত মনিটরিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। আমি নিজে মনিটরিং সেন্টারে থানায় সেবাগ্রহীতাদের এবং ভুক্তভোগিদের সঙ্গে ভিডিও কলে সরাসরি কথা বলব; যাতে একজন ভুক্তভোগী থানায় এসে সবোর্চ্চ সেবাটি পেতে পারেন। ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি থানাকে বাংলাদেশ পুলিশের রোল মডেল থানা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক

নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো ধরনের কার্যক্রম ঢাকায় চলবে না

জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ০২:৫৫:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

ঢাকা এরিয়ার মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন কোনো ধরনের কার্যক্রম করতে পারবে না বলে এসপিদের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি বলেন, যদি কেউ করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের নবনিযুক্ত ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, আমার অধীনে এসপি ও ওসিদের নির্দেশ দিচ্ছি, নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠনের কর্মকাণ্ড আপনার এলাকায় চলবে না।

বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা দমন-পীড়ন করেছে, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, মামলার তদন্তে যারা দোষী, যারা দোসর হিসেবে পরিচিত তাদের গ্রেফতার করতে হবে।

রোববার (১১ মে) সকাল ১১টায় সেগুনবাগিচায় ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় ডিআইজি বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম ঢাকায় চলবে না। বিগত সময় পুলিশকে জনতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি ঢাকা রেঞ্জের কোন পুলিশ যদি অনৈতিক বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।

রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন থানা-ফাঁড়ি-সার্কেল অফিস, এসপি অফিসে কোনোরকম অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ঘুসবাণিজ্য, বদলিবাণিজ্য আমার রেঞ্জে বরদাশত করা হবে না। যে কোনো ধরণের চাঁদাবাজি কঠোর হাতে দমন করা হবে। আমরা জনগণের নিরাপত্তা দিতে এসেছি। আমার রেঞ্জে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন কিংবা পতিত সরকারের দোসররা যদি জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানোর বিন্দুমাত্রও চেষ্টাও করেন, সেটা শক্ত হাতে দমন করার সক্ষমতা ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের রয়েছে।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা নিবিড়ভাবে মনিটরিংয়ের জন্য ডিআইজি অফিসে একটি বিশেষ মনিটরিং সেল খোলা হবে। মনিটরিং সেলে আমি প্রত্যেকটি মামলার বাদী, ভুক্তভোগী, গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলব এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। এছাড়া ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের প্রতিটি থানা-ফাঁড়ি-ক্যাম্প-সার্কেল অফিস-এসপি অফিস এবং আমার অফিসেও অভিযোগবক্স স্থাপন করা হবে।

ডিআইজি রেজা বলেন, থানাকে সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা করে তুলতে চাই। অপরাধী বা অধিনস্থ পুলিশের কোনো অপরাধ হলে, তা সরাসরি শুনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, টক টু ডিআইজি নামে একটা মোবাইল অ্যাপ চালু করবে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ। যার মাধ্যমে ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে যে কোনো অপরাধের তথ্য বা সাহায্য প্রাপ্তির জন্য পুলিশকে জানাতে পারবে। যারা তথ্য দিবে তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নাম পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা রেঞ্জবাসীর প্রতি তিনি অনুরোধ রেখে বলেন, কোনো ধরণের অপরাধমূলক কাজে অংশ নেবেন না। যে যে জেলায় অবস্থান করছেন সবাই আইন ও বিধি মেনে চলুন। আমরা আপনাদের সেবার জন্য পাশে আছি। একই সঙ্গে আমরাও আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমরা আমাদের সবোর্চ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন ১৩টি জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করে যাব।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যেন সুবিচার পায়; অন্যায়-জুলুম থেকে বাঁচতে পারে সেটি নিশ্চিত করা হবে। এমনকি আমিও আইনের উর্ধ্বে নই। আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ঢাকা রেঞ্জের কোনো পুলিশ সদস্য যদি কোনো ধরণের অনৈতিক ও অপেশাদার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়-তাদেরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। এসপি ওসিরাও যদি কোনো অন্যায় করেন, সরাসরি আমাকে জানাবেন। যদি প্রমাণিত হয়, আমি তাদের বিরদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব। এ লক্ষ্যে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের প্রতিটি থানা-ফাঁড়ি-ক্যাম্প-সার্কেল অফিস-এসপি অফিস এবং আমার অফিসেও অভিযোগবক্স স্থাপন করা হবে। কাঙিক্ষত সেবা না পেলে অভিযোগ বক্সে সেবা গ্রহিতারা তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং আমি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।

ডিআইজি বলেন, আপনাদের দায়ের করা জিডি, অভিযোগ, মামলা আমি নিজে মনিটরিং করব। একটি দক্ষ টিম দিয়ে প্রত্যেকটি জিডি, অভিযোগ, মামলা সুনিপুণভাবে মনিটরিং করা হবে। ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন ৯৮টি থানায় সিসিটিভি সংবলিত মনিটরিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। আমি নিজে মনিটরিং সেন্টারে থানায় সেবাগ্রহীতাদের এবং ভুক্তভোগিদের সঙ্গে ভিডিও কলে সরাসরি কথা বলব; যাতে একজন ভুক্তভোগী থানায় এসে সবোর্চ্চ সেবাটি পেতে পারেন। ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি থানাকে বাংলাদেশ পুলিশের রোল মডেল থানা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।