নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, আদালতকে বললেন তনি
- Update Time : ১২:৪২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ১৪ Time View
নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির করা মামলায় আকাশ টিভির সাংবাদিক আকাশ নিবিড়ের রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলগেটে দুদিন জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসময় আদালতে উপস্থিত হয়ে তনি বলেছেন, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালতে সাইবার সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন এবং চাঁদাবাজির অভিযোগের মামলায় সাংবাদিক আকাশকে কারাগার থেকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই এমদাদুল হক তার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, এ আসামিসহ মামলার অন্য আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ সাইবার অপরাধ চক্রের সদস্য বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট জামাল উদ্দিন মারজান রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শামীম মিয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।
এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে তনি বলেন, ‘এই লোকটা আমাকে নিয়ে, আমার বাচ্চাদের নিয়ে, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে। আমার ৬ বছরের ছেলেকে জারজ বলে। মেয়েকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাব, এসব কথা বলে। আমার বাসার ঠিকানা দিয়ে দিয়েছে। সে এখন কারাগারে। কারাগারে বসে কীভাবে ফেসবুক পেজে পোস্ট করে। কারাগার থেকে বের হয়ে আমাকে খেয়ে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।’
তনি আদালতকে বলেন, ‘২০১৮ সালের ২২ জুন আমাদের বিয়ে হয়। মেইন কাবিননামা আমার কাছে আছে। তারপরও আমাকে হেনস্তা করা হচ্ছে। এর মানে কি? ওর বহু সাঙ্গপাঙ্গ আছে। এক মহিলা নেপালে থাকে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সঠিক বিচার চাই।’
শুনানি শেষে আদালত আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন। পরে দুদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।
আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার পথে আকাশ নিবির বলেন, ‘তনি অনেক বড় অপরাধী। ওর শাস্তি হওয়া উচিত। প্রমাণ করে ছাড়ব তনি অপরাধী ও মিথ্যাবাদী মহিলা। ও ওর জামাইকে নিজে মারছে।’
গত ২১ নভেম্বর আকাশসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় এ মামলা করেন তনি। বাকি দুই আসামি হলেন, মহয়া খাতুন ওরফে মৌ সুলতানা এবং তানিয়া। এরপর গত ২৬ নভেম্বর রাতে মগবাজারের মধুবাগ রোড থেকে আকাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা বেশ কিছুদিন ধরে তনি এবং তার পরিবারকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘অশালীন, মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক’ পোস্ট দিয়ে তার ‘সম্মানহানি’ করে আসছিল। গত ২১ জুন মৌ সুলতানার ফেইসবুক আইডি থেকে তনি ও তার পরিবারকে নিয়ে ‘অশ্লীল কথাবার্তা দিয়ে তৈরি’ একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়।
তনির স্বামী মৃত সাদাদ রহমানকে নিয়েও ‘অশ্লীল, মিথ্যা, বানোয়াট এবং বিভ্রান্তিকর’ ভিডিও তৈরি করে ফেইসবুকে পোস্ট করা হয়। এ ছাড়া আসামি আকাশ নিবিড় তার ইউটিউব চ্যানেলে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে’ ভিডিও পোস্ট করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
তনি এজাহারে বলেছেন, তিনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসব না করার অনুরোধ জানালে তারা তাতে কর্ণপাত না করে চাঁদা দাবি করে।







































































































































