ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্মাণের ৩ বছর পর আশুগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন

হান্নান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১১২ Time View

অবশেষে নির্মাণের তিন বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার সকালে ভার্চুয়াল জুম প্লাটফরমে অন্যান্য উপজেলার সাথে চারতলা বিশিষ্ট এ ভবনটির উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নিজস্ব সম্মেলন কক্ষে প্রজেক্টরের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রদর্শন করা হয়। পরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভা।

এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান কখনো ভুলবে না।

তিনি বলেন, এ দেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের যে অবদান, তা কখনোই ভুলার নয়। তাই বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।

আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হেবজুল বারী, সাবেক উপজেলা ডিপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম আজাদ, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিমসহ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক ফিতা টেনে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।

উল্লেখ্য যে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় চারতলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মিত হয়।

২ কোটি ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি ২০২০ সালের জুন মাসের প্রথম দিকে উপজেলা প্রশাসন ও এলজিইডির কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। জানা যায়, হস্তান্তরের পরপরই উপজেলা প্রশাসন ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার উদ্যোগ নিতে চেয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে দিয়ে ভবনটি উদ্বোধন করার দাবি জানান। এ নিয়ে দুই পক্ষের ঠেলাঠেলিতে হস্তান্তরের তিন বছর পর এর উদ্বোধন হল।

এদিকে, নির্মাণের পর থেকে ভবনটি পরিত্যক্ত ও নিরাপত্তাহীন অবস্থায় পড়ে থাকায় চুরি হয়ে গেছে ৪০টি বৈদ্যুতিক পাখা, স্যানিটারি সরঞ্জাম, সোলার প্যানেলের ব্যাটারি ও তার, সুইচ বোর্ডসহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। এছাড়া হস্তান্তরের দুই বছরের ব্যবধানেই ভবনের পার্কিং বেজমেন্ট ও নিরাপত্তা দেয়ালের একাংশ ধসে পড়েছিল। এতে নির্মাণ কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। তবে এতসবের পরও ভবনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাগণ।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় চারতলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মিত হয়। ২ কোটি ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি ২০২০ সালের জুন মাসের প্রথম দিকে উপজেলা প্রশাসন ও এলজিইডির কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

Please Share This Post in Your Social Media

নির্মাণের ৩ বছর পর আশুগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন

হান্নান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
Update Time : ১০:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

অবশেষে নির্মাণের তিন বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার সকালে ভার্চুয়াল জুম প্লাটফরমে অন্যান্য উপজেলার সাথে চারতলা বিশিষ্ট এ ভবনটির উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নিজস্ব সম্মেলন কক্ষে প্রজেক্টরের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রদর্শন করা হয়। পরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভা।

এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান কখনো ভুলবে না।

তিনি বলেন, এ দেশের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের যে অবদান, তা কখনোই ভুলার নয়। তাই বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।

আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হেবজুল বারী, সাবেক উপজেলা ডিপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম আজাদ, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিমসহ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক ফিতা টেনে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।

উল্লেখ্য যে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় চারতলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মিত হয়।

২ কোটি ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি ২০২০ সালের জুন মাসের প্রথম দিকে উপজেলা প্রশাসন ও এলজিইডির কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। জানা যায়, হস্তান্তরের পরপরই উপজেলা প্রশাসন ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার উদ্যোগ নিতে চেয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে দিয়ে ভবনটি উদ্বোধন করার দাবি জানান। এ নিয়ে দুই পক্ষের ঠেলাঠেলিতে হস্তান্তরের তিন বছর পর এর উদ্বোধন হল।

এদিকে, নির্মাণের পর থেকে ভবনটি পরিত্যক্ত ও নিরাপত্তাহীন অবস্থায় পড়ে থাকায় চুরি হয়ে গেছে ৪০টি বৈদ্যুতিক পাখা, স্যানিটারি সরঞ্জাম, সোলার প্যানেলের ব্যাটারি ও তার, সুইচ বোর্ডসহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। এছাড়া হস্তান্তরের দুই বছরের ব্যবধানেই ভবনের পার্কিং বেজমেন্ট ও নিরাপত্তা দেয়ালের একাংশ ধসে পড়েছিল। এতে নির্মাণ কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। তবে এতসবের পরও ভবনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাগণ।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় চারতলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মিত হয়। ২ কোটি ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি ২০২০ সালের জুন মাসের প্রথম দিকে উপজেলা প্রশাসন ও এলজিইডির কাছে হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।