ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিয়ন্ত্রণে আসেনি এখন মিরপুর রূপনগরের আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:৩২:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৫২ Time View

মিরপুর রূপনগরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় রাসায়নিকের গুদামে আগুন এখনও জ্বলছে

২৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুরোপুরি নেভানো যায়নি রাজধানীর রূপনগরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় রাসায়নিকের গুদামে লাগা আগুন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার কিছু পরে সেখানে আগুন লাগে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায়ও গুদাম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে।

একই সময়ে আগুন লাগা গুদামের বিপরীত পাশের পোশাক কারখানার আগুন মঙ্গলবারই নেভানো গেছে। চারতলা ভবনটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৬ জনের মৃতদেহ। পুড়ে অঙ্গার হওয়ায় তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহগুলো পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে। রাত থেকেই সেখানে ভিড় জমিয়েছেন নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনরা। বুধবার সকালে তাদের কেউ কেউ মরদেহগুলো দেখে নিজের স্বজন বলে দাবি করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা বলছেন, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া পরিচয় নিশ্চিত হওয়া কঠিন।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, রাসায়নিক গুদামের আগুন এখনও নেভানো যায়নি। আরও কত সময় লাগবে সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন।

আগুন লাগার ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, রাসায়নিকের গুদামে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের শিখা আতশবাজির মতো ওপরের দিকে উঠে যায়। তখন আগুনের কুণ্ডলী গিয়ে সামনের ভবনটিতে পড়ে। চারতলা ভবনের নিচতলায় অ্যামব্রয়ডারি কারখানা, দোতলায় কাপড়ে স্ক্রিনপ্রিন্ট করার কারখানা, তৃতীয় তলায় গার্মেন্টস এবং চতুর্থ তলায় গার্মেন্টসের গুদাম। ওই ভবনে যে আগুন লেগেছে তা প্রথমে কেউ বুঝতে পারিনি। তাই সেদিকে কেউ নজর দেয়নি। ততক্ষণে ভেতরে থাকা লোকজন পুড়ে মারা যায়।

এদিকে রাসায়নিক গুদামের মালিক শাহ আলম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। এলাকায় তার একাধিক গুদাম রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

Please Share This Post in Your Social Media

নিয়ন্ত্রণে আসেনি এখন মিরপুর রূপনগরের আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ১১:৩২:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

২৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুরোপুরি নেভানো যায়নি রাজধানীর রূপনগরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় রাসায়নিকের গুদামে লাগা আগুন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার কিছু পরে সেখানে আগুন লাগে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায়ও গুদাম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে।

একই সময়ে আগুন লাগা গুদামের বিপরীত পাশের পোশাক কারখানার আগুন মঙ্গলবারই নেভানো গেছে। চারতলা ভবনটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৬ জনের মৃতদেহ। পুড়ে অঙ্গার হওয়ায় তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহগুলো পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে। রাত থেকেই সেখানে ভিড় জমিয়েছেন নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনরা। বুধবার সকালে তাদের কেউ কেউ মরদেহগুলো দেখে নিজের স্বজন বলে দাবি করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা বলছেন, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া পরিচয় নিশ্চিত হওয়া কঠিন।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, রাসায়নিক গুদামের আগুন এখনও নেভানো যায়নি। আরও কত সময় লাগবে সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন।

আগুন লাগার ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, রাসায়নিকের গুদামে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের শিখা আতশবাজির মতো ওপরের দিকে উঠে যায়। তখন আগুনের কুণ্ডলী গিয়ে সামনের ভবনটিতে পড়ে। চারতলা ভবনের নিচতলায় অ্যামব্রয়ডারি কারখানা, দোতলায় কাপড়ে স্ক্রিনপ্রিন্ট করার কারখানা, তৃতীয় তলায় গার্মেন্টস এবং চতুর্থ তলায় গার্মেন্টসের গুদাম। ওই ভবনে যে আগুন লেগেছে তা প্রথমে কেউ বুঝতে পারিনি। তাই সেদিকে কেউ নজর দেয়নি। ততক্ষণে ভেতরে থাকা লোকজন পুড়ে মারা যায়।

এদিকে রাসায়নিক গুদামের মালিক শাহ আলম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। এলাকায় তার একাধিক গুদাম রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।