ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্মাণাধীন ছাত্র হল দুর্ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন

আসাদুল্লাহ আল গালিব, জাককানইবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০১:৩০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৩৪ Time View

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন “১০ তলা ভিতসহ ১০ তলা ছাত্র হল” এর পোর্চের ঢালাই চলাকালে ছাদ ধসে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে গঠিত এই ছয় সদস্যের কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম, লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ অলি উল্লাহ, প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মোফাছিরুল ইসলাম এবং উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. মাজুবুল ইসলাম (সদস্য-সচিব)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের অনুমোদনক্রমে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ছাত্র হলের পোর্চের ঢালাই চলাকালে হঠাৎ করেই ছাদের একটি অংশ ধসে পড়ে। এতে অন্তত ১০ জন নির্মাণ শ্রমিক আহত হন। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ দুর্ঘটনার পরপরই প্রকল্পের অনিয়ম ও নির্মাণকাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, এর আগেও এই প্রকল্পের বিভিন্ন কাজে ত্রুটি, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং কাজের ধীরগতির অভিযোগ উঠেছিল। তবে প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মোফাছিরুল ইসলাম এবং উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল ইসলাম প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই আমরা দেখছি নির্মাণ কাজ খুবই ধীরগতিতে চলছে। বারবার অভিযোগের পরও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন এ ধরনের দুর্ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরই দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য সবধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

নির্মাণাধীন ছাত্র হল দুর্ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন

আসাদুল্লাহ আল গালিব, জাককানইবি প্রতিনিধি
Update Time : ০১:৩০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন “১০ তলা ভিতসহ ১০ তলা ছাত্র হল” এর পোর্চের ঢালাই চলাকালে ছাদ ধসে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে গঠিত এই ছয় সদস্যের কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম, লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ অলি উল্লাহ, প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মোফাছিরুল ইসলাম এবং উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. মাজুবুল ইসলাম (সদস্য-সচিব)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের অনুমোদনক্রমে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ছাত্র হলের পোর্চের ঢালাই চলাকালে হঠাৎ করেই ছাদের একটি অংশ ধসে পড়ে। এতে অন্তত ১০ জন নির্মাণ শ্রমিক আহত হন। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ দুর্ঘটনার পরপরই প্রকল্পের অনিয়ম ও নির্মাণকাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, এর আগেও এই প্রকল্পের বিভিন্ন কাজে ত্রুটি, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং কাজের ধীরগতির অভিযোগ উঠেছিল। তবে প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মোফাছিরুল ইসলাম এবং উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল ইসলাম প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই আমরা দেখছি নির্মাণ কাজ খুবই ধীরগতিতে চলছে। বারবার অভিযোগের পরও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন এ ধরনের দুর্ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরই দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য সবধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।