ঢাকা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘নিজ গলায়’ বটি চালালেন রাশিয়া ফেরত প্রত্যয়

Reporter Name
  • Update Time : ০১:১৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৯৩ Time View

রাজধানীর পল্লবী থেকে রাশিয়া ফেরত এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মোডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের ২ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাট থেকে রেশাদ আকবর প্রত্যয় (৩৩) নামে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রেশাদ আকবরের গ্রামের বাড়ি যশোর শহরের বেজপাড়ায়। তিনি একটি বায়িং হাউসে চাকরি করতেন।

এ বিষয়ে পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ হালদার বলেন, ‘ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তিনি জানতে পারেন, হতাশা থেকে শেফাত আকবর ধারালো বঁটি দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন। ’

ঢাকার পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘শেফাত আকবরের মরদেহ উদ্ধারের পর তার পরিবার ও একজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তিনি একজন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ সেবন করছিলেন। ’

পারভেজ ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধারের সময় হাতে লেখা একটি ‘চিরকুট’ পাওয়া গেছে, যাতে ‘আত্মহত্যার’ কথা বলা হয়েছে। ডাইনিংয়ের জায়গায় আয়না দেখে বটি দিয়ে সে গলা কেটে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তারপরেও তদন্ত হচ্ছে।

তিনি জানান, তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটটিতে ছয়জন মেসের মতো করে থাকেন। ঘটনার সময় প্রত্যয়সহ তিনজন ছিলেন। দুইজন রুমে ঘুমাচ্ছিলেন।

ওসি পারভেজ আরও জানান, প্রত্যয় নিজের গলা কাটার পর গোঙানির শব্দ শুনে দুইজন বের হয়ে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পাশে বটি ছিল।

স্বজনদের বরাতে ওসি বলেন, শেফাত আকবর রাশিয়ায় লেখাপড়া শেষে বছর তিনেক আগে দেশে ফেরেন। রাশিয়ায় লেখাপড়া করে দেশে ফিরে কোনো স্থায়ী চাকরি করতে না পারার হতাশা কাজ করছিল তার মধ্যে। এ ছাড়া প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হলেও তা বেশি দিন টেকেনি। সবমিলিয়ে অবসাদে ভুগছিল সে। মানসিক সমস্যার কারণে প্রত্যয় চিকিৎসাও নিয়েছেন। এজন্য তিনি একজন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ সেবন করছিলেন।
শুক্রবার রাতে প্রত্যয় তার বাবার সঙ্গে ফোনে শেষ কথা বলেছেন। সে সময় তার বাবাকে বলেন, ‘বাবা তোমাদের জন্য কিছুই করতে পারলাম না।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

‘নিজ গলায়’ বটি চালালেন রাশিয়া ফেরত প্রত্যয়

Update Time : ০১:১৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

রাজধানীর পল্লবী থেকে রাশিয়া ফেরত এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মোডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের ২ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাট থেকে রেশাদ আকবর প্রত্যয় (৩৩) নামে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রেশাদ আকবরের গ্রামের বাড়ি যশোর শহরের বেজপাড়ায়। তিনি একটি বায়িং হাউসে চাকরি করতেন।

এ বিষয়ে পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ হালদার বলেন, ‘ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তিনি জানতে পারেন, হতাশা থেকে শেফাত আকবর ধারালো বঁটি দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন। ’

ঢাকার পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘শেফাত আকবরের মরদেহ উদ্ধারের পর তার পরিবার ও একজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তিনি একজন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ সেবন করছিলেন। ’

পারভেজ ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধারের সময় হাতে লেখা একটি ‘চিরকুট’ পাওয়া গেছে, যাতে ‘আত্মহত্যার’ কথা বলা হয়েছে। ডাইনিংয়ের জায়গায় আয়না দেখে বটি দিয়ে সে গলা কেটে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তারপরেও তদন্ত হচ্ছে।

তিনি জানান, তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটটিতে ছয়জন মেসের মতো করে থাকেন। ঘটনার সময় প্রত্যয়সহ তিনজন ছিলেন। দুইজন রুমে ঘুমাচ্ছিলেন।

ওসি পারভেজ আরও জানান, প্রত্যয় নিজের গলা কাটার পর গোঙানির শব্দ শুনে দুইজন বের হয়ে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পাশে বটি ছিল।

স্বজনদের বরাতে ওসি বলেন, শেফাত আকবর রাশিয়ায় লেখাপড়া শেষে বছর তিনেক আগে দেশে ফেরেন। রাশিয়ায় লেখাপড়া করে দেশে ফিরে কোনো স্থায়ী চাকরি করতে না পারার হতাশা কাজ করছিল তার মধ্যে। এ ছাড়া প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হলেও তা বেশি দিন টেকেনি। সবমিলিয়ে অবসাদে ভুগছিল সে। মানসিক সমস্যার কারণে প্রত্যয় চিকিৎসাও নিয়েছেন। এজন্য তিনি একজন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ সেবন করছিলেন।
শুক্রবার রাতে প্রত্যয় তার বাবার সঙ্গে ফোনে শেষ কথা বলেছেন। সে সময় তার বাবাকে বলেন, ‘বাবা তোমাদের জন্য কিছুই করতে পারলাম না।’