ঢাকা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে জিতলে নতুন বাংলাদেশ গড়বে বিএনপি: ড. মঈন

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:৪৯:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৫ Time View

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খাঁন বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে যদি দেশের জনগণ একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে, তাহলে তারা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন। নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার এবং কোটি কোটি দরিদ্র মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত থাকবে।

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে নরসিংদী-২ পলাশ নির্বাচনী আসনের ঘোড়াশালের ঘোড়া চত্বরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র‌্যালি উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “ইনশাল্লাহ, আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই নতুন বাংলাদেশ নিশ্চিত করবো।”

তিনি আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন রাজনীতি অনুসরণ করে এবং তারেক জিয়ার দিকনির্দেশনায় পুনরায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে।

ড. মঈন খাঁন বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছেন। তারা দুটি প্রধান উদ্দেশ্য নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন—প্রথম, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে এবং দ্বিতীয়, প্রতিটি দরিদ্র মানুষ তার বেঁচে থাকার অধিকার নিয়ে শান্তিতে জীবন যাপন করবে। তবে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পরিবেশে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করেছিল। তখন জনগণ বিদ্রোহ জানায়। ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঢাকার রাজপথে নেমে বাকশালকে অপসারিত করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আহ্বান জানান দেশের নেতৃত্ব নেওয়ার জন্য।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের কালো রাতে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণ করতে আমরা আজকের র‌্যালির আয়োজন করেছি। আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসকে নতুনভাবে উদ্ভাসিত করতে চাই এবং বিশ্বের সামনে দেখাতে চাই যে, বাংলাদেশের মানুষ অন্যায়, পরাধীনতা, জুলুম, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভোটাধিকার লঙ্ঘনকে কখনো মেনে নেবে না।”

এ সময় পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতিয়া, এবং পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন সোহেল সহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

নির্বাচনে জিতলে নতুন বাংলাদেশ গড়বে বিএনপি: ড. মঈন

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি
Update Time : ১২:৪৯:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খাঁন বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে যদি দেশের জনগণ একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে, তাহলে তারা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন। নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার এবং কোটি কোটি দরিদ্র মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত থাকবে।

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে নরসিংদী-২ পলাশ নির্বাচনী আসনের ঘোড়াশালের ঘোড়া চত্বরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র‌্যালি উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “ইনশাল্লাহ, আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই নতুন বাংলাদেশ নিশ্চিত করবো।”

তিনি আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন রাজনীতি অনুসরণ করে এবং তারেক জিয়ার দিকনির্দেশনায় পুনরায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে।

ড. মঈন খাঁন বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছেন। তারা দুটি প্রধান উদ্দেশ্য নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন—প্রথম, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে এবং দ্বিতীয়, প্রতিটি দরিদ্র মানুষ তার বেঁচে থাকার অধিকার নিয়ে শান্তিতে জীবন যাপন করবে। তবে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পরিবেশে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করেছিল। তখন জনগণ বিদ্রোহ জানায়। ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঢাকার রাজপথে নেমে বাকশালকে অপসারিত করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আহ্বান জানান দেশের নেতৃত্ব নেওয়ার জন্য।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের কালো রাতে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণ করতে আমরা আজকের র‌্যালির আয়োজন করেছি। আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসকে নতুনভাবে উদ্ভাসিত করতে চাই এবং বিশ্বের সামনে দেখাতে চাই যে, বাংলাদেশের মানুষ অন্যায়, পরাধীনতা, জুলুম, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভোটাধিকার লঙ্ঘনকে কখনো মেনে নেবে না।”

এ সময় পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতিয়া, এবং পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন সোহেল সহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।